হাইলাইটস
- মন্দিরে সারা বছরই পুন্যার্থী এবং পর্যটকদের ভিড় থাকে
- অসম, নেপাল, সিকিম, বিহার থেকে দর্শনার্থীদের আগমন হয় কালিম্পংয়ের এই মহাদেব ধামে
- সরকারের যথাযথ সুরক্ষার মাধ্যমে এই মহাদেব ধামকে ধর্মীয় পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত করা যেতে পারে বলে মত পর্যটন ব্যবসায়ীদের
পাহাড়ের গা বেয়ে পড়ছে ঝর্না। তার সঙ্গেই লেগে রয়েছে মন্দির। এটি উত্তরবঙ্গের একমাত্র মহাদেব ধাম হিসেবে পরিচিত বার্মেকের শিব মন্দির। প্রচলিত জনশ্রুতি, স্বয়ং মহাদেবের দর্শন পাওয়ার পর পাহাড়ের গা ঘেষে নির্মিত হয়েছিল ওই মন্দিরটি। সারা বছর তো বটেই বিশেষ করে শ্রাবণ মাসে মহাদেবের পূজো করতে পূন্যার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে ওই মন্দিরে।
ধামের ভিতরে একটি পাথরের চূড়া রয়েছে। স্থানীয়রা আবার অনেকে বিশ্বাস করেন, ওই শিবলিঙ্গটি নিজে থেকেই সেখানে উৎপত্তি হয়েছিল। শিবলিঙ্গের উপর পাহাড় বেয়ে জল পড়ে। যে পাথরটি বেয়ে জল পরে সেটিতে আবার বাঘের চামড়ার ছাপ রয়েছে।
কয়েকজন পাহাড়বাসীদের বিশ্বাস, এলাকার একজন মহিলা ঘাস কাটার সময় জঙ্গলের মধ্যে শিবলিঙ্গটি দেখেছিলেন। লিঙ্গটি দেখার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। এরপর কিছুক্ষণ পর তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে এবং গ্রামবাসীদের ঘটনা সম্পর্কে জানান ওই মহিলা। এরপর ১৯৮৪ সালে মহাদেব ধাম হিসেবে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয়রা। মহাদেব ধামটির সংরক্ষণের জন্য সরকার বা জেলা প্রশাসন যাতে এগিয়ে আসে তারই দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। সরকারের যথাযথ সুরক্ষার মাধ্যমে এই মহাদেব ধামকে ধর্মীয় পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত করা যেতে পারে বলে মত পর্যটন ব্যবসায়ীদের। সেটিকে কেন্দ্র করে এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
মন্দিরের পুরোহিত বলেন, ‘সারা বছরই দর্শনার্থীদের ভিড় থাকে মন্দিরে। মন্দিরটির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট রয়েছে।’ মন্দির কমিটির সম্পাদক শুকমান গুরুং বলেন, ‘পাহাড়বাসীর পাশাপাশি ভিন জেলা বা দেশ থেকেও মাঝেমধ্যেই পর্যটক ও দর্শনার্থীরা আসেন। প্রশাসন বা রাজ্য সরকার সহযোগিতা করলে এই ধামটি একটি ধর্মীয় পীঠস্থান হিসেবে পর্যটকদের জন্য গড়ে তোলা সম্ভব হবে।’
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-10 00:32:15
Source link
Leave a Reply