হাইলাইটস
- ভেজিটেবল ডাই ইদানিং খুব জনপ্রিয়।
- কোনও রাসায়নিকের ব্যবহার ছাড়াই প্রাকৃতিক ভাবে রং তৈরি করা হচ্ছে।
- আর সেই রঙে রাঙানো হচ্ছে পোশাক
অনেক বেশি করে ব্যববার করা হচ্ছে ভেজিটেবল ডাই- ভেজিটেবল ডাই ইদানিং খুব জনপ্রিয়। কোনও রাসায়নিকের ব্যবহার ছাড়াই প্রাকৃতিক ভাবে রং তৈরি করা হচ্ছে। আর সেই রঙে রাঙানো হচ্ছেপোশাক। এই ভাবে রং তৈরি করলে তা পরিবেশের জন্য ভালো তেমনই কিন্তু পোশাকও দীর্ঘদিন ভালো থাকে। তবে সঠিক ভাবে তার সংরক্ষণ প্রয়োজন।
ব্যবহার কমেছে সিন্থেটিকের- সিন্থেটিক কাপড় কিংবা রঙের ব্যবহার আগের থেকে এখন অনেকটাই কমেছে। বরং সুতি, লিনেন, সিল্ক এসব অনেক বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। খাঁটি লিনেন কাপড় তৈরি হয় তিসি থেকে। আর এই শস্যের ফলনে তেমন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। তাই প্রকৃতিও থাকে নিরাপদে। লিনেনের পোশাক একটু কুঁচকে কুঁচকেই থাকে। বেশি ইস্ত্রি করার প্রয়োজন হয় না। তাই শক্তিও বাঁচে তবু, লিনেন পোশাক কেনার আগেও ‘গ্রিন সার্টিফিকেট’দেখে নিন। এমন কিছু মেটেরিয়াল ব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছে যা মাটির সঙ্গে সহজেই মিশে যেতে পারে। সেই সঙ্গে মানুষ যাতে পরে আরাম পেতে পারেন।
চল বেড়েছে হ্যান্ডলুমের- পোশাকে হ্যান্ডলুমের চাহিদা এখন তুঙ্গে। কারণ খাঁটি দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি হয় এই হ্যান্ডলুমের পোশাক। তাঁতঘরে তৈরি হচ্ছে সুতো। ব্যবহার করা হচ্ছে প্রাকৃতিক রং। সেই সঙ্গে এই ধরণের পোশাক কাচা-ধোওয়া খুব সুবিধাজনক। এমনকী এখান থেকে দূষণ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে না। এই সব কাপড় কিন্তু বায়োডিগ্রেডেবল।
পোশাক ধোওয়ার ক্ষেত্রেও কিন্তু সচেতন হতে হবে- জামাকাপড় কাচতে এখন সব বাড়িতেই ভরসা ওয়াশিং মেশিন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে কাচার পর ওয়াশিং মেশিন থেকে যে সাবান জল বাইরে বেরোয় তা ৭00,000 এরও বেশি মাইক্রোস্কোপিক প্লাস্টিকের তন্তু পরিবেশে ছেড়ে দিতে পারে। যা জলজ প্রাণীদের জন্য খুবই বিষাক্ত। যে কারণে বলা হয়েছে কয়েকবার ব্যবহারের পর তবেই জিন্স ওয়াশিং মেশিনে দোওয়া উচিত। এবার ধোওয়ার পর তা শুকনো করতে ড্রায়ারে না দিয়ে সোজাসুজি রোদে মেলে দেওয়া উচিত। এই পদ্ধতি পরিবেশের জন্যেও কিন্তু ভালো।
এছাড়া আরও যা করা যেতে পারে
পুরনো পোশাক ফেলে না দিয়ে রিমডেলিং করতে হবে। ছেঁড়া থাকলে নিজের মতো সেলাই চালিয়ে কিংবা পেন্ট করে অন্যরকম লুক দেওয়া যেতে পারে। কীভাবে পুরনো পোশাককে একদম অন্যরকম ভাবে লুক পরিবর্তন করা যায় এই সংক্রান্ত অনেক রকম ভিডিয়ো পাওয়া যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জামা কাপড় পরিমাণে কম কিনুন। অধিক কিনে নষ্ট করবেন না। এমন কিছু কিনুন যা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনার অতিরিক্ত পোশাক কাউকে দিয়ে দেবেন বলে ভাবছেন। কিন্তু আপনার এই অতিরিক্ত পোশাক নেওয়ার মতো লোকজন কিন্তু এখন অনেকটাই কমে গিয়েছে।
না হয় একটু দাম বেশি পড়বে, কিন্তু খাঁটি জিনিস কিনুন। চটকদারির মোহে পড়ে নকল পোশাক কিনবেন না।
ইকো ফ্রেন্ডলি পোশাকের জন্য সবাইকে উৎসাহ দিতে হবে। এব্যাপারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড যাতে এগিয়ে আসে সেইদিকে নজর দেওয়া দরকার।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-06-05 08:14:45
Source link
Leave a Reply