হাইলাইটস
- সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু রোগ হারিয়ে যায়, আবার কিছু রোগ জাঁকিয়ে বসে।
- একবিংশ শতাব্দীতে ক্যানসার বাড়ছে ভীষণ ভাবে। এবং নারীদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
- বেশ কিছু ক্ষেত্রে তা এমনকি মৃত্যুর দিকেও ঠেলে দিচ্ছে নারীদের।
ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না, তা জানার সাধারণ উপায় হল ম্যামোগ্রাম করা। গাইনকলজিস্ট ডা মাধুরী বুরান্দে লাহার মতে, কোন বয়সের মহিলা ম্যামোগ্রামের পরীক্ষা করেন, তার কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। কোথাও বলা হয় যে, এক বার তিরিশ পেরোলেই করে নেওয়া দরকার এই ম্যামোগ্রাম। আবার কোনও কোনও সমীক্ষা বলছে, ঠিক ৪৫ বছর হওয়ার আগে করিয়ে ফেলতে হবে ম্যামোগ্রাম। তবে চিকিৎসকের মতে, কোনও নারী যদি ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে ম্যামোগ্রাম করান, তা হলে অনেক ক্ষেত্রেই ফলস পজিটিভ আসতে পারে রেজাল্ট।
তা হলে কি ৪০ বছর বয়সের নীচের মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেশি?
চিকিৎসকের বক্তব্য, সাধারণত কমবয়সি মহিলারা এটা মানতেই চান না যে, তাঁদের ব্রেস্ট ক্যানসার হতে পারে। আর এ কথাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না যে, ব্রেস্ট ক্যানসারের কোনও নির্দিষ্ট বয়স নেই। যে কোনও সময়েই থাবা বসাতে পারে এই রোগ। তাই ৩০ পেরোনো সমস্ত মহিলাদেরই সতর্ক থাকা উচিত।
ব্রেস্ট ক্যানসারের থাবা থেকে বাঁচতে কী কী করণীয়?
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, যদি ঠিক মতো সুস্থ জীবন যাপন করা যায়, তা হলে ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা কমে। এমনকি ৯০% ক্ষেত্রেই এটা দেখা গেছে যে, যদি তাড়াতাড়ি ব্রেস্ট ক্যানসার ধরা পড়ে, সে ক্ষেত্রে মানুষ শুধু বেঁচেই যায় না, খুব দ্রুত ফিরে আসতে পারে জীবনের সাধারণ স্রোতে। তাই ব্রেস্ট ক্যানসার রুখতে কয়েকটা ছোটখাট নিয়ম পালন করা বাঞ্ছনীয়।
- ১) নিজের বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী ঠিক মতো শারীরিক ওজন যেন থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখা উচিত।
- ২) যাঁরা মদ্যপানে অভ্যস্ত, তাঁরা অবশ্যই খেয়াল রাখুন, সেই পানের মাত্রা যেন অতিরিক্ত না হয়।
- ৩) প্রত্যেক দিন কোনও কোনও ভাবে শারীরিক চর্চা, ব্যায়াম ইত্যাদি করা উচিত।
- ৪) যে সমস্ত মহিলারা সন্তান ধারণ করছেন বা করার কথা পরিকল্পনা করছেন, তাঁরা অবশ্যই সময় হলে ব্রেস্ট ফিডিং করান। চেহারা ভেঙে যাবে বা দেখতে ভাল লাগবে না এই ভেবে ব্রেস্ট ফিডিং বন্ধ করানো উচিত নয়। তা আদতে সন্তান এবং মা দু’জনের জন্যই খারাপ বলে প্রতিপন্ন হয়।
কী ভাবে নিজেই পরীক্ষা করবেন?
কম বয়স থেকেই মহিলাদের সচেতন হওয়া জরুরি। সুস্থ জীবন যাপন করার পাশাপাশি নিজেরাই কয়েকটি পরীক্ষা করুন। প্রত্যেক দিন স্নান করার সময়ে স্তন পরীক্ষা করা অত্যন্ত আবশ্যিক। দেখে নিন, স্তনে কোথাও লাম্প তৈরি হচ্ছে কি না, স্তন বৃন্ত থেকে কোনও রকম ডিসচার্জের লক্ষণ চোখে পড়ছে কি না। এর পাশাপাশি স্তনের কোনও বিশেষ জায়গায় কোনও ব্যথা আছে কি না এবং স্তনের ওপরের চামড়ায় কোনও পরিবর্তন আসছে কি না, সে দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি।
নিজের সুস্থতা নিজের কাছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই রোগ হওয়া পর্যন্ত বসে থাকা নেহাতই বোকামির পরিচয় দেওয়া। সময় থাকতে সচেতন হোন। সামনেই ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা মাস। এই অছিলাতে হলেও যদি জরুরি কথাগুলো ফের মনে পড়ে যায়, তা হলে তা সুস্থতার দিকেই এগিয়ে দেবে আর এক ধাপ।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-10-25 15:21:45
Source link
Leave a Reply