হাইলাইটস
- সম্পর্কে কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হলে তখনই অযথা
- তর্কের প্রসঙ্গ আসে।
- আর তাই প্রথমেই অকারণে তর্ক বন্ধ করতে হবে
চারবছর প্রেম করার পর যখন ওদের বিয়ে হল তখন টেলিভিশনের সৌজন্যে কৌশানি সকলের কাছেই বেশ পরিচিত মুখ। যদিও কোনও দিনই ওর তারকা সুলভ মনোভাব ছিলনা। কিন্তু বিয়ের পর আয়ুষ যখন দেখল সবাই অত্যধিক মনোযোগ দিচ্ছে কৌশানির প্রতি তখন তার একটু খারাপ লাগল। বিশেষত যখন দেখল কৌশানিও এতে বেশ খুশি। এরপর কেউ যখন কৌশানির প্রশংসা করত তখন আয়ুষের ভালো লাগলেও কোথাও গিয়ে তার যেমন মনে হত কৌশানি তাকে পাত্তা দিচ্ছে না। ফলে মাঝে মধ্যেই অযথা, ঝামেলা তর্ক হতো। কৌশানির কাজ নিয়ে যখন আয়ুষ আপত্তি শুরু করল তখন কৌশানি বুঝতে পারল কোথায় আয়ুষের সমস্যা হচ্ছে। দ্বন্দ্ব এড়াতে সে নিজেই এগিয়ে এলো। বুঝতে চেষ্টা করল ঠিক কোথায় সমস্যা। আর এই সব সমস্যার গোড়াতেই যদি সমাধান না করা হয় তাহলে সম্পর্কে ফাটল বড় হয়। তাই এমন সমস্যা হলে প্রথমেই যে বিষয়গুলি মেটানোর চেষ্টা করবেন
অযথা তর্ক বন্ধ করুন
সম্পর্কে কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হলে তখনই অযথা তর্কের প্রসঙ্গ আসে। আর তাই প্রথমেই অকারণে তর্ক বন্ধ করতে হবে। কেন সঙ্গী ভুল বুঝছেন, কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা আগে বুঝুব। অযথা কাউকে দোষারোপ করবেন না।
অযথা রেগে যাবেন না কিংবা খুব ভালোবাসাও নয়
কোনও কারণে সঙ্গীকে তুষ্ট করতে হবে বলে অনেক রকম ভাবে ভালোবাসার কথা বলবেন না। কারণ বিষয়টা দুজনকেই বুঝতে হবে। কোনও একজনের জন্য কেউ আপোস করবেন এমনটা নয়। বরং দুজনকেই সেটা বুঝতে হবে। সেই সঙ্গে কী ভাবে প্রতিক্রিয়া করবেন তাও ভাবতে হবে।
দুজনে একসঙ্গে সময় কাটান
দুজনের একসঙ্গে প্রচুর কাজ থাকে। দুজনেই ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু এসবের বাইরেও দুজনকে একসঙ্গে সময় কাটাতে হবে। সব সময় মন অশান্ত রাখবেন এরকমটা নয়। যা যা দ্বন্দ্ব থাকবে একসঙ্গে বসে কথা বলে তা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। সেই সঙ্গে একে অপরের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ রাখুন। রাগ করে কথা বলবেন না এরকমটা নয়।
একে অপরের কথা শেয়ার করুন
স্বামী-স্ত্রী হয়ে ওঠার আগে একে অপরের ভালো বন্ধু হয়ে উঠুন। সেই সঙ্গে একে অপরের সমস্যার কথা শেয়ার করুন। কোনও কথা চেপে রাখবেন না। দুঃখ, রাগ যা হবে সেটুকুই বলুন। এতে সমস্যার সমাধান হবে। আর ভুল বোঝাবুঝিও কমবে। যদি কোথাও অভিমান জমে থাকে তাও কিন্তু দূর হবে। সেই সঙ্গে কাজের বাইরে যতটা সময় পাবেন তা নিজেদের জন্য রাখুন।
স্পেস দিন দুজনকে
একে অপরকে কিছুটা সময় দিন। সম্পর্কে স্পেস থাকাও প্রয়োজন। রাগের মাথায় কেউ জোর করে আলোচনায় বসবেন না। চেঁচামেচি করবেন না। বরং নিজেরা আগে মাথা ঠান্ডা করুন। তারপর আলোচনা করুন। দেখবেন সমাধান সূত্র বেরিয়েই আসবে। আর নিজেদের ব্যক্তিগত কথা, সমস্যা নিজেদের মধ্যেই রাখুন।তা নিয়ে যেমন অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করবেন না তেমনই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করবেন না।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-06-02 15:16:50
Source link
Leave a Reply