সেই তীব্রতার পাকেচক্রে পড়েই রিনির পার্সোনাল ডায়রিটা খুলেছিল সোমনাথ। মনকে স্বান্ত্বনা দিয়েছিল এই বলে যে, রিনি তার নিজের স্ত্রী। সুতরাং তার ব্যক্তিগত ব্যাপারে একটু আধুটু নাক গলানোই যায়। আর তা যদি হয় পার্সোনাল ডায়রি, তাহলে তো কথাই নেই। সোমনাথের বিরুদ্ধে কোনও অভাব অভিযোগের কথাও নিশ্চয়ই রিনি তার ডায়রিতে লিখেছে। তা সেসব পড়ে যদি নিজেকে শোধরানো যায় তাহলে ক্ষতি কী? অগত্যা প্যান্ডোরার বাক্সের মতো রিনির পার্সোনাল ডায়রিটি খুলে ফেলে সোমনাথ।
প্রথম কয়েক পাতা সাদামাটা কথা। সরল রিনির সরল মনের কথাবার্তা। পড়তে পড়তে হাসি পাচ্ছিল সোমনাথের। কিন্তু যত পাতার সংখ্যা বাড়তে লাগল ততই সোমনাথের কপালে ঘাম দিতে শুরু করল তা। দাম্পত্য জীবনে রিনি যে এতটা অসুখী তা কোনোদিন টেরই পায়নি সোমনাথ। আসলে রিনি সবসময় সবকিছু হাসি মুখে থাকে। মনেই হয় না যে ওর জীবনে কোনও অভাব অভিযোগ আছে। কিন্তু সেই রিনি নিজের ডায়রির পাতায় এসব কী লিখেছে?
সোমনাথ আর রিনির বিয়ে হয়েছে বছর পাঁচেক। প্রথম এক-দেড় বছর আর পাঁচটা দম্পতির মতোই জীবন কেটেছে ওদের। পৃথিবীটা ওদের কাছে রঙিনই ছিল। কিন্তু কিছুদিন পর সোমনাথের কিন্তু শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। তার চিকিৎসা চলে। সঙ্গে কড়া কড়া ওষুধ। আর তার পর থেকেই যেন সোমনাথের যৌনতার প্রতি আগ্রহ কমতে থাকে। আগ্রহ কমেছে বললে ভুল। আসলে কড়া ওষুধের প্রভাবে ওর পুরুষাঙ্গ একরকম অসাড় হয়ে গেছে। তাই শরীরে কামনা জাগলেও ইন্টারকোর্সের অক্ষমতার কথা ভেবে রিনির বেশি কাছে যায় না সে। কাজের অছিলা কিংবা ক্লান্তির অজুহাত দেখিয়ে রাতের পর রাত পাশ ফিরে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়।
রিনির বয়স মাত্র ৩২। পাঁচ বছরের বিবাহিত জীবনে দুই বছরও যৌনসুখ পায়নি সে। কিন্তু সোমনাথকে ছেড়ে দেওয়ার কথা সে ভাবতেও পারে না। মনের অস্বস্তি মনে চেপে রেখে সকলের সামনে হাসিমুখেই থাকে।
কিন্তু তার ডায়রি সত্যিটা সোমনাথের সামনে নিয়ে আসে। বলাবাহুল্য, রিনিকে পাগলের মতো ভালোবাসে সে। তাই এবার সমস্যার সমাধানের কথা ভাবতে শুরু করে। বন্ধুর পরামর্শে বিশেষজ্ঞের কাছে যায় সোমনাথ।
সোমনাথের সমস্ত কথা শুনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ এই যে, চিকিৎসার কারণে পুরুষাঙ্গ অসাড় হয়ে গেলে তার সমাধান রয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে নির্দিষ্ট ইনজেকশন, ভায়াগ্রা, ভ্যাক্যুম পাম্প ব্যবহার করা যায়। এর ফলে রক্তচলাচল দ্রুত হয়ে পুরুষাঙ্গ দৃঢ় হয়। এবং সেই দৃঢ়তা থাকে অনেক্ষণ। এক্ষেত্রে অনেক সময় হ্যান্ডজব-ও খুব ভালো কাজ দেয়।
ইন্টারকোর্স ছাড়াও সঙ্গিনীকে যৌন সুখ দেওয়া যায়। এবং সেই সুখ কোনও অংশে কম নয়।
সঙ্গিনীকে চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দিন। আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরা, ফোরপ্লে, ওরাল সেক্স যৌনবাসনা পূরণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
কামনা ভরা স্পর্শ, ফুল বডি মাসাজও শরীরী সুখের অন্যতম চাবিকাঠি।
পেনিট্রেশনে সমস্যা থাকলে হাত কিংবা শরীরের অন্য অঙ্গ দিয়েও সঙ্গিনীকে চরমসুখ উপভোগ করানো যায়।
এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা আরেকটি পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাঁদের মতে, যৌনাঙ্গ সহ শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গগুলিতে আলতো ছোঁয়ার মাধ্যমে হালকা অনুভূতি জাগান। বেশ কিছুক্ষণ একইভাবে স্পর্শের পর আচমকাই প্রেশার দিতে থাকুন। সঙ্গিনী উত্তেজিত হয়ে উঠতে শুরু করবে।
সপ্তাহে অন্ততপক্ষে পাঁচদিনই কম বেশি শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করুন। এসে শারীরিক এবং মানসিক সুখ দুই থাকবে। সঙ্গিনীকে শারীরিকভাবে তৃপ্ত করতে পারলে পুরুষ সবচেয়ে বেশি সুখি হয়। তাই পুরুষাঙ্গে সমস্যা থাকলে তা এড়িয়ে যাবেন না। চিকিৎসা করান, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। যৌনতার নিত্যনতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করুন।
পশ্চিমী দুনিয়ায় যৌনসুখে খামতি দেখা দিলে দম্পতিরা নতুন সঙ্গীর সঙ্গে সেই সুখ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে দুজনেরই সম্মতি থাকে। কিন্তু আমাদের জীবনযাত্রায় আজও একে অবাঞ্ছিত। তাই নিজের সংসারে থেকেই দাম্পত্যজীবনে সুখ পান। একে অপরের সমস্যার সমাধান করে ভালোবাসাকে নতুন মাত্রা দিন।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-04-26 22:02:44
Source link
Leave a Reply