নিজেকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় দেখাতে কে না চায়! ঠিক এ কারণেই বাজারভর্তি প্রসাধন। কোনোটা ত্বক সুন্দর করে তো কোনোটা রং ফর্সা করে। কিন্তু ফর্সা মানেই কি সুন্দর? সম্প্রতি এক সাবানের বিজ্ঞাপন বেশ হইচই ফেলে দিয়েছে এই কথাটির সত্যি জবাব দিয়ে। গায়ের রঙে কি বা আসে-যায়? থাকুন ফ্রেস এবং হোন সত্যিকার অর্থে সুন্দর। ফ্রেস থাকার পূর্বশর্ত হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে নিজেকে আরো সুন্দর মনে হবে। বেড়ে উঠবে আত্মবিশ্বাস।
হাত
হাতের তালুতে অয়েল গ্ল্যান্ড কম থাকায় ত্বক খসখসে ও শুষ্ক থাকে। তার ওপর সারাক্ষণ রোদের পাশাপাশি ডিটারজেন্ট, গরম পানি, সাবানের মতো শুষ্ক উপাদানের সংস্পর্শে এসে ত্বক আরো বুড়িয়ে যায়। হাতের তালুতে হার্বাল স্ক্রাব ব্যবহার করুন। সহজে ডেড স্কিন দূর হবে। রাতে ঘুমুতে যাবার আগে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। হাতের ত্বক নরম ও মসৃণ থাকবে। বাসন পরিষ্কার করা বা জামাকাপড় কাচার সময় রবারের গ্লাভস পরুন।
আন্ডারআর্মস
ডার্ক আন্ডারআর্ম যেমন অস্বস্তিকর তেমনি অপরিচ্ছন্ন লাগে। সাধারণত হাইপার পিগমেন্টেশনের কারণে এই ডার্ক প্যাচ দেখা যায়। আন্ডারআর্মের ত্বক সেনসেটিভ ও পাতলা। তাই শেভ করলে ডার্ক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যায়। শেভিংয়ের চেয়ে ওয়াক্সিং ভালো কাজ করে। একেবারে গোড়া থেকে হেয়ার রিমুভ করায় ডার্ক স্কিন হবার সম্ভাবনা কম। ডিওডোরেন্ট থেকে অনেক সময় আন্ডারআর্মের স্কিন ডিসকালার হয়ে যায়। তাই পারফিউম বা স্প্রে ব্যবহার করুন। আন্ডারআর্মে ব্লিচিং না করানোই ভালো। সেনসেটিভ ও পাতলা ত্বকে ব্লিচ করার কিছুদিন পরে কালো হবার সম্ভাবনা থাকে। অর্ধেক লেবুর রস ও অল্প পানি মিশিয়ে আন্ডারআর্মে লাগান। ১৫-৩০ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
ঘাড়
ঘাড়ের অংশের ত্বক একটু নরম হয়। তাই শরীরের অন্যান্য অংশের থেকে একটু বেশি যত্নের প্রয়োজন। সপ্তাহে একদিন স্ক্রাবার বা ফেসপিল ব্যবহার করুন। ত্বকের মরা কোষ দূর হবে, ত্বক মসৃণ থাকবে। ঘাড়ের অংশের ত্বকে বয়সের ছাপ সহজেই পড়ে। শুষ্কতা ও বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করার জন্য ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার যেমন কর্ণফ্লাওয়ার অয়েল, বাদাম, লিনসিড অয়েল খেতে শুরু করুন।
পিঠ
পিঠে ডার্ক প্যাচ ও অ্যাকনের সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু সেভাবে যত্ন নেওয়ার কথা মনে হয় না। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান বা স্যালিথেলিকা অ্যাসিড বেসড ক্লিনজার ব্যবহার করুন, অ্যাকনে সহজে শুকিয়ে যাবে। এবং সেই সাথে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল লোশন কিনে ব্যবহার করুন। কড়া রোদে পিঠঢাকা জামাকাপড় পরার চেষ্টা করুন। ডার্ক প্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা কম হবে। প্রতিদিন রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে পরিষ্কার করুন।
কনুই ও হাঁটু
শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় কনুই ও হাঁটুর মতো ভাঁজের অংশের ত্বক প্রায়ই শুষ্ক, খসখসে ও কালো যায়। নিয়মিত স্ক্রাবার দিয়ে হাঁটু ও কনুই এক্সফলিয়েট করুন। হার্বাল স্ক্রাবারই ভালো। অ্যালকোহল বেসড জিনিস ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বক আরো কালো হয়ে যেতে পারে। লেবুর রস কনুই ও হাঁটুর ত্বক ভালো রাখার জন্য উপকারী। হাঁটু ও কনুইয়ে নিয়মিত অলিভ অয়েল ও আমন্ড অয়েল ম্যাসেজ করুন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার, ফ্ল্যাক্সসিড অয়েল খেতে চেষ্টা করুন। নিউট্রিশনাল সাপ্লিমেন্টের কাজ করবে।
হিপস
গোসলের সময় লুফা দিয়ে ত্বক ভালো করে ঘষুন, ত্বকের রং কালো হয়ে যাবে না। মাইল্ড স্ক্রাবার ব্যবহার করতে পারেন। ছোট ব্রণের সমস্যা হবে না।
পায়ের গোড়ালি
সুন্দর, মসৃণ গোড়ালি সবারই নজর কাড়ে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়া ও ধুলোয় গোড়ালি নোংরা হয়ে যায় এবং ফেটে যায়। তাই গোড়ালির যত্ন নেওয়া খুব প্রয়োজন। কুসুম গরম পানিতে অল্প লিকুইড সোপ মিশিয়ে কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখুন। তারপর ফুট স্ক্রাবার দিয়ে গোড়ালি ভালো করে ঘষে নিন। এরপর পা ধুয়ে ল্যানোলিন সমৃদ্ধ ক্রিম বা গ্লিসারিন ও গোলাপ জলের মিশ্রণ গোড়ালির ওপর লাগান।
এস সি
স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-07-01 12:09:20
Source link
Leave a Reply