কলকাতা: ছোটবেলা ইনজেকশনের (injection) এর সূচকে (needle) আমরা কম বেশি সকলেই ভয় পেতাম। কেটে ছড়ে গেলে টিটেনাস ( tetanus toxoid) হোক, বা অন্য কোনো রোগ ব্যাধির টিকা, সেই সময় ভয়ে এক হুলুস্থুল কান্ড বেঁধে যাওয়ার জোগাড়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বয়স বেড়ে যায়, ছোটবেলার অভ্যেস গুলো বদল হয়ে যায়। তাই সূচের প্রতি ভয় বেশিরভাগেরই কেটে গিয়েছে।
কিন্তু আমাদের চারপাশে এখনও এমন অনেকেই আছে যাদের ছোটবেলার সূচের প্রতি ভয় এখনও অটুট। একেই বলে নিডেল ফোবিয়া (needle phobia)। করোনা (corona) ভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবের সময় যা নতুন করে প্রাসঙ্গিক, কারণ চিকিৎসকদের (doctors) মতে করোনার ভয়াবহতা রোধ করতে যাবতীয় নিয়ম নীতি মেনে চলার পাশাপাশি টিকাকরণ (vaccination) সব থেকে বেশি প্রয়োজন। করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় অনেকের ক্ষেত্রে নতুন করে মাথা চাড়া দিচ্ছে নিডেল ফোবিয়া বা সূচের প্রতি ভয়। ডক্টর ফক্স অনলাইন ফার্মেসির (doctor fox online pharmacy) চিকিৎসক দেবরাহ লি (Deborah Lee) এর মতে যাঁদের নিডেল ফোবিয়া আছে তাদের শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দেয়। ইনজেকশন নেওয়ার সময় সূচের ভয়ে রক্তচাপ কমে গিয়ে, জ্ঞান হারানোর প্রবণতাও লক্ষ করা যায়। অনেক সময় আবার ইনজেকশন নেওয়ার সময় বা তার আগে বেশি মাত্রায় উদ্বেগ ধরা পড়ে, এর ফলে রাতে ঘুম না আসার (insomnia) মতো সমস্যা দেখা দেয়। করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেকের মধ্যেই এই সমস্যা গুলি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
ড: লি কে উদ্ধৃত করে Yahoo UK লিখেছে যে নিডেল ফোবিয়ার (needle phobia) প্রধান কারণ হতে পারে ছোটবেলাতে এই সংক্রান্ত কোনো খারাপ স্মৃতি অথবা কোনো কাছের মানুষকে দীর্ঘই রোগ ভোগের চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে অতিক্রান্ত হতে দেখার স্মৃতি। নিডেল ফোবিয়া এখন জন স্বাস্থ্যের একটি সমস্যা হিসেবে উঠে আসছেন। বেশ কিছু দেশের মধ্যে ২০১৯ সালে হওয়া একটি গবেষণা অনুযায়ী প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রায় ১৬ শতাংশ বিভিন্ন ফ্লু ঘটিত ইনজেকশন নেওয়া থেকে নিডেল ফোবিয়ার কারণে বিরত থাকেন। ক্লিনিকাল সাইকোলজির (Clinical Psychology) অধ্যাপক মেগণ ম্যাকমার্টি (মেঘনা McMurty) বলেছেন যে ১০ জনের মধ্যে ১ জনের নিডেল ফোবিয়া বর্তমান। তাই তারা কোনো রকম ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রক্রিয়াকে উপেক্ষা করেন।
লাল-নীল-গেরুয়া…! ‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’!
‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.
শরীর স্বাস্থ্য – Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper
2021-06-01 14:23:13
Source link
Leave a Reply