সমস্যাঃ আমার বয়স ৩৬ বছর, ওজন ৭৮ পাউন্ড। আমার ব্লাড প্রেসার ১১০/৮৫-এর মধ্যে থাকে। মাঝেমধ্যে ১২০/৯০ হয়, তখন আমি একটু অস্থিরতা অনুভব করি। আমি জানতে চাই, যদি আমার প্রেসার হঠাৎ খুব বেড়ে যায় এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকে, সে ক্ষেত্রে বাসায় নিজের প্রেসার মেপে কোনো ওষুধ বা অন্য কোনো উপায়ে প্রেসার কমানোর ব্যবস্থা আছে কি?
হাদী চৌধুরী
রোনালস্ রোড, ঝালকাঠি।
সমস্যাঃ উচ্চ রক্তচাপে আমার পরিবারের কয়েকজন সদস্য আক্রান্ত। অধিক দুশ্চিন্তা, খাদ্যের তারতম্যের কারণে মাঝেমধ্যে এ রোগের উপসর্গ দেখা যায়। তাই এ রোগের উপসর্গ দেখা মাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা কী হবে এবং পরে কীভাবে চলতে হবে তা জানালে খুব খুশি হব।
জয়দেব
রাজারহাট এম আই কলেজ
রাজারহাট, কুড়িগ্রাম।
পরামর্শঃ আপনাদের মতে অনেকেরই ভয় থাকে, রক্তচাপের সামান্য তারতম্য হলেই দেহযন্ত্রের কোনো একটা অঘটন বুঝি ঘটে যাবে। আসলে কিন্তু তা নয়। জীবনের একটা পরিচায়ক হলো পরিবর্তন। কাজেই জীবন্ত মানুষের ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ যে তার দেহের চাহিদা ও মনের অবস্থা অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে, সেটা বলাই বাহুল্য। আমরা শুয়ে থাকলে বা ঘুমিয়ে থাকলে পুরো দেহযন্ত্রটিও বিশ্রামে থাকে। কাজেই শরীরের চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় রক্তচাপও তখন স্বভাবতই কম থাকবে। আবার আমরা যখন সকালে জগিং করছি বা জোর পায়ে হেঁটে গিয়ে চটজলদি অফিসের বাসে উঠছি, তখন দেহের চাহিদা অনুযায়ী রক্তচাপও আগের চেয়ে কিছুটা বেশি হতেই হবে। আর কখনো যদি খুব রেগে গিয়ে মাথায় রক্ত চড়ে যায়, তখন কিন্তু রক্তচাপও খুবই বেশি থাকে। পরক্ষণেই মাথা ঠান্ডা হলো তো রক্তচাপ তার স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে এল। আমাদের দেহযন্ত্রটি তাই স্বাভাবিকভাবেই এ রকম রক্তচাপের ওঠা-নামা বা তারতম্যের জন্য যথোপযুক্তভাবেই তৈরি করেছেন সৃষ্টিকর্তা। যারা উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের রোগী, তাদের সমস্যা হলো এই রক্তচাপ ওঠা-নামার বিষয়টি তাদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি আকারে বা ম্যাগনিফাইডভাবে হয়। ফলে তাদের ভয়ের মাত্রাটিও বেড়ে যায় অনেকখানি। এ ক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, আপনার নিয়মিত ওষুধটি খেয়ে বেসলাইন রক্তচাপটিকে ঠিক রাখা। আর যে কারণে এ রকম ওঠা-নামা বেশি হয়, সে রকম পরিস্থিতি বা কর্ম এড়িয়ে চলা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব রোগীর ওষুধ বাড়ানোর প্রয়োজন নেই, বরং সামান্য দুশ্চিন্তা কমানোর ওষুধ বা ঘুমের ওষুধ খেলেই তাদের রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে আসে। একটুখানি গান শুনলে বা প্রিয়জনের সঙ্গে বাইরে পায়চারি করে এলেও কিন্তু এ ক্ষেত্রে উপকার হবে। আপনারা দুজনই যেমন রোগ হওয়ার আগেই ভয় পেয়ে ওষুধ খেতে চাইছেন, তা না করাই ভালো। লবণ কম খাওয়া, চর্বিযুক্ত খাদ্য এড়িয়ে চলা, ধূমপান না করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা বা হাঁটা, প্রচুর ফলমূল-শাকসবজি, মাছ খাওয়া এবং দুশ্চিন্তার মাত্রা কমিয়ে আনার চেষ্টা করে একটি ডিসিপ্লিনড লাইফের ছকে এলে আপনাদের মতো রোগীদের বহুদিন পর্যন্ত কোনো ওষুধ ছাড়াই রক্তচাপ স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখা সম্ভব।
পরামর্শ দিয়েছেন
আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী
সহযোগী অধ্যাপক, কার্ডিওলজি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, এপ্রিল ০৮, ২০০৯
অভিক
আমার বয়স আঠারো.আমার সবসময় প্রেসার বেশী থাকে এবং ঘাড় চিন চিন করে.আমাদের বংশগত প্রেসার সমস্যা সবার আছে.ডাক্তার আমাকে ইনডেভার আর টেনোকেব খেতে বলে.হঠাত বেশী খারাপ লাগলে ঔষধ না থাকলে কি করব?
Bangla Health
নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের উপর থাকেন। দুশ্চিন্তা এড়িয়ে চলবেন। ধূমপান করবেন না। কাঁচা লবন একদম খাবেন না। এমনিতে খাবারে লবন কম খাবেন। লাইফস্টাইল সুন্দর রাখবেন। হঠাত খারাপ লাগলে যতটা সম্ভব রিলাক্সে থাকার চেষ্টা করবেন।