হাইলাইটস
- যাঁরাই অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার থেকে ভোগেন,
- নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কোনও না কোনও পন্থা অবলম্বন করেন।
- সাধারণত, তাঁরা ওই পরিস্থিতিটাকেই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন
তবে বাতিস্তার এ হেন কালার্ড গ্লাসেস প্রেম কিন্তু শুধুই ফ্যাশনের অন্তর্গত নয়। তিনি আদতে অ্যাংজাইটির শিকার। এবং সেই অ্যাক্সজাইটি থেকেই বাঁচতে বা নিজেকে আড়াল করতে খানিক ‘প্যাসিফায়ার’ হিসেবে ব্যবহার করেন এই ধরনের চশমা। বাতিস্তা বলছেন, ‘আমি যখন খুব ছোট ছিলাম, আমার মুখ থেকে দুটো শব্দ বের করাই ছিল রীতিমতো ঝকমারির ব্যাপার। আমি এতটাই লাজুক ছিলাম। সব সময় মায়ের সঙ্গে সঙ্গে লেপ্টে থাকতাম।’ আমেরিকান অভিনেতা বাতিস্তা সম্প্রতি ৭৮তম ভেনিস আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এসে এমনটাই বলেছেন।
কিন্তু বাতিস্তার এই নেহাতই অন্তর্মুখী হওয়ার লক্ষণ থেকেই কি রঙিন চশমা পছন্দ? কী বলছেন মনোবিদরা? বিখ্যাত মনোবিদ ক্লেয়ার প্লাম্বলি বলছেন, ‘যাঁরাই অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার থেকে ভোগেন, নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কোনও না কোনও পন্থা অবলম্বন করেন। সাধারণত, তাঁরা ওই পরিস্থিতিটাকেই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। যদি একান্তই তা না করতে পারেন, তখন একমাত্র এমন কোনও উপায় নেন, যাতে খানিক হলেও সুরক্ষা বোধ করেন। একেই বলা হয় ‘সেফটি বিহেভিয়ারস’।’
এই সেফটি বিহেভিয়ারের তালিকায় অনেক কিছু থাকতে পারে। কেউ হয়তো কারও সঙ্গে চোখে চোখ মেলান না, কেউ ক্রমাগত ধূমপান করেন, কেউ হুডি পরে থাকেন। বাতিস্তার কথাই ধরা যাক। তিনি রঙিন চশমা পরতে পছন্দ করেন।
গ্রেগরি স্কট ব্রাউন আবার বলছেন, মানুষ কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে কী ভাবে খাপ কাহিয়ে নেবেন, তা একান্তই নির্ভর করছে সেই বিশেশ ব্যক্তি এবং পরিস্থিতির ওপরে। তিনি যেমন সে রকম অস্বস্তি বোধ করলে নিজেই নিভু আলোয় ঘর বন্ধ করে যোগ ব্যায়াম করতে পছন্দ করেন। তাই তাঁর বক্তব্য, বাতিস্তাকে যদি রঙিন চশমা সেই নিরাপত্তার আঁচ দেয়, তা হলে তাই সই। তাতে অন্তত ক্ষতি কিছু হবে না।
অর্থাৎ, রঙিন চশমা মানেই কিন্তু স্টাইল করা, ফ্যাশন স্টেটমেন্ট ক্যারি করা নয়। আসলে সত্যিই কোনও কিছুর আড়ালে কী কী লুকিয়ে আছে, অন্য কী জড়িয়ে আছে, তার সবটা কি আর আমরা জানতে পারি!
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-10-25 17:58:34
Source link
Leave a Reply