পুষ্টির অভাব
রাতে না খাওয়ার অর্থ হল শরীরে পুষ্টির ঘাটতি অর্থাৎ Malnutrition তৈরি হওয়া। বিশেষ করে Micronutrients ঘাটতি হয়। চিকিত্সকদের মতে, আমাদের শরীরে ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি১২ ও ভিটামিন ডি থ্রি প্রয়োজন। এটি প্রতিদিন যদি কেউ করেন তবে ভবিষ্যতে অপুষ্টিতে ভুগবেন।
মেটাবলিজমের ক্ষতি
রাতে খাবার না খেলে Metabolism ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শরীরে ইনসুলিনের লেভেল নষ্ট হয়ে যাবে। এটাই কিন্তু শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হরমোন। ফলে অল্প বয়সে Diabetes শিকার হতে পারে। এছাড়া কোলেস্টেরল ও থাইরয়েড লেভেলেও খারাপ প্রভাব পড়ে এর। ঠিক সময়ে ঠিক খাবার না খেলে শরীরের হরমোন যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয় তেমনই বিভিন্ন রোগ হতে পারে।
ঘুমের ব্যাঘাত
একদম খালি পেটে ঘুমাতে গেলে ঘুম আসতে খুবই অসুবিধা হয়। এমনকী মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। আর রাতে ঘুম না হলেও ওজন বাড়ে।
ওজন বেড়ে যাওয়া
অনেকেই মনে করেন, রাতের খাবার না খেলেই Weight কমানো সম্ভব হবে। কিন্তু এটি একেবারে উল্টো কাজ করে। রাতে অল্প খাবার খাওয়ার প্রবণতা সঠিক, কিন্তু খালি পেট ঘুমানো একেবারেই ভুল। এর ফলে শরীরের Weight Gain হয়।
পেশির ঘনত্ব কমে যেতে পারে
জিমে গিয়ে ব্যায়াম করলেও লাভ হবে না, যদি আপনি রাতে খালি পাকস্থলি নিয়ে ঘুমাতে যান। রাতে খাবার না খাওয়ার মানে হলো, প্রোটিনকে পেশিতে কনভার্ট করতে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি নেই- এর ফলে আপনার শরীর শক্তির জন্য পেশিকে ভাঙতে শুরু করে, ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজির একটি গবেষণা অনুসারে। এভাবে খালিপেটে রাতে ঘুমানোর অভ্যাস দীর্ঘদিন চললে আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পেশি বা হার্টের পেশিতেও ক্ষতি হতে পারে। দিনে ব্যায়াম থেকে সর্বোচ্চ উপকার পেতে চাইলে রাতে বিছানায় যাওয়ার কয়েক ঘন্টা পূর্বে ডিনার সেরে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
শরীরে শক্তির অভাব দেখা দিতে পারে
ভাবছেন যে আপনার শরীরের জন্য রাতের খাবার প্রয়োজন নেই। আবার ভাবুন- আসলে কি তাই? এ প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আপনার শরীর দিনের ২৪ ঘন্টাই প্রতিনিয়ত শক্তি ব্যবহার করছে ও সবসময় ক্যালরি পুড়ছে- এর মানে হলো শরীরের কার্যক্রম ভালোভাবে করার জন্য ঘুমের সময়ও এটির জ্বালানি হিসেবে প্রয়োজন হয় আর এই জ্বালানি আসে খাবার থেকে।
মুড সুইং হতে পারে
কেউ রাতে খাবার না খেয়ে ঘুমালে পরের দিন তাঁর মারাত্মক মুড সুইং হতে পারে, অর্থাৎ মেজাজ খারাপ হতে পারে। এর ফলে রেগে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। ডিনার না করার ফলে মেজাজের যে পরিবর্তন হয় তার পেছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজের গবেষকরা পেয়েছেন, খাবার না খেলে আচরণ/মেজাজ নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন সেরোটোনিনের মাত্রায় হ্রাসবৃদ্ধি চলতে থাকে- এটি মস্তিষ্কের সে অংশকে প্রভাবিত করে যা মানুষকে রাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পেট ভরা থাকলেও কোনো মেডিক্যাল কারণে একজন মানুষের মুড সুইং বা মেজাজ খিটখিটে হতে পারে।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-07-15 08:06:06
Source link
Leave a Reply