হাইলাইটস
- সারাদিন তাদের কোন কোন কাজ করতে হবে তার একটি তালিকা বানিয়ে দিন।
- কখন কী কাজ করতে হবে, তা ছোট বাচ্চারা অনেক সময় মনে রাখতে পারে না।
- তাই দিনের শুরুতে চেকলিস্ট দিয়ে দিন।
তাদের হাতে চেকলিস্ট ধরিয়ে দিন
সারাদিন তাদের কোন কোন কাজ করতে হবে তার একটি তালিকা বানিয়ে দিন। কখন কী কাজ করতে হবে, তা ছোট বাচ্চারা অনেক সময় মনে রাখতে পারে না। তাই দিনের শুরুতে চেকলিস্ট দিয়ে দিন। কোন কাজে আগে বা পরে করা উচিত, তা-ও জানিয়ে দিন। সন্তানকে বলুন, এক একটি কাজ শেষ হয়ে গেলে সেই তালিকায় টিক চিহ্ন দিয়ে দিতে।
বাচ্চাদের নিজের স্কুল ব্যাগ গোছাতে শেখান
এটি যদিও বিশাল বড় কোনও কাজ নয়, তবুও সন্তানের পরিবর্তে অধিকাংশ অভিভাবকই এই কাজটি করে থাকেন। তা না-করে বাচ্চাদের স্কুলের রুটিন মেনে ব্যাগ গোছাতে বলুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যাগ গুছিয়ে রাখার অভ্যাস করলে সকালে তাড়াহুড়ো করতে হবে না। বাচ্চাদের ব্যাগ গোছানো হয়ে গেলে অভিভাবকরা রুটিন মিলিয়ে দেখে নেবেন। প্রথম কয়েকদিন এমন করলে ধীরে ধীরে তারা নিজেরাই এ কাজে পটু হয়ে যাবে।
সঠিক স্থানে জিনিস রাখা শেখান
প্রত্যেকের বাড়িতে প্রত্যকটি জিনিসের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে। অনেক বাচ্চাই এক জায়গা থেকে জিনিস নেওয়ার পর তা অন্য কোথাও ফেলে রেখে দেয়। তাদের জিনিস রাখার সঠিক স্থান সম্পর্কে জানান। যেমন- খেলনা দিয়ে খেলা হয়ে গেলে, তা যেন ছড়িয়ে রেখে উঠে না-পড়ে বাচ্চারা, বরং সেগুলিকে নির্দিষ্ট স্থানে রাখার প্রশিক্ষণ দিন। আবার পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর বই খাতা বুক শেল্ফ বা ব্যাগে রেখে দিতে বলুন। সঠিক স্থানে জিনিস রাখার অভ্যাস করলে ঘর সুন্দর ও পরিপাটি তো থাকবেই, পাশাপাশি প্রয়োজনের সময় জিনিস খোঁজার জন্য হুটোপাটিও করতে হবে না।
এক দিনে বাচ্চাদের কী কী করতে হবে তা নির্ধারণ করুন
সন্তানের দিনচর্যা নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি। সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে স্কুলে যাওয়া ইত্যাদির সময় নির্দিষ্ট রাখুন। সমস্ত কাজের জন্য বাচ্চাদের পর্যাপ্ত সময় দেবেন। ঘুম থেকে ওঠা, স্নান করা, পড়াশোনা করা, স্কুলের জন্য তৈরি হওয়া ইত্যাদি কাজ সময় মেনে করলে সব কাজই তাড়াতাড়ি হবে এবং সময়ও সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি পাঞ্চুয়ালিটিও শিখবে তারা। শুধু জিনিস সঠিক স্থানে রাখাই অর্গানাইজ হওয়া নয়, বরং সময়ের মধ্যে কাজ করা, সময় মেনে চলাও জরুরি।
বাচ্চাদের জরুরি কাগজপত্র যত্নে রাখতে শেখান
পড়াশোনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কাগজপত্র বা স্কুল থেকে দেওয়া কোনও শিট নানান স্থানে রেখে দেয় বাচ্চারা। এতে ওই কাগজপত্র হারিয়ে যেতে পারে। তাই ট্রান্সপারেন্ট ফোল্ডার দিন সন্তানকে। সেই ফোল্ডারের মধ্যেই সমস্ত কিছু গুছিয়ে রাখতে শেখান। এ ভাবে অল্প বয়স থেকেই তারা কাগজপত্র যত্নে রাখার প্রশিক্ষণ লাভ করে থাকে।
সাপ্তাহিক সাফাই অভিযানে বাচ্চাদের সামিল করুন
প্রতিটি বাড়িতেই সপ্তাহে একবার পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন করা হয়ে থাকে। এমনই কোনও এক সপ্তাহে বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে সমস্ত কিছু পরিষ্কার করুন। বাচ্চাদের ঘর, পড়ার টেবিল পরিষ্কার করার জন্য তাদের কাছ থেকে সাহায্য চান। ভাঙাচোরা খেলনা ছাটাই করা হোক বা পুরনো, রঙ চটা, ছোট হয়ে যাওয়া জামাকাপড় ছাটাই করা হোক— সে সবেতেই বাচ্চাদের অংশগ্রহণ করতে বলুন। তার পর আলমারি ইত্যাদি পরিষ্কার করে সমস্ত কিছু গুছিয়ে রাখার সময়ও তাদের সাহায্য নিন।
এক দিন আগেই স্কুলের পড়াশোনা তৈরি করতে শেখান
সকালে উঠে তাড়াহুড়ো করে স্কুলের পড়া তৈরি করার চেয়ে ভালো রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তৈরি করে রাখতে বলুন। শেষ মুহূর্তে কোনও কাজই ঠিক ভাবে সম্পন্ন হয় না। এমনকি কাজের গুণাগুণও ভালো হয় না। তাই এক দিন আগে নিশ্চিন্ত মনে সমস্ত কাজ করে রাখতে বলুন।
বাচ্চাদের ঘরে ক্যালেন্ডার রাখুন
স্কুলের ক্যালেন্ডার হোক বা সাধারণ, বাচ্চাদের ঘরে এটি লাগিয়ে রাখবেন। পরীক্ষার সময়সূচী বা স্কুলের রুটিন তাদের পড়ার টেবিলের সামনে লাগিয়ে রাখুন। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত তারিখ তাদের চোখের সামনে থাকবে। সেই সময় ও তালিকা মেনে প্রস্তুতি নিতে পারবে বাচ্চারা।
বাচ্চাদের তাদের কাজ নিজে করতে বলুন
অধিকাংশ অভিভাবকই সন্তানকে কোনও কাজ করতে দেন না। সমস্ত কিছু তাদের মুখের সামনে তুলে ধরেন। এর ফলে বাচ্চারা নিজের কাজ নিজে করতে শিখবে না। নিজের কাজ করার অভ্যাস না-থাকলে পরবর্তীকালে সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই অল্প বয়স থেকেই বাচ্চাদের নিজের কাজ নিজে করতে বলুন।
বাচ্চাদের সাহায্য করুন
বাচ্চাদের কাজ করতে বললেও কোনও কোনও ক্ষেত্রে আপনার সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে। সে সময় অবশ্যই তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসুন। কোনও কিছু শিখতে তাদের সময় লাগবে। সেই সময় তাদের দিন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-06-10 14:00:13
Source link
Leave a Reply