নয়াদিল্লি: একটি সাধারণ সার্জিকাল মাস্ক ঠেকিয়ে দিতে পারে করোনা ভাইরাসকে (COVID-19)। পরিবেশে করোনার প্রকোপ কমাতে পারে। সম্প্রতি জার্মানির (Germany) একটি সমীক্ষায় এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। তবে, যেসব জায়গায় বায়ুবাহিত ভাইরাসের ঘনত্ব বেশি থাকার সম্বাবনা হয়েছে, যেমন- চিকিৎসার ক্ষেত্র এবং ঘনত্বযুক্ত জায়গায়, সেখানে N95 মাস্ক (mask) ব্যবহার করা ভালো। সমীক্ষা বলছে এতে করোনা আটকানোর ক্ষেত্রে কার্যকারিরা বৃদ্ধি পায়।
এই গবেষণা প্রকাশ হয়েছে ‘সায়েন্স’ জার্নালে। মাস্ক কোন কোন পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারে সেই নিয়ে হয়েছিল এই গবেষণা। এর পর্যবেক্ষণের ফলে পাওয়া তথ্য এবং মডেলের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্তে আসা হয়। জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর কেমিস্ট্রির (Max Planck Institute for Chemistry) ইয়াফাং চেং (Yafang Cheng) একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, SARS-CoV-2 এর বায়ুবাহিত সংক্রমণের সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষেত্রে কণাগুলির মধ্যে অল্প পরিমাণে ভাইরাস থাকে। সেক্ষেত্রে মানুষকে সুরক্ষা দিতে পারে সার্জিকাল মাস্ক। সমীক্ষা থেকে এই তথ্যও প্রকাশ পেয়েছে যে যেখানে বেশি মাস্ক পরা হয়েছে সেখানে করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। N95 বা FFP2-র মতো মাস্ক বায়ুবাহিত সংক্রমণ রুখতে সবচেয়ে বেশি উপকারী।
সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত অন্য এক বিজ্ঞানী বার্লিনের Charité-Universitätsmedizin-এর ক্রিশ্চিয়ান স্কট বলেছেন, অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি হাই এফিশিয়েন্সি মাস্ক পরলে হাসপাতাল, চিকিৎসা কেন্দ্র এবং অন্যান্য পরিবেশে সুরক্ষিত থাকা যায়। যেখানে প্রবল ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে বা যেখানে রোগীদের ঘনত্ব বেশি সেখানে মাস্ক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী। SARS-CoV-2 সংক্রমণের বিরুদ্ধে যাবতীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে সমর্থ মাস্ক। এমনকী ভ্যাকসিন যাঁরা নিয়েছেন তাঁদের সময়ের সাথে সাথে টিকার কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। কিন্তু মাস্কের ক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনা নেই।
মাস্ক পরা নিয়ে বারবার বিশেষজ্ঞদের তরফে সতর্ক করা হচ্ছে। ভারতে এখনও দাপট দেখাচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে মাস্ক পরার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ থেকে চিকিৎসকরা। চারদিকে বেড়েই চলেছে মৃত্যু মিছিল। তবুও হুঁশ নেই কিছু মানুষের। এই মহামারীতেও (Corona pandemic) এখনও ৫০ শতাংশ মানুষ মাস্ক (Mask) পরেন না। ৬৪ শতাংশ মানুষ এমনভাবে মাস্ক পরেন যে তাদের নাক চাপাই পড়ে না। কিছুদিন আগে এমনটাই জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) যুগ্ম সেক্রেটরি লভ আগরওয়াল (Lav Agarwal)। এবার প্রকাশ্যে এল জার্মানির এক সমীক্ষা। করোনা থেকে বাঁচতে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এবং সবচেয়ে উপযোগী তা এখানেও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
লাল-নীল-গেরুয়া…! ‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’!
‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.
শরীর স্বাস্থ্য – Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper
2021-06-01 12:45:41
Source link
Leave a Reply