হাইলাইটস
- দম্পতিদের দাবি, বাড়িতে একসঙ্গে থাকার সময় যৌনজীবন অবশ্যই পালন করেছেন তাঁরা।
- কিন্তু এঁদের মধ্যে যাঁরা সপ্তাহে মাত্র একদিন যৌনসঙ্গম করেছেন
- এবং বাকি দিনগুলি সঙ্গীর সঙ্গে অন্যান্য কাজ এবং ঘনিষ্ঠভাবে কাটিয়েছেন
- তাঁরা আর পাঁচজনের থেকে বেশি সুখের সন্ধান পেয়েছেন
প্রথম প্রথম একথা শুনে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। একে তো গুনে গুনে ছয় হাত দূরের থাকা তায় আবার এত দূর থেকে কথা কীভাবে হবে সেটা তো আরও বড় প্রশ্ন। প্রিয়জনকে কি তাহলে আদর করা যাবে না? কারণ ছয় হাত দূর থেকে তো আর কাউকে ভালোবাসা সম্ভব নয়।
গত বছর করোনা সংক্রমণের শুরুতে এধরণের প্রশ্ন ছিল লোকজনের মনে মনে। ঘনিষ্ঠ মহলে এসব নিয়ে আলোচনাও হয়তো চল। এখন অবশ্য সবাই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। দূরত্ব কীভাবে এবং কাদের সঙ্গে বজায় রাখতে হবে তা কমবেশি সকলের কাছেই স্পষ্ট।
সমীক্ষা বলছে করোনা মহামারির সময়ে অর্থাৎ প্রায় একবছরের মধ্যে বিশ্বজুড়ে জন্মহার বৃদ্ধি পেয়েছে। রসিক লোকের স্পষ্ট উক্তি, বাড়িতে বসে থেকে মানুষ করবেই বা কী? ওয়ার্কফ্রম হোমের সঙ্গে হোমে বসে “অন্য ওয়ার্ক”ও যে চলবে তা তো স্বাভাবিক। তাছাড়া কর্মব্যস্ত ইঁদুরদৌড়ের জীবনে হঠাৎ করে চলে আসা বিরাট অবকাশ এবং সঙ্গে পরিবার থাকাটা তো আধুনিক যুগে হাতে চাঁদ পাওয়ার সমান। তাই “আদর-যত্ন” একটু বেশিই হয়েছে।
এদিকে আবার এসব নিয়ে বেজায় সমীক্ষাও চলেছে। মানে কতজন লোক বাড়িতে থেকে আদর-যত্ন পেয়েছেন এবং করেছেন তা নিয়ে কাটাছেঁড়া করেছেন একদল বিশেষজ্ঞ। এবং তাঁদের সমীক্ষা বলছে যে মহামারির সময় শুধুমাত্র যৌনতার পরিবর্তে যাঁরা যৌনতা সহ গোটা জীবনকে উপভোগ করেছেন তাঁরাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে সুখী।
বিভিন্ন দেশের প্রাপ্তবয়স্ক, বিশেষ করে দম্পতিদের দাবি, বাড়িতে একসঙ্গে থাকার সময় যৌনজীবন অবশ্যই পালন করেছেন তাঁরা। কিন্তু এঁদের মধ্যে যাঁরা সপ্তাহে মাত্র একদিন যৌনসঙ্গম করেছেন এবং বাকি দিনগুলি সঙ্গীর সঙ্গে অন্যান্য কাজ এবং ঘনিষ্ঠভাবে কাটিয়েছেন তাঁরা আর পাঁচজনের থেকে বেশি সুখের সন্ধান পেয়েছেন।
যৌনতা মানুষের জীবনে আগে ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু ব্যস্ত জীবনকে চাঙ্গা রাখতে যৌনতার পাশাপাশি দৃঢ় মানসিক সম্পর্কও প্রয়োজন। চাকরি, ব্যবসার ফাঁকে নিয়ম করে যৌনতা হয়তো হয়েছে কিন্তু একে অপরকে সময় দেওয়া হয়নি। এই মহামারি স্বামী-স্ত্রীকে একে অপরের আরও কাছাকাছি এনেছে।
আবার সমীক্ষায় এও ধরা পড়েছে যে স্বামী-স্ত্রী সারা সপ্তাহ একসঙ্গে সময় কাটানো এবং নানা কাজ করার পর যে একদিন যৌনসঙ্গম করেছে তা নাকি নিয়মিত সহ্গমের থেকেও বেশি উপভোগ্য ছিল। শারীরিক এবং মানসিক চরম সুখ পেয়েছিলেন তাঁরা। দম্পতিরা একথা নিজের মুখে স্বীকার করেছেন।
সমীক্ষা বলছে একসঙ্গে থাকার সময় ঝগড়া যে হয়নি তা নয়, তবে ঝগড়ার পর দম্পতিরা একে অপের ভুল বুঝেছেন। তার উপর ঘরের কাজ স্বামী-স্ত্রী ভাগ বাটোয়ারা করে করায় বিশেষ করে ছেলেরা স্ত্রীর সংসারের দায়িত্বের বোঝা সম্পর্কে সচেতন হয়েছেন।
আবার সংসারের কাজ করায় স্ত্রীর “হোম-মিনিস্টার” তকমার কিছুটা হলেও নিজের দিকে ঘোরাতে পেরেছেন। মিনিস্টার না হন “হোম-সেক্রেটারি” পদেও অনেক পুরুষ খুশি হযেছেন।
স্ত্রী-রা আবার ঘরে-বাইরের দুদিকের বোঝা নিজেদের কাঁধ থেকে নামাতে পেরে খানিকটা স্বস্তি পেয়েছেন।
সন্তানরা বাবা-মা-কে কাছে পেয়েছে। মানে সুখি সংসারের খানিকটা হলে যেন আভাস পেয়েছে আজকের প্রজন্ম।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এই কটা দিনের অভিজ্ঞতাকেই যদি পাথেয় করা যায় তাহলে ভবিষ্যতে সংসারের চেহারা অন্যরকম দাঁড়াবে। নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতেও সুখের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
মা-বাবাকে সুখী দেখলে পরবর্তী প্রজন্মও ইতিবাচক সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করবে।
যদিও সমীক্ষা অনুযায়ী ইতিবাচক সমস্ত কিছুই নিউক্লিয়ার পরিবারের হিসেব। ভারতীয় যৌথ পরিবারের চিত্র কিন্তু একেবারেই আলাদা।
সে যাই হোক, সামান্যতম হলেও মহামারির কারণে সুন্দর সুস্থ জীবন, পরিবার এবং যৌনজীবন যে কিছু মানুষকে সুখী করতে পেরেছে সেটাও অনেক।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-06-08 18:34:22
Source link
Leave a Reply