হাইলাইটস
- ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ, একে অপরকে সময় দিতে না পারা,
- মেজাজ উত্যক্ত থাকা এসবের কারণেই ভাঙনের মুখে অনেক সম্পর্ক।
- শরীরও ভেঙে যাচ্ছে। কারণ দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ
এসবের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যও বিঘ্নিত। লকডাউনে প্রচুর লোকেই কাজ খুইয়েছেন। মাথার উপর সেই চাপ সবসময় রয়েছে। কারণ এদিক থেকে ওদিক হলেই চাকরি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই সব কিছুর মিলিত প্রভাব পড়ছে সম্পর্কে। ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ, একে অপরকে সময় দিতে না পারা, মেজাজ উত্যক্ত থাকা এসবের কারণেই ভাঙনের মুখে অনেক সম্পর্ক। শরীরও ভেঙে যাচ্ছে। কারণ দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ। শরীরের কোনও নড়নচড়ন নেই। আর এই পরিস্থিতে চাইলেই যে বাইরে থেকে ঘুরে আসা যাবে এমনটাও নয়। সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগ নেই। ভরসা সেই ভিডিয়ো কলই। সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন। তাদের সমীক্ষায় উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
কর্মীদের মধ্যে বেড়েছে মৃত্যুর হার- WHO-এর সমীক্ষায় উঠে এসেছে অতিরিক্ত কাজের চাপের ফলে, ১৯৯ টি দেশে মৃত্যুর হার ২৯ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়াও মানসিক চাপও রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা হল কাজের আদর্শ সময়। কিন্তু এর থেকে বেশি কাজ হলে তখনই তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। কিন্তু কোনও সংস্থাই তা মানতে নারাজ। বরং আরও বেশি করে কাজের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছেন কর্মীদের উপর। এর ফলে মানসিক দ্বন্দ্বে ভুগছেন অনেকেই। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাঁরা সপ্তাহে ৫৫ ঘন্টা বা তার বেশি কাজ করেন তাঁদের মধ্যে স্ট্রোক হবার সম্ভাবনা ৩৫ শতাংশ বেশি। অফিসের চাপ এবং মানসিক চাপে অকাল মৃত্যুর খবরও শোনা গিয়েছে।
অতিরিক্ত কাজের চাপে শরীর বিঘ্নিত- অতিরিক্ত কাজের চাপে ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্য। কারণ এতে স্ট্রেস হরমোন অধিক নির্গত হয়। যিনি স্ট্রেস নিচ্ছেন তিনি বুঝতে না পারলেও ভেতরে ভেতরে হার্টের ক্ষতি হয়। এছাড়াও সময়ে খাওয়া, ঘুম কোনওটাই হচ্ছে না। অফিসে থাকলে যে কাজ তাঁরা ৫ ঘন্টায় করতেন সেটাই বাড়ি বসে করতে সময় লাগছে ৯ ঘন্টা। এদিকে ব্যায়াম বা শরীরচর্চাও ঠিক মতো করে হচ্ছে না। মেজাজ এতটাই বিগড়ে থাকছে যে অনেকেই অ্যালকোহলের নেশায় মজেছেন। বেড়েছে ধূমপানও। যা কিন্তু নিঃশব্দ ঘাতক। অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে মনে সব সময় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। যা কিন্তু মৃত্যুরও কারণ। কিন্তু সব সংস্থাকে বুঝতে হবে মানসিক ভাবে ফিট না থাকলে কেউই সুস্থ ভাবে কাজ করতে পারবেন না। এমনকী এতে বাড়বে না কাজের মান। আর তাই প্রত্যেকে যাতে সুস্থ থাকেন, মানসিক ভাবে ভালো থাকেন সেদিকে নজর দিতে হবে। এবং চাপমুক্ত কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-30 20:11:58
Source link
Leave a Reply