কলকাতা: আমাদের সকলের পক্ষে বিশ্বাস করা খুবই কঠিন যে দুধ স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ। বরং ছোটবেলা থেকে আমরা সকলেই জেনে এসেছি যে দুধ (milk) একটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাদ্য। ভারতীয় সংস্কৃতিতে দুধ ও দুগ্ধজাত উপাদানের ব্যবহার সর্বত্র। প্রাণিজ দুধ মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর, এই কথা শুনলে অবাক হয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। যদি আপনি একটি পেট্রোল চালিত গাড়িকে ডিজেল দিয়ে চালানোর চেষ্টা করেন তবে যেমন সমস্যা হবে এই ক্ষেত্রেও ব্যাপার অনেকটা একই রকম। দুধে থেকে হতে পারে ডায়াবেটিসের মত সমস্যা। ভারতে দুধের ব্যবহার ভীষণভাবে হয়ে থাকে। আবার ভারত (India) ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীতে দ্বিতীয়। এর মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে।
টাইপ ১ ডায়াবেটিস:
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে বাচ্চাদের যদি মাতৃদুগ্ধের বদলে গরুর দুধ খাওয়ানো হয় তবে অল্প বয়সে তাদের ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস:
অনেকই মনে করেন চিনি বা মিষ্টি জাতীয় পদার্থ টাইপ ২ ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ। যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ হলো ফ্যাট (Fat)। ফ্যাট ইনসুলিন (insulin) প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দুধের ৪৯ শতাংশ ক্যালরি ফ্যাট জাতীয়। স্কিমড মিল্কে ৩৫ শতাংশ ক্যালরি ফ্যাট জাতীয়। এছাড়াও দুগ্ধ জাতীয় পদার্থ যেমন পনীর (paneer) ও চিজে (cheese) ফ্যাটের পরিমাণ ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। আর ঘিতে ফ্যাটের পরিমান ১০০ শতাংশ।
হরমোন (hormones): ইনসুলিন একটু হরমোন। আর ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ হলো হরমোনের সমস্যা । আমাদের দেহের পিটুইটারি গ্ল্যান্ড (Pituitary Gland) থেকে হরমোন (Hormone) নিঃসরণ হয়। যখন হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় তখন সমস্যা দেখা দেয়। মহিলাদের মধ্যে ইস্ট্রোজেন (oestrogen), প্রজেস্টেরন (progesterone), প্রোলাক্টিন (prolactin) জাতীয় হরমোন লক্ষ করা যে কারনের জন্য মহিলা স্তন্যপায়ীদের দেহে দুধ উৎপাদিত হয়। হরমোনের সমস্যার জন্য এই প্রক্রিয়ায় সমস্যা হতে পারে। হাইপোথায়ারোয়েডইসম (hypothyroidism), PCOD, বন্ধ্যাত্ব, প্রোস্টেট বৃদ্ধি, গর্ভাশয়ে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়।
মানসিক চাপ থেকে হয় ডায়াবেটিস: আপনি লক্ষ করে দেখবেন যখন আপনি শারীরিক বা মানসিক ভাবে চাপে থাকেন তখন ডায়াবেটিসের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে যায়। মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেলে অ্যাড্রিনালিন (adrenaline) উৎপাদিত হয়। পশুদের ক্ষেত্রেও তারা যখন মানসিক চাপ অনুভব করে তখন তাদের অ্যাড্রিনালিন (adrenaline) উৎপাদিত হয়। বাচ্চা জন্ম দেওয়া পর গরুর থেকে তার বাচ্চাকে আলাদা করে হয়, যাতে উৎপাদিত দুধ সবটাই বিক্রি করা যেতে পারে। তাই তাদের থেকে প্রাপ্ত দুধের মধ্যে অ্যাড্রিনালিন থাকে। যা আমরা গ্রহণ করি। এর ফলে ডায়াবেটিসের পাশাপাশি মানসিক সমস্যাও দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়।
লাল-নীল-গেরুয়া…! ‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’!
‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.
শরীর স্বাস্থ্য – Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper
2021-06-11 14:16:17
Source link
Leave a Reply