বয়স ৩০ হতে চলেছে…এই উপায়ে নিয়ন্ত্রণে রাখুন ওজন – Kolkata24x7

প্রতিটি মানুষের শারীরিক গঠন একে অপরের থেকে আলাদা এবং সে কারণে প্রত্যেকের ওজন কমানোর যাত্রাপথটিও আলাদা। তবে ওজন কমাতে গিয়ে সঠিক খাদ্য গ্রহণ, শরীরচর্চা করা এবং সুস্থ জীবনযাপন এগুলি সব ক্ষেত্রেই একই থাকে শুধু তা গ্রহণ করার পদ্ধতি পাল্টে যায়।

বয়স, লিঙ্গ, শারীরিক পরিস্থিতি এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা এই সমস্ত কিছুই একজন মানুষের ওজন কমাতে প্রভাব ফেলে। লক্ষ্য করবেন যে যখন আমরা ছোট থাকি সেই সময় আমাদের মেটাবলিজম খুব ভালো কাজ করে।

তবে যত বয়স বাড়তে থাকে ততো শারীরিক জটিলতা আসে ক্লান্তি, মানসিক চাপ এবং কায়িক পরিশ্রমের ফলে। তাই একজনের কুড়ি বছর বয়স এবং ত্রিশ বছর বয়সে ওজন কমানোর পদ্ধতি আলাদা হয়। এই কারণে নিজের বয়সকে মাথায় রেখেই ওজন কমানোর প্ল্যান করা উচিত এখানে এমন কিছু জানানো হলো যেগুলি আপনি ত্রিশ বছর বয়স হওয়ার আগেই শুরু করতে পারেন।

১. আজকাল রোগা হওয়ার জন্য এমন বেশ কিছু ডায়েট রয়েছেন যেগুলি প্রতিশ্রুতি দেয় যে খুব কম সময়ে বেশি পরিমাণে ওজন ঝরাতে সক্ষম। তাই যেসব ব্যক্তিরা ত্রিশের কোঠায় পা দিতে চলেছেন তারাই এই ট্রেন্ডগুলির ফাঁদে পা দেন।

আরো পোস্ট- প্রশ্বাসের সমস্যায় এই ঘরোয়া কৌশল একদম নয়

এমনকি শরীরকে কঠিন পরিস্থিতির মুখে ফেলেও তারা রোগা হবার সংকল্প ত্যাগ করে না। এগুলির ফলে আপনার ওজন কমলেও শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা যায়। তাই সঠিক খাবার এবং সুস্থভাবে খাওয়ার পরিকল্পনা করুন। প্রতিটা খাবার কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন তার উপর নজর দিন।

২. সপ্তাহের শেষে দুই থেকে তিন গ্লাস অ্যালকোহল ফান করতেই পারেন কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত পান আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক অ্যালকোহলের প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে এবং কোন পুষ্টি গুণ থাকে না। তাই যেটুকু পরিমাণ অ্যালকোহল পান করবেন সেই পরিমাণ আপনার শরীরে বাড়তি ক্যালোরি যোগ হবে।

তাই আলকোহল ছেড়ে চেষ্টা করুন বেশি পরিমাণে জল পান করার। যত জল পান করবেন আপনার মেটাবলিজম রেট তত বাড়বে এবং ওজন তত দ্রুত করবে।

৩. বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অনেকে শরীরে ডায়াবেটিস থাইরয়েড এর মত রোগ দেখা দিতে থাকে। এরকম সময়ে বেশিক্ষণ না খেয়ে থাকা শরীরের পক্ষে ঠিক নয়। উপোস করে থাকলে শরীরের মেটাবলিজম বাড়ে এবং পেটের মেদ কমে। তবে উপোস করা এবং ক্ষুধার্ত থাকা এক নয়। উপোস করে থাকলে ওজন কমবে কিন্তু ক্ষুধার্ত থাকলে অপুষ্টির শিকার হবেন।