‘আদাজল খেয়ে লাগা’ বলে একটা প্রবাদ আছে বাংলা ভাষায়। আদার সমৃদ্ধ খাদ্যমানের কারণেই বিজ্ঞজনেরা এই প্রবাদ প্রচলন করেছিলেন, সন্দেহ নেই। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খাদ্যতালিকায় আদা একটি অত্যাবশ্যকীয় নাম। রসুইঘর থেকে শুরু করে খেলার মাঠ—সবখানেই বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের শরীরের একাধিক চাহিদা পূরণ করে আসছে এই খাদ্য উপকরণটি। একটু ঠান্ডা লেগে গেলে কিংবা খেলার মাঝে হাঁপিয়ে উঠলে আদা চাই। আদা চাই গরম এক কাপ চায়ের মধ্যে অথবা যেকোনো রান্নায়। মাটির নিচে জন্ম নেওয়া এই মসলাজাতীয় খাবারটিতে আছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম। আছে যথেষ্ট পরিমাণ আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ফরফরাসের মতো খনিজ পদার্থ। এ ছাড়া সামান্য পরিমাণে হলেও আছে সোডিয়াম, জিংক ও ম্যাঙ্গানিজ।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আদা থাকলে যেকোনো ধরনের ঠান্ডাসংক্রান্ত রোগবালাই ও হাঁপানির আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাকস্থলীর অনেক সমস্যা থেকেও রেহাই মেলে আদা সেবনে। এ ছাড়া সকালে উঠলে অনেকেরই শরীর ম্যাজম্যাজ করে, কিংবা দুর্বল বোধ করেন। এ ক্ষেত্রেও আদা বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের ক্ষেত্রেও ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে আদা। এ ছাড়া চুল পড়া রোধেও তা বেশ কাজে দেয়। ভিটামিন ‘ই’, ‘এ’, ‘বি৬’ এবং ‘সি’র পরিমাণও কম নয় আদার মধ্যে। এ ছাড়া রক্তের প্লাটিলেট ও কার্ডিওভাসকুলার কার্যক্রম ঠিক রাখতেও তা দারুণ কার্যকর।
মাহফুজ রহমান
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১০
আদা কোন সময়-এ খা্ওয়া ভাল? খালি পেট অথবা ভরা পেট, সকাল অথবা দপুর এরকম কোন নিয়ম আছে কিনা?
আর সেই সাথে মধু এবং রসুন খা্ওয়ার নিয়মটা ও বললে খুসি হব।
(যদি পারেন উপকারিতা এবং অপকারিতা জানাবেন।)
আলাদা কোনো নিয়ম বা সময় নেই। আদা, রসুন সাধারণত রান্না করেই খেতে পারেন। রসুন দিয়ে ডাল রান্না করতে পারেন। খাওয়ার পরে বুকজ্বালা করলে একটু কাঁচা আদা চিবুতে পারেন।
চিনির বদলে মধু ব্যবহার করতে পারেন। যেমন রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধের সাথে একটু মধু।
মাত্রাতিরিক্ত না খেলে অপকারিতা কিছু নাই।
আদার কি কোন অপকারিতা আছে?
কোন অপকারিতা নেই, তবে জন্ডিস বা আলসার হলে খাওয়া উচিত নয়।
খাওয়ার পরে কাঁচা আদা এবং লবণ খেলে কণ্ঠ পরিষ্কার খাকে।আদা এবং লবণ মিশিয়ে শুখিয়ে রেখে খেলে কি একই উপকার পাওয়া যাবে ?
হ্যাঁ যাবে।
খাওয়ার পরে কাঁচা আদা এবং লবণ খেলে কণ্ঠ পরিষ্কার খাকে।আদায় লবণ মিশিয়ে শুখিয়ে খেলে কি একই উপকার পাওয়া যাবে নাকি লবণ মিশিয়ে শুখানোর কারণে আদার গুনাবলি কমে যাবে অথবা নষ্ট হয়ে যাবে ?
প্রেগন্যান্সিতে সকালে ও রাতে খাবারের পর আদা জল খেলে কোন সমস্যা হবে?