শরীরের তাপমাত্রার সামঞ্জস্যতা বজায় রাখা সম্ভব না হলে হজমে সমস্যা বা হজমজনিত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ইফতারিতে বা খাওয়ার পর ঠান্ডা পানি পান মারাত্মক ক্ষতির কারণ। এতে শ্বাসনালীতে ম্লেষ্মার অতিরিক্ত আস্তরণ সৃষ্টি হয়। ফলে শ্বাসতন্ত্র কার্যকারিতা হারায়।’
গরমের মধ্যে শরীরের তাপমাত্রার বিপরীত প্রতিক্রিয়া ক্যান্সার রোগের অন্যতম কারণ। ইফতারের পর অনেকে ফ্রিজ থেকে সরাসরি ঠান্ডা পানি বা ঠান্ডা পানীয় পান করেন। গরমে এভাবে পানি পান করা একদমই উচিত না। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পানের ফলে দাঁতের ভেগাস নার্ভের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে দুর্বল করে দেয়।’
ভেগাস স্নায়ু হলো মানবদেহের স্নায়ুতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পানের ফলে ভেগাস স্নায়ু উদ্দীপত হয়। এতে হৃদগতি হঠাৎ করেই কমে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে।
রোজা রেখে ইফতারের পর, শরীরচর্চা বা ওয়ার্কআউটের পর কখনোই ঠান্ডা পানি খাওয়া উচিত নয়। ওয়ার্কআউটের পর শরীরে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই তাৎক্ষণিক বেড়ে যায়। এই সময় সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি পানের ফলে শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার সামঞ্জস্য বজায় রাখা সম্ভব হয় না।
সূত্র : যুগান্তর
এম এন / ০১ মে
স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-05-01 14:39:23
Source link
Leave a Reply