লক্ষণ
ব্যক্তি ভেদে সোরিয়াসিসের লক্ষণ পৃথক পৃথক হয়ে থাকে। তবে এর কিছু সাধারণ লক্ষণ হল—
- ত্বকে লাল ছোপ দেখা দেওয়া। যা মোটা রুপোলি পরতের দ্বারা ঢাকা থাকে।
- ছোট ছোট স্কেলিং ছোপ (এটি সাধারণত বাচ্চাদের মধ্যে দেখা যায়)।
- শুষ্ক ও ফাটা চামড়া।
- এখানে চুলকানি হতে পারে বা রক্তও পড়তে পারে।
- চুলকানি, জ্বালাভাব ও ব্যথা হওয়া। মোটা, গর্ত বা ছিদ্রযুক্ত নখ।
- ফোলা ও শক্ত জয়েন্ট।
যদিও এই রোগ পুরোপুরি সারিয়ে তোলা যায় না, তবুও এর কারণে হয়ে থাকা নানান সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপায় সোরিয়াসিসের চিকিৎসা করার একটি ভালো বিকল্প হল আয়ুর্বেদিক ওষুধ। আয়ুর্বেদ মতে বাত ও কফের মধ্যে ভারসাম্যহীনতার কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। এ ছাড়াও, টক্সিন, স্ট্রেস, নির্দিষ্ট কিছু খাবার যেমন দই, মাছ এবং নোনতা খাদ্যবস্তু ইত্যাদি অধিক পরিমাণে খেলেও এই রোগ দেখা দিতে পারে। কোনও ব্যক্তি সোরিয়াসিসে আক্রান্ত কী না, তা জানার জন্য যে পরীক্ষা করা হয়, তা হল গ্র্যাটাজ টেস্ট ও অস্পিটজ টেস্ট।
এই পরীক্ষার মাধ্যমে সাময়িক স্বস্তির তুলনায় স্থায়ী চিকিৎসার ওপর জোর দেওয়া হয়। আবার এই রোগের উপশমের জন্য আয়ুর্বেদের সাহায্য নেওয়ার পিছনেও একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। ত্বক আমাদের শরীরের সবচেয়ে সংবেদশনীল অংশ। তাই ত্বকের কোনও রোগ প্রাকৃতিক উপায় সারিয়ে তোলাই নিরাপদ ও শ্রেষ্ঠ। এ ক্ষেত্রে এই রোগের লক্ষণ ও প্রভাব কম করার জন্য কিছু আয়ুর্বেদিক হার্বের সাহায্যে নেওয়া যেতে পারে—
হলুদ
নানান অধ্যয়ন থেকে প্রমাণিত যে, হলুদ প্রদাহ কম করে এবং এতে উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গুণ কোষকে নিরাপত্তা প্রদান করে। এ ক্ষেত্রে খাবারের সঙ্গে হলুদ খাওয়া যেতে পারে। আবার হলুদের সাপ্লিমেন্টও খেতে পারেন।
অ্যান্ডিরা অ্যারারোবা বা গোয়া পাউডার
অ্যান্ডিরা অ্যারারোবা গাছের সাহায্যে একটি বোটানিক্যাল পাউডার তৈরি করা হয়। এই পাওডারে ভিনিগার বা লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সোরিয়াসিসে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
অলিভ অয়েল
এই তেল সরাসরি অলিভ অয়েলের ওপর লাগানো যেতে পারে। এ ছাড়াও স্নানের জলে অলিভ অয়েল মিশিয়েও স্নান করতে পারেন। এটি ত্বকের শুষ্ক ও জ্বালাভাব থেকে স্বস্তি পাওয়ার একটি কার্যকরী উপায়।
মিল্ক থিসল
লিভার ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে সোরিয়াসিসের লক্ষণগুলিকে দূর করতে সাহায্য করে মিল্ক থিসল নামক গাছ।
কায়েন পেপার বা লালমরিচ
লাল মরিচে ক্যাপসাইসিন নামক একটি রসায়ন পাওয়া যায়, যা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় কাজে লাগে। ক্যাপসাইসিন যুক্ত ক্রিম ত্বকে লাগালে, এই উপাদানটি ব্যাথার জন্য দায়ী স্নায়ুকে প্রশমিত করে। এ ছাড়াও সোরিয়াসিসের কারণে যে প্রদাহ, স্কেলিং এবং লাল আভা দেখা দেয় তা কম করতেও সাহায্য করে। ক্যাপসাইসিন যুক্ত উপাদান ব্যবহার করলে ত্বক জ্বালা করতে পারে। তাই এটি ব্যবহারের আগে সে বিষয় লক্ষ্য রাখবেন।
অ্যালো ভেরা
অ্যালো ভেরার জেল প্লাকের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এর ফলে চুলকানি ও স্কেলিং কম হয়।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-29 12:36:05
Source link
Leave a Reply