মালদ্বীপে মনচুরি
আজকাল সেলিব্রিটি কিছু হলেই মালদ্বীপে ছুটে যান। আসলে সেদেশের সরকারের সঙ্গে আমাদের দেশের সরকারের পর্যটন সহ একাধিক ক্ষেত্রে নানা চুক্তি হযেছে। মালদ্বীপের ভিসা পাওয়াও খুব সহজ। গরমে সেখানকার পরিবেশ বেশ মনোরম। দ্বীপ রাষ্ট্রের এক একটি দ্বীপের রয়েছে একটি করে রিসর্ট। মানে নিরিবিলিতে হানিমুন কাটানোর জন্য পেয়ে যাবেন একটা গোটা দ্বীপ। এদিক সেদিক বেড়াতে যেতে চাইলে রিস্ট থেকেই ব্যবস্থা করে দেবে। মালদ্বীপের প্রাকৃতিক পরিবেশ, সমুদ্রতট এবং অত্যাধুনিক রিসর্ট হানিমুনের জন্য আদর্শ। হালকা রোদ গায়ে মেখে চিলড বিয়ার বা ডাবের জল খেতে খেতে রোম্যান্স করুন কিংবা চাঁদনি রাতে ওয়ানের সঙ্গে রোম্যান্টিক ডিনারে মাতুন। ব্যবস্থা রয়েছে সবকিছুই। তবে হ্যাঁ, পকেট ভারি থাকতে হবে। ভার্চুয়াল হানিমুনে টাকা খরচ হবে না। কিন্তু যখন সত্যিই বেড়াতে যাবেন তখন খরচ ভালোই হবে।
ফিজিতে মধুচন্দ্রিমা
ওশিয়ানিয়া মহাদেশের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র ফিজি গরমে হানিমুন যাওয়ার জন্য আদর্শ জায়গা। এখানে মে মাস থেকে শুরু করে অক্টোবর পর্যন্ত ঠান্ডা থাকে। মানে ভারত যখন গরমে কুপোকাত ফিজি তখনে ঠান্ডায় ফ্রিজ। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে হওয়ায় এই দ্বীপরাষ্ট্রে তাঁরাই বেশি ভিড় জমান। তবে আজকাল ভারতীয়দের কাছেও ক্রমশ পরিচিতি পাচ্ছে ফিজি। এখানকার সমুদ্র, গাছপালা, বালুকাবেলা, সমুদ্রের নীচের জীবন দর্শন এক কথায় অপূর্ব। হানিমুনের উদ্দেশ্যে এখানে সময় কাটাতে ভালো লাগবে। এখানকার স্কুবা ডাইভিং পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এখানকার গ্রামে গ্রামে ঘুরে আদিবাসীদের জীবনযাত্রা এবং নানা পরব দেখে মুগ্ধ হবেন। নারকেল, মাছ কিংবা চিকেনের রান্নার স্বাদ অসাধারণ। প্রাচীন এবং আধুনিক জীবনযাত্রার এক অসাধারণ মেলবন্ধন এই দ্বীপরাষ্ট্রটি।
গরম বালি
গরমকালে ভারতীয়দের আদর্শ পর্যটনক্ষেত্র ইন্দোনেশিয়ার বালি। এখানকার আনাচে কানাচে যেন রয়েছে মধুচন্দ্রিমার হাতছানি। অনেকেই মজা করে বলেন যে বালির পর্যটন সাজানোই হয়েছে হানিমুন কাপলদের কথা ভেবে। মধুচন্দ্রিমার জন্য সেরা জায়গা বালির উলুওয়াতু। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কোনও তুলনা হয় না। শুধু হানিমুনই নয় ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এর স্থান হিসিবেও এই উলুওয়াতু বেশ জনপ্রিয়। এখানে গেলে অবস্যই এখানকার বিখ্যাত মন্দির দর্শন করবেন। এখানকার বিখ্যাত পাডাং পাডাং বিচে শনিবার করে নাইট পার্টির আয়োজন করা হয়। এই পার্টি কিন্তু একদম মিস করবেন না। বালির এই হানিমুন ডেস্টিনেশনটি তুলনামূলক সস্তা। এছাড়াও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরা মাউন্ট বাতুর, ক্যাঙ্গু বিচ, একাধিক মন্দির, বোটানিক্যাল গার্ডেন, চিড়িয়াখানা, জাদুঘর, চকোলেট কারখানা, শাড়ির বাজারে ঢঁ দিতেও ভুলবেন না যেন।
সুইৎজারল্যান্ডের লুসার্ন
বলিউডের কল্যাণে সুৎজারল্যান্ড কমবেশি সব ভারতীয়রই স্বপ্নের হানিমুন ডেস্টিনেশন। তবে সেদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মধুচন্দ্রিমার কেন্দ্র হল লুসার্ন। এখানে হানিমুন করা যথেষ্ট খরচসাপেক্ষ হলেও, দিনের শেষে কিন্তু পয়সা উসুল। আমাদের চড়া গরমের সময় সেখানে কনকনে ঠান্ডা। মানে হানিমুন জমে ক্ষীর। পাহাড় এবং হ্রদে ঘেরা এই সুন্দর শহর এক কথায় অসাধারণ। শহরের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে মধ্যযুগের বহু নিরদর্শন। তবে বেড়াতে গেলে শুধুমাত্র লুসার্নই নয় সুইৎজারল্যান্ডের অন্যান্য জায়গাগুলি ঘুরে দেখা উচিত।
তবে আপাতত বাড়িতেই থাকুন। সাবধানে থাকুন। আর ঘরে বসে বোর হলে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করুন। দেখবেন প্ল্যান করতে করতেই একদিন ঘুরতে যাওয়ায় সময় উপস্থিত হয়েছে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-09 22:01:40
Source link
Leave a Reply