হাইলাইটস
- হাতে একদম সময় নেই। মুখে কিছু একটা গুঁজে ফের কাজে বসতে হবে। তা মুখে কী গোঁজা যায়?
- স্যান্ডুইচ, বার্গার, প্রসেসড্ ফুড, রেডি টু ইট খাবার, জাঙ্ক বা ফাস্ট ফুড।
- মানে যে সব খাবারের পিছনে সময় নষ্ট করতে হবে না। বাড়ি ফিরে রান্নাবান্নার বালাই নেই। খাবাের অ্যাপ আছে। অর্ডার দিলেই হল।
স্যান্ডুইচ, বার্গার, প্রসেসড্ ফুড, রেডি টু ইট খাবার, জাঙ্ক বা ফাস্ট ফুড। মানে যে সব খাবারের পিছনে সময় নষ্ট করতে হবে না। বাড়ি ফিরে রান্নাবান্নার বালাই নেই। খাবাের অ্যাপ আছে। অর্ডার দিলেই হল। তা সে খাবারে তেল মশলা থাকুক গিয়ে। দিনের শেষে সুস্বাদু খাবার না খেলে হয়? হজম না হলে অ্যান্টাসিড বা কোলা খেয়ে নেওয়া যাবে। অফিস শেষ হলে ক্লান্ত শরীরটাকে টেনে নিয়ে যেতে যেতে প্রায়ই বারে ঢুঁ দেওয়াটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বার না হলেও বাড়িতে ব্যবস্থা রাখতে হয়। সপ্তাহান্তে পার্টি আছে।
মানে সব মিলিয়ে যে খাবারের জন্য মানুষ এত পরিশ্রম করে সেই খাবারটাই শরীরে ঠিক মতো যায় না। যেটা যায় তা পুষ্টিকর নয়। তেল-মশলা, চর্বি, অ্যালকোহন নিয়মিত খাওয়ার ফলে যা হওয়ার তাই হয়। শরীরের জমে চর্বি। কোলেস্টেরলের সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো মারাত্মক কিছু একটা ঘটে যেতে পারে। বলতে দ্বিধা নেই এরকমের ঘটনা আকছাড় ঘটছে। সেকারণেই হাসপাতালগুলি চার ইঞ্চি কেটে বাইপাস সার্জারির বিজ্ঞাপনে রাস্তাঘাট ভরিয়ে দিচ্ছে।
মোটকথা সুস্থ থাকতে গেলে শরীরের ভিতর কোলেস্টেরলকে বাসা বাঁধতে দেওয়া যাবে না।
কোলেস্টেরল (cholesterol) তিন প্রকার। ভালো কোলেস্টেরল (HDL), খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কোলেস্টেরল। শেষেরটি সবচেয়ে মারাত্মক। শরীরকে অসুস্থ করতে খারাপ কোলেস্টেরলের থেকেও ট্রাইগ্লিসারাইড কোলেস্টেরল বেশিমাত্রায় দায়ি থাকে। কোলেস্টেরল (cholesterol) সরাসরি হার্টের আঘাত করে। হার্টের রক্তচলাচল বন্ধ করে দিয়ে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয়।
বয়স হলে, অসংযমী জীবনযাত্রা, ওজন বৃদ্ধি, মাদক এবং অ্যালকোহলের অতিরিক্ত ব্যবহা বংশানুক্রম প্রভৃতি নানা কারণে শরীরের কোলেস্টেরল জমা হতে পারে। রোগ হলে চিকিৎসকের কাছে তো যেতেই হবে। তার চেয়ে রোগ আগে থেকেই একটু প্রতিরোধের চেষ্টা করা যাক? রান্নাঘরের জিনিসপত্র দিয়েই এই মারাত্মক রোগটি প্রতিরোধ করা যায়।
গ্রিন টি
জলের পরেই যে তরলটি আমাদের শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী তা হল গ্রিন টি। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনোল। এই যৌগটি শরীরের নানা উপকারে লাগে। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলগুলি কমে এবং ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়। দিনে দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি পান করা স্বাস্থ্যকর।
রসুন
রান্না ঘরের অন্যতম প্রয়োজনীয় এবং গুণী কন্দ এই রসুন। ভারতীয় তথা বাঙালি রান্নায় রসুনের ব্যবহার যথেষ্ট পরিমাণে হযে থাকে। রসুনে থাকে অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, এবং অর্গানোসালফার যৌগ। এগুলির সংমিশ্রিত প্রয়াসে শরীর থেকে খারাপ কোলেস্ট্রল দূর হয়। প্রতিদিন অর্ধে কিংবা একটি রসুন রোজ খেলে খারাপ কোলেস্টেরল ৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
আমলকি
আমলকিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ফেনোলিক যৌগ। থাকে খনিজ পদার্থ এবং অ্যামিনো অ্যাসিডও। প্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় আমলকির ব্যবহার চলে আসছে। নিয়মিত আমলিক খেলে ক্ষতিকারণ কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করা যায়। দিনে একটি বা দুটি গোটা আমলকি রোগকে আপনার কাছ থেকে দূরে রাখবে।
ধনে
ক্ষতিকর কোলেস্টেরেলকে শরীর থেকে দূর করতে ধনে বীজেরও জুড়ি মেলা ভার। আপাত নিরীহ এই মশলাটির ভেষজ গুণ ভয়ানক। এতে আছে একাধিক ফোলিক অ্যাসিড, ভিামিন এ, বিটা -ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি-এর মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিন।
মেথি
ধনের মতোই উপকারী মশলা হল মেথি। রান্নায় এটি স্বাদ আনতে যেমন পটু, তেমনই দক্ষ ভেষজ গুণ প্রয়োগে। মেথি বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ। মেথি শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে আর এর ফাইবার লিভারের সংশ্লেষণ কমায়। প্রতিদিন এক চামচ মেথি খােলে শরীর সুস্থ থাকবেন।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-06-20 17:05:33
Source link
Leave a Reply