হাইলাইটস
- নিয়মিত বার্গার, পিৎজা, ফাস্ট ফুড— যা খুশি খেয়েও আপনি দারুণ সুস্থ।
- তা হলে জেনে রাখুন, এই ধরনের খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কমিয়ে দেয় আপনার আয়ুও।
- এমনটাই বলছেন গবেষকরা। আপনি ভাবছেন, দামী রেস্তোরাঁ থেকে পিৎজা বা হট ডগ খাচ্ছেন ক্ষতি হবে না, আদতে তা নয়।
রিপোর্ট বলছে, হটডগ স্যান্ডউইচে উপস্থিত ৬১ গ্রাম প্রক্রিয়াজাত মাংস যা একজন ব্যক্তির জীবনের ৩৬ মিনিটের মতো কমিয়ে দিতে পারে। হটডগ-এ উপস্থিত পলিউনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ফাইবারের উপকারিতা থাকলেও এটি আমাদের জীবনকে চূড়ান্ত মূল্যে ৩৬ মিনিট কমিয়ে দেয়।
আবার রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, পিনাট বাটার ও জ্যাম স্যান্ডউইচ খেলে একজন ব্যক্তির আয়ু ৩০ মিনিটেরও বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে। একইভাবে যদি কোনও ব্যক্তি পিৎজা-সহ বেকন এবং বার্গারের মতো খাবার খান, তাহলে তাঁর জীবনের আয়ু কমে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে পিৎজা খাওয়া একজন ব্যক্তির জীবনের প্রায় ১০ মিনিট শেষ করে দেয়। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা কার্বন ফুটপ্রিন্টস এবং পুষ্টির ভিত্তিতে কিছু খাদ্য সামগ্রী গণনা করেছেন। এক সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাদাম খাওয়া আপনার জীবনের অ্যাকাউন্টে ২ মিনিট বেশি যোগ করতে পারে। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে কলা খাওয়া একজন ব্যক্তির আয়ু সাড়ে ১৩ মিনিটে বৃদ্ধি করে। টমেটো সাড়ে তিন মিনিটের বেশি জীবন বৃদ্ধি করে। অ্যাভোকাডো জীবন বাড়ায় ২ মিনিট ৪ সেকেন্ড। কিন্তু সফট ড্রিঙ্কস খেলে আপনার জীবন কমে যায় ১২ মিনিট ৪ সেকেন্ড।
নেচার ফুড জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাটি মানুষের সুস্থ জীবন-যাপন করার উদেশ্যে এই গবেষণা করেন। সেখানকার বিজ্ঞানীরা প্রায় ৬ হাজার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের খাবার, জলখাবার এবং পানীয় নিয়ে গবেষণা করেছেন। গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ‘ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি গ্রাম প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়ার মানুষের গড় বয়স ০.৪৫ মিনিট কমে যাচ্ছে’। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে এই গবেষণায় শুধু স্বাস্থ্যকর জীবন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা নয়,পরিবেশের ওপরও ভালো প্রভাব ফেলতেও সাহায্য করবে। গবেষকরা প্রতিটি খাবারকেরেটিং দিয়েছেন, যা বলে যে আমাদের কোন খাবার কম খাওয়া উচিত নাকি বেশি।
এর ভিত্তিতে স্যামন মাছ পুষ্টিগুণের বিচারে এটি সবুজ স্কোর পেয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, স্যামন মাছ একজনের জীবন ১৬ মিনিট বাড়িয়ে দিতে পারে। এই গবেষণার প্রধান গবেষক ক্যাটরিনা স্টাইলিয়ানুর মতে, উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবারের কর্মক্ষমতা আরও ভালো। উদ্ভিদ ভিত্তিক খাদ্য এবং প্রাণীভিত্তিক খাদ্য একে অপরের থেকে খুব আলাদা। অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন যে উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন পশু-ভিত্তিক প্রোটিনের চেয়ে ঢের গুণে ভালো।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-25 11:18:37
Source link
Leave a Reply