হাইলাইটস
- রাজপুত্রের একটা চুমু খেয়ে স্নো হোয়াইটের শরীর থেকে বিষ দূর হয়ে তাকে জীবনদান করেনি?
- মৃত্যুর পর ডেসটিমোনাকে শেষ চুমু খেতে ওথেলো ছেড়েছিল কি?
- রুপোলি পর্দায় অনারকলিকে সেলিমের চুমু খাওয়ার দৃশ্য দেখে দর্শক উত্তেজিত হয়ে পড়েননি?
এক কাপ চা শরীরের সমস্ত ক্লান্তি দূর করে দিতে পারে।
এক টাকার কয়েন শুভ কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
আর একটা চুমু আপনার শরীর এবং মনকে সুস্থ করে দিতে পারে এক নিমেষে।
বিশ্বাস হচ্ছে না?
কেন?
রাজপুত্রের একটা চুমু খেয়ে স্নো হোয়াইটের শরীর থেকে বিষ দূর হয়ে তাকে জীবনদান করেনি?
মৃত্যুর পর ডেসটিমোনাকে শেষ চুমু খেতে ওথেলো ছেড়েছিল কি?
রুপোলি পর্দায় অনারকলিকে সেলিমের চুমু খাওয়ার দৃশ্য দেখে দর্শক উত্তেজিত হয়ে পড়েননি?
আরে বাবা টুম্পার সোনার দুটো চুমু পেলে বস্তির ছেলেটা খৈনি খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার শপথ পর্যন্ত করে ফেলেছে। এসবকি তাহলে মিথ্যে? মন গড়া কথা?
মোটেই না।
আম আদমি না হয় অন্য কারণে প্রিয় মানুষের চুমুর জন্য ছোক ছোক করে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরাও যে বলছেন নিয়মিত চুমু খেতে। চুমু খেলে নাকি শরীর আর মনের অনেক রোগই সেরে যায়। আর এর জন্য কম করে ১৬টি যুক্তি দিয়েছেন তাঁরা। ১৬টি যুক্তি মানে চুমু খাওয়ার ১৬ খানা উপকার।
চুমুর ষোলোকলা পূর্ণ
১. চুমু খেলে শরীরের আনন্দের হরমোন মানে ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলে হ্যাপি হরমোন তা সজাগ হয়ে ওঠে। কারণ একটা প্যাশনেট চুমুতে মস্তিষ্ক থেকে অক্সিটোসিন, ডোপামাইন এবং সেরোটোনিন নামের যে রাসায়নিকের মিশ্রণ নিঃসৃত হয় তা মনে প্রাণে আবেগ সঞ্চার করে। স্ট্রেস হরমোনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। মনকে করে ফুরফুরে।
২.সম্পর্কে দৃঢ়তা আনে। কাউকে সুন্দর বললে তিনি যেমন খুশি হন। তেমনই কাউকে চুমু খেলে তিনিও আপ্লুত হয়ে পড়েন। তা সে যে ধরনের সম্পর্কই হোক না কেন। সঙ্গী, স্বামী বা স্ত্রী, সন্তান, মা-বাবা, বন্ধু কিংবা অন্য কাউকে খাওয়া আলতো চুমু সম্পর্ক আরও দৃঢ় করে। আসলে সেই সময় মস্তিকের অক্সিটোসিন রাসায়নিক নিঃসৃত হওয়ার ফলে এই ঘটনা ঘটে।
৩.কাউকে চুমু খাওয়ার পর শরীরের হ্যাপি হরমোন যখন আরও সজাগ হয় তখন নিজের প্রতি বিশ্বাসও বেড়ে যায়। মানে সাদা বাংলায় চুমু খেলে আত্মবিশ্বার বাড়ে। গল্প কথা নয়, এমন দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা স্বয়ং। গবেষণা করে দেখা গেছে চুমু খাওয়ার পর মনমড়া মানুষও তরতাজা হযে উঠেছেন। কাজে স্পৃহা বেড়ে গেছে।
৪. স্ট্রেস থেকে মুক্তি পেতেও চুমুর জুড়ি মেলা ভার। যাঁরা চুমু খান তাঁরা এটা কিন্তু অনায়াসেই বুঝবেন। আর যাঁরা খাননি বা খান না তাঁরা একবার খেয়ে দেখুন। একটা চুমুর পরই স্ট্রেস এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে। তারপর পর পর চুমু খান। স্ট্রেসের পাত্তাও পাবেন না।
৫.উদ্বেগ কমাতেও চুমু দারুণ উপসম। স্ট্রেসের কারণে মনে উদ্বেগ বা অবসাদের উদ্রেগ হয়। একটা চুমু স্ট্রেসকে কমাতে শুরু করলেই তার সঙ্গে সঙ্গে উদ্বেগ এবং অবসাদও কমতে থাকে। তাছাড়া অক্সিটোসিন উদ্বেগ কমাতে দারুণ কার্যকরী দাওয়াই।
৬. চুমু খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। চুমু খাওয়ার সময় শরীরের রক্ত চলাচল দ্রুত হয়। ফলে হৃদপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ হয় ভালোমতো। শিরা, উপশিরা, ধমনীতে রক্ত চলাচলের স্বাভাবিক থাকলেই রক্তের চাপ ঠিক থাকে।
৭. শরীরের ব্যাথা বেদনাও নাকি চুমুতে সেরে যায়। বিশেষজ্ঞদের যুক্তি শরীরের রক্ত চলাচল সঠিক হলে ব্যাথা বেদনা সেখানে জায়গাও পাবে না। এমনকি ঋতুস্রাবের অমানসিক ব্যাথাও চুমুতে নির্মূল হওয়া সম্ভব।
৮. মাথা ব্যথা করছে? প্রিয়জনকে চুমু খান। বিশেষজ্ঞদের মতে শরীরে রক্ত চলাচল ঠিকমতো হলে এবং হ্যাপি হরমোন সক্রিয় হলে মাথার ব্যথাও সেরে যায়।
৯. করোনা থেকে বাঁচতে গেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। খোঁজ নিয়ে দেখুন যাঁরা নিয়মিত চুমু খেতেন বা খান তাঁদের করোনা হয়নি। আর এটা জানা গেছে সেই ২০১৪ সালের গবেষণাতেই।
১০. চুমু খেলে অ্যালার্জি কমে বলেও বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন। আসলে চুমুতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হওয়া, রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি হওয়ার মতো ঘটনাই বিশেষজ্ঞদের দাবিকে সমর্থন করে।
১১. ২০০৯ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত চুমু খেলে কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
১২. চুমু খেলে মুখে অতিরিক্ত লালা তৈরি হয়। এই লালা দাঁতের ক্র্যাভিটি রুখতে সাহায্য করে। মানে দাঁত ভালো রাখতেও চুমু খাওয়া দরকার।
১৩. প্রাচীন কাল থেকে শুরু করে আধুনিক কাল চুমু খেলে শরীরের কামনা এবং উত্তেজনার হার বেড়েছে প্রতি যুগেই। আর তার মানেই ভালো যৌনসঙ্গম। আর নিয়মিত যৌনসঙ্গম যে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো তা কে না জানে।
১৪.সঙ্গীর স্বভাব বুঝতে সাহায্য করে চুমু। চুমু খাওয়ার স্টাইল দেখলেই বোঝা যায় সঙ্গী আদৌ আপনাকে কতটা ভালোবাসে। কিংবা আপনি সঙ্গীর সঙ্গে কতটা সুখী।
১৫. চুমু খেলে মুখের চামড়া নাকি দৃঢ় হয়। হতেই পারে। কারণ চুমু খাওয়ার সময় মুখের মাংসপেশী শক্ত হয়ে যায়। সেটা প্রমাণিত সত্য। তাছাড়া মুখের ব্যায়াম তো বিশেষ করা হয় না। তাহলে চুমু খান। অন্তত কিছুটা এক্সারসাইজ তো হবে।
১৬. ক্যালোরি বার্ন করতেও চুমু দারুণ কাজ দেয়। মুখের ক্যালোরি তো বটেই আর চুমু ফলে যে শরীরজুড়ে যৌন কামনা হয় তার ফলাফলের জন্য শরীরের ক্যালোরিও অনায়াসে বার্ন হয়ে যায়।
তাই ভাত, ডাল, মাছ, ওষুধের মতো নিয়মিত চুমুও খান। শরীর মন সুস্থ রাখুন।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-04 20:15:09
Source link
Leave a Reply