হাইলাইটস
- বিশেষজ্ঞদের মতে বাচ্চারা নাক খুঁটেই থাকে, এটি স্বাভাবিক কিন্তু অরুচিকর।
- ছোটবেলা থেকে এই অভ্যাস রপ্ত করে বাচ্চারা, যা প্রাপ্তবয়স্ক হলেও থেকে যেতে পারে।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
তাঁদের মতে বাচ্চারা নাক খুঁটেই থাকে, এটি স্বাভাবিক কিন্তু অরুচিকর। ছোটবেলা থেকে এই অভ্যাস রপ্ত করে বাচ্চারা, যা প্রাপ্তবয়স্ক হলেও থেকে যেতে পারে। ১৯৯০ সালের একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে, ৯১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা প্রতিদিন নাক খুঁটে যান, আবার এঁদের মধ্যে ৮ শতাংশ নাক খুঁটে যা বার করেন, তা খেয়ে ফেলেন। বাচ্চাদের নাক খুঁটতে বা সেগুলি খেয়ে ফেলতে দেখে আঁতকে ওঠেন অভিভাবকরা। আবার নাক খুঁটে জামা কাপড়ে হাত মোছার অভ্যাসেও বিরক্ত তাঁরা। এটি সামাজিক ভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং অস্বাস্থ্যকর।
বাচ্চারা কেন নাক খোঁটে
বাচ্চাদের একঘেয়ে লাগলে, নার্ভাস হলে, কোনও কারণে চাপে থাকলে তারা এমন করে। আবার মিউকাস শুকিয়ে গিয়ে জমাট বাঁধলে সেটি বার করার জন্য তারা তৎপর হয়ে ওঠে।
কী করবেন
১. নিজের সন্তানের নাক খোঁটার অভ্যাস ছাড়াতে না-পারলে, তাদের এই অভ্যাস থেকে তাঁদের নজর সরানোর চেষ্টা করতে পারেন। সন্তান কিন্ডারগার্টেনের জন্য প্রস্তুত হলেই এর থেকে ধীরে ধীরে তাঁদের দৃষ্টি সরিয়ে আনার চেষ্টা করুন। নাক খোঁটার ফলে নাকের অভ্যন্তরের অংশে লেগে গিয়ে রক্ত বেরোতে পারে, আবার শিশু সরাসরি সর্দির ভাইরাসের শিকার হতে পারে। আবার ক্রমাগত নাক খুঁটে গেলে নাক ফুলে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে নাকে হাত দেওয়ার প্রবণতা আরও বেড়ে যাবে।
২. অনেক বাচ্চাই অরুচিকর জিনিসকে আরও আপ টু ডেট মনে করে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের যদি বলেন যে, সে যা করছে তা অত্যন্ত ঘৃণিত, তা হলে সেটি তারা আরও বেশি করে করবে। তাই এক-দুবার বলার পর উপেক্ষা করা শুরু করুন।
৩. অনেক সময় অচেতনেই তারা নাক খুঁটতে শুরু করে। এমন হলে তাদের সজাগ করুন এবং হাত ধুতে বলুন। তাদের বোঝান যে, নাক খোঁটা একটি অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস, যার ফলে নানান সংক্রমণ হতে পারে।
৪. একঘেয়েমির কারণে বা টিভি দেখতে দেখতে নাক খুঁটে থাকলে, তাদের অন্য কোনও কাজে ব্যস্ত করে দিন। হাত ফাঁকা না-থাকলে নাক খুঁটতেও পারবে না তারা।
৫. অনেক ক্ষেত্রে নাক খোঁটার পিছনে কোনও গুরুতর কারণ থাকতে পারে। অনেক সময় স্ট্রেসের কারণে কমপালসিভ নোস পিকিং বা রাইনোটিলেক্সোমেনিয়া দেখা দিতে পারে। বয়স হিসেবে অনুপযুক্ত পরিমাণে নাক খোঁটার প্রবণতা দেখা দিলে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করুন।
৬. আবার তাদের রুমাল বা টিস্যু ব্যবহারে উৎসাহিত করুন। প্রয়োজন পড়লে তারা যাতে রুমাল ব্যবহার করে সে বিষয় তাদের প্রশিক্ষণ দিন।
৭. এ সমস্ত কিছু করে থাকা সত্ত্বেও যদি তারা নিজের অভ্যাস না-পাল্টায়, তা হলে ইগনোর করুন। পরিবর্তে তাদের নখ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কেটে দিন এবং নখ পরিষ্কার রাখুন। অন্যমনস্ক ভাবে এই কাজ করে থাকলে, এই অভ্যাস নিজে থেকেই ধীরে ধীরে দূর হবে।
উল্লেখ্য, নাক খোঁটার ফলে যদি রক্ত পড়ে বা ত্বকের ইনফেকশান হয়, তা হলে পিডিয়াট্রিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বিলম্ব করবেন না।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-09-03 13:13:59
Source link
Leave a Reply