সবার আগে নিজের সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ হতে বা ভদ্র হওয়ার শিক্ষা দিন। সকলকে সম্মান জানাতে ও মর্যাদা দিতে শেখান। এ ক্ষেত্রে শুধু বড়দেরই নয়, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলকে সম্মান জানানোর ও মর্যাদা দেওয়ার শিক্ষা দিতে হবে। তাঁদের বোঝাতে হবে সকলে এক সমান।
২. মহিলাদের সম্মান জানাতে শেখান
মহিলাদের সম্মান জানানো ও তাঁদের সমর্থন করাও একই ভাবে জরুরি। পুরুষ হিসেবে একজন বাবাই নিজের ছেলেকে এ বিষয় সুশিক্ষা দিতে পারেন। ছেলেকে প্রত্যেক মহিলার সঙ্গে ভালো আচরণ ও তাঁদের সম্মান রক্ষা করতে শেখান। ভুলেও তাঁরা যাতে কোনও মেয়ে মর্যাদাহানি না-করে সে বিষয় সুশিক্ষিত করে তুলুন নিজের পুত্র সন্তানকে।
৩. রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা
পুরুষরা রাগী, বদমেজাজি বা হিংস্র হয়— এমন কথা প্রায়ই শোনা যায়। তবে নিজের ছেলেকে এবার রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে শেখান। কথায় কথায় রেগে যাওয়া বা কারও সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়া কখনও পৌরুষত্বের চিহ্ন হতে পারে না, এটি নিজের ছেলেকে স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দিন।
৪. জয় ও পরাজয়ের গুরুত্ব
জয় ও পরাজয় জীবনের একটি অংশ মাত্র। ছেলেকে শেখাতে হবে, যে কোনও প্রতিযোগিতাতেই তাঁরা অংশগ্রহণ করুক না-কেন, সেখান থেকে শুধু একজনই জয়ী হতে পারবে। জয়ী হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করাই শুধু তাঁদের হাতে রয়েছে। তাই পরিশ্রম করে যাক। জয় লাভ করলে আনন্দে আত্মহারা হয়ে সকলকে অবহেলা করার যেমন কোনও কারণ নেই, তেমনই পরাজিত হলে ভেঙে পড়তে দেবেন না নিজের সন্তানকে।
৫. সন্তান যেন নিজের মনের কথা খুলে বলতে পারে
ছেলেদের কাঁদতে নেই বা ছেলেরা কাঁদলে তা দুর্বলতার প্রতীক— এমন কথা শুনে আসছি আমরা প্রত্যেকে। কাঁদলে মেয়েলিপনার তকমা লাগার ভয় অনেক ছেলেই মনের কথা বা কষ্ট মনেই লুকিয়ে রাখে। এবার পরিবর্তনের সময় এসেছে। নিজের ছেলেকে মনের কথা প্রকাশ করতে শেখান। দুঃখিত হলে তাঁদের কাঁদতে দিন। মেয়েদের মতো কাঁদছে ইত্যাদি বলে তাঁদের মনোভব চাপা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না বা কাউকে করতেও দেবেন না।
৬. দায়িত্ব নিতে শেখান
দায়িত্ব গ্রহণের গুরুত্ব বোঝান তাঁদের। পরিস্থিতি যা-ই হোক না-কেন, দায়িত্ব ছেড়ে যাতে পলায়ন না-করে, সে বিষয় শিক্ষা দিন ছেলেকে। তাঁরা ভালো কাজের শ্রেয় যেমন সানন্দে গ্রহণ করবে, তেমনই নিজের ভুল-ত্রুটির দায়িত্বও যাতে মাথা পেতে নেয়।
৭. বাড়ির সাধারণ কাজ করতে শেখান
অধিকাংশ ভারতীয় পরিবারেই ছেলেদের দিয়ে বাড়ির কাজ করানো হয় না। স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ির কোনও কাজও শেখানো হয় না তাঁদের। কিন্তু এবার থেকে ছেলেকে তাঁদের নিজের কাজটুকু নিজে করতে শেখান। নিজের কাপড় নিজে ইস্ত্রি করা, আলমারি, বইখাতা গুছিয়ে রাখা ইত্যাদির জন্য তাঁদের যাতে কারও মুখাপেক্ষী হয়ে না-থাকতে হয়। আবার টুকটাক রান্নাও শিখিয়ে রাখতে পারেন। প্রয়োজন পড়লে যাতে তাঁরা নিজের রান্না করে খেতে পারে, সে বিষয়টি সুনিশ্চিত করুন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-11-03 16:06:20
Source link
Leave a Reply