মাথার নিচে ঝরঝরে এক টুকরা বালিশ না হলে অনেকেরই রাতের ঘুম হারাম। আর তার উপর যদি হয় বর্ষার মৌসুম যখন চারপাশের সবকিছুই স্যাঁতস্যাঁতে তখন বালিশের যত্নটা একটু বেশীই জরুরি হয়ে উঠে। বালিশ পরিষ্কার রাখলে অনেক রোগবালাই-এর হাত থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।
প্রতি ৪-৬মাস অন্তর বালিশ পরিষ্কার করা প্রয়োজন। তুলায় তৈরি বালিশ ধোবার সময় সাবানের তুলনায় ডিটারজেন্টই বেশী কার্যকর হবে। ডিটারজেন্ট পানিতে ধোয়ার পরে বালিশগুলোকে আবার ঠান্ডা পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নেবেন। চাইলে বালিশ ওয়াশিং মেশিনেও ধুতে পারেন। সেক্ষেত্রে ওয়াশিং মেশিনের মধ্যে ডিটারজেন্ট গুলে নিন। এরপর বালিশ চেপে চেপে ভেতরের বাতাস বের করে নিন। এবার ওয়াশিং মেশিনে দিয়ে সফট ওয়াশিং অপশন সিলেক্ট করে দিন। এভাবে বালিশ ধুয়ে নিলে শুকাতে একটু বেশী সময় লাগবে। বালিশগুলো ওয়াশিং মেশিন থেকে বের করে আবার একটু পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর ২ ফোটা ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে তাতে বালিশগুলো ডুবিয়ে তুলুন। একই ভাবে সিন্থেটিক তুলার তৈরি বালিশও পরিষ্কার করা সম্ভব। তবে সিন্থেটিক তুলায় তৈরি বালিশ ধোয়ার সময় ও ধোয়ার পরে খুব বেশী চাপাচাপি করবেন না। এতে ফাইবারগুলো বেশী মুচড়ে যাবে। ফোমের তৈরি বালিশ হাতে পরিষ্কার করুন। এটা ওয়াশিং মেশিনে দেবেন না। পানিতে ডিটারজেন্ট গুলে নিয়ে তাতে পানি ঢেলে তরল তৈরি করে নিন। এবার ফোমের বালিশের উপর সেই তরল ঢেলে হাত দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। বর্ষায় এসব বালিশে ২টা কভার ব্যবহার করুন। একটা নোংরা হলেও অপর একটা আপনার বালিশকে ধুলো ময়লার হাত থেকে রক্ষা করবে। যদি বাড়িতে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার থাকে তাহলে বালিশ পরিষ্কারে ব্যবহার করুন। রোদের সাড়া পেলেই একটু বাইরে রোদে দিন বালিশগুলোকে।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, জুলাই ০৭, ২০০৯
Leave a Reply