হাইলাইটস
- আমরা জানি, এ দেশের অনেক মা অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় ভোগেন, যা মাতৃমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।
- এর পেছনে রয়েছে প্রচলিত কিছু সামাজিক কুসংস্কার।
- এখনও আমাদের দেশে গর্ভকালীন সময় মায়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিচর্যার ক্ষেত্রেও অবহেলা করা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে অসচেতনতা, গর্ভকালীন প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়া ও অদক্ষ দাইয়ের হাতে সন্তান প্রসব করানোর ফলে মাতৃমৃত্যু ঘটে। ভারত সরকার ১১ এপ্রিল, কস্তুরবা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীটিকে জাতীয় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। ২০০৩ সাল থেকে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হল, সন্তান হিসেবে আমরা মায়ের প্রতি দায়িত্ব কতটুকু পালন করেছি? মায়ের প্রতি ভালোবাসা, মমতা ও দায়িত্বশীলতা প্রদর্শন দিনবিশেষের জন্য নয়, বরং প্রতিদিনের। আমাদের কোনো আচরণে মা যেন কষ্ট না পান, দুঃখ না পান, সেদিকে আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। এখন সেই মায়েরাই যদি পৃথিবীতে মানবধারার গতি রক্ষা করতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তাহলে এর অবহেলার দায় কিন্তু আমাদের ওপর অবশ্যই বর্তাবে। সুতরাং আমাদের অত্যন্ত হিসাব করে পথ চলতে হবে।
এই বছরের নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উদযাপনের থিম হ’ল ‘করোনাভাইরাস চলাকালীন বাড়িতে থাকুন, মা এবং নবজাতকে করোন ভাইরাস থেকে নিরাপদ রাখুন’। নিরাপদ মাতৃত্ব মানে হ’ল সমস্ত মহিলারা গর্ভাবস্থা এবং প্রসবকালীন সময়ে নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ যাতে পান। ভারতে মাতৃমৃত্যুর হার ১৫%। প্রতি বছর গর্ভাবস্থায় যত্নের ত্রূটির কারণে ভারতে ৪৪,০০০ মহিলা মারা যান।
ভারতে করোনাকালে চারটি প্রসবপূর্ব চেক আপ পাচ্ছেন মহিলারা। যা ৫১ শতাংশ কমেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এবং প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের সংখ্যা শতাংশ কমেছে ৭৯ শতাংশ। ভারতের পপুলেশন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জানিয়েছেন, আমরা কোভিড-১৯ মহামারীর সময় মাতৃমৃত্যুর হার ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সঙ্কট আমাদের দেখিয়েছে যে, প্রয়োজনীয় পরিষেবা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও শক্তিশালী করতে হবে।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-04-11 13:55:02
Source link
Leave a Reply