মায়ের দুধ শিশুদের অ্যাজমা প্রতিরোধে অব্যর্থ অস্ত্র। শিশুর আট বছর বয়স পর্যন্ত অ্যাজমার ঝুঁকি এড়াতে চাইলে জন্মের
প্রথম ছয় মাস অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। নতুন এক গবেষণায় এমনই এক তথ্য পাওয়া গেছে। মায়ের দুধের মধ্য দিয়ে উপকারী ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবডি এবং প্রোটিন শিশুর দেহে স্থানান্তরিত হয়। যার ফলে শিশুর দেহে প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। অ্যাজমায় আক্রান্ত আট বছর বয়সী কিছু শিশুর ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, জীবনের প্রথম ছয় মাস যাদের ভালোভাবে মাতৃদুগ্ধ পান করানো হয়েছিল তাদের অধিকাংশরই অন্যদের তুলনায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ছিল বেশি। বুকের দুধ শিশুদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। শিশুদের যে কোনো রোগ থেকে দূরে রাখতে চাইলে মায়ের বুকের দুধের বিকল্প নেই। এবং বুকের দুধ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, তেমনি অন্যান্য রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ক্ষমতা অর্জন করে শিশু। ডাক্তারবাড়ি থেকে শিশুকে দূরে রাখতে চাইলে দীর্ঘ দিন ধরে বুকের দুধ পান করাতেই হবে। বুকের দুধ পানের সুফলের অন্ত নেই, তা মা ও শিশু উভয়ের জন্যই। অ্যাজমার বিরুদ্ধে লড়তে চাইলে বুকের দুধ হতে পারে সবচেয়ে ভালো পন্থা।
— সিদ্ধার্থ মজুমদার
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ১১, ২০১০
Leave a Reply