হাইলাইটস
- ২০১২-এ বলিউডে কেরিয়ার শুরু করেছেন আলিয়া। বলিউডের সফল অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি একজন।
- তাঁর মুক্তঝরা হাসি দেখে খুব কম মানুষই ভাববেন তিনি কখনও মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার মুখোমুখি হননি।
- খুব কম মানুষই জানেন, তিনিও শিকীর হয়েছিলেন অবসাদের।
- সেই অবস্থা থেকে কী ভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে আলিয়া জানিয়েছেন, তিনি এমন কিছু বিষয় নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন, যা তাঁর নিয়ন্ত্রণে ছিল না। অনেক বেশি ভাবতাম তিনি। এমনও সময় গিয়েছে যখন একদিকে কঠিন পরিশ্রম করেছেন, অন্যদিকে অবসাদ ঘিরে ধরেছে। এখনও তাঁর স্ট্রেস হয়, কিন্তু ১০০ শতাংশ কাজ করার পর রেজাল্ট নিয়ে তিনি আর ভাবেন না। তিনি আরও জানান, উদ্বিগ্ন থাকার সময় কোনও কারণ ছাড়াই প্রায় সব সময় কান্না পেত তাঁর। এ সব তাঁর কাজেরও ক্ষতি করেছিল। সে সময় বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। আলিয়ার দিদি শাহিনেরও ডিপ্রেশন হয়েছিল এক সময়। শাহিনের লেখা বই সে সময় তাঁকে সাহায্য করেছিল বলেও জানিয়েছিলেন নায়িকা।
দুশ্চিন্তায় ভুগেছিলেন আলিয়া
ফিল্মফেয়ার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আলিয়া নিজের সম্পর্কে অনেক কিছু প্রকাশ করেছিলেন। ২০১৯ সালের, আলিয়া এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছিলেন। সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, আমি হঠাৎ খুশি বোধ করি এবং এর পর দুঃখও অনুভব করেন।
সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য তাঁর বোনকে ধন্যবাদ জানান আলিয়া
শাহিনের লেখা বই সে সময় তাঁকে সাহায্য করেছিল বলেও জানিয়েছেন অভিনেত্রী। রোগটি কতটা খারাপ তা আমি পরোয়া করি না। যখন আলিয়া উদ্বেগের সঙ্গে লড়াই করছিলেন, তখন মাঝে মাঝে তার মনে হতো বিনা কারণে তিনি কাঁদছেন। কিছুক্ষণ পরে সবকিছু আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করে। শুরুতে এটা বিভ্রান্ত ছিল। উদ্বেগ অনেক কারণে হতে পারে, যেমন কাজের উচ্চ চাপ এবং আপনার খারাপ জীবনধারা ইত্যাদি।
অবসাদের লক্ষণগুলি কী কী
- ঘুমের ধরনে পরিবর্তন: বেশি ঘুমানো, খুব কম ঘুমানো, ঘুমের মধ্যেও অস্থিরতা
- খাদ্যাভ্যাসে আমূল পরিবর্তন: খুব বেশি খাওয়া, কম খাওয়া, বার বার খাওয়া
- সামাজিক ব্যবহারে আমূল পরিবর্তন: রাগের সঙ্গে মারাত্মক আবেগপ্রবণতা, এক টানা কান্না, আগ বাড়িয়ে ঝগড়া করা
- ক্লান্তি অনুভব করা, আশাহীনতা, অসহায়তায় ভোগা, দুশ্চিন্তায় ভোগা
- পছন্দের কাজ, হবি, খাবার, খেলা, ক্লাস, বন্ধুদের সম্পর্কে উৎসাহ হারিয়ে ফেলা
- বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখা
- নিজের ক্ষতি করার চেষ্টা বা নেশায় আসক্তি
- ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস শুরু করা
- আত্মহত্যার চিন্তা বা আত্মহত্যার চেষ্টা
যদি মনে হয়, এ মধ্যে যে কোনও একটা আপনার মধ্যে দেখা যাচ্ছে, দ্রুত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। মাথায় রাখতে হবে— এর মধ্যে মাত্র এক-দুটো উপসর্গ নিয়মিত ভাবে থাকলে, বা সবকটা উপসর্গই অনিয়মিত ভাবে থাকলে তা অবসাদের লক্ষণ নাও হতে পারে। তবে রোগ আছে কি নেই তা নির্ণয়ের জন্য একজন মনস্তত্ত্ববিদ বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-09-06 13:02:46
Source link
Leave a Reply