হাইলাইটস
- সাধারণভাবে আমরা যাকে বাতের ব্যথা (Joint Pain) বলি, চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় তারই নাম আর্থ্রাইটিস (Joint Pain)।
- এই বাতের ব্যথায় (Joint Pain) ভুক্তভোগী রয়েছেন প্রায় প্রত্যেক পরিবারেই।
- আমাদের দেশের প্রায় ২০ কোটি মানুষ অস্টিওআর্থ্রাইটিসে ভুগছেন।
- ৬০ বছরের উপরে ১৮% মহিলা ও ৯.৬ পুরুষ বাতের ব্যথায় কাতর।
কোভিড (Covid) অতিমারির মতো আর্থ্রাইটিসও কিন্তু বিশ্বের সমস্ত দেশের সমস্যা। তবে এই রোগ মোটেও ছোঁয়াচে নয়। প্রধানত দু’ধরনের আর্থ্রাইটিস (arthritis) নিয়ে মানুষ ভুগে থাকেন। এক বেশি বয়সে অস্টিওআর্থ্রাইটিস (arthritis) ও দুই যে কোনও বয়সে রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস। অগত্যা ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়। ওষুধ বিশেষ না দিলেও একাধিক যোগাসন শিখিয়ে দেন ডাক্তারবাবুরা।
বাত বা আর্থারাইটিস (arthritis) কতকটা বংশগত রোগ। আবার জীবনযাত্রার ধরণের জন্যও অনেকে এই রোগে আক্রান্ত হন। মূলত রক্তচলাচলের সমস্যা থেকেই এই বাতের ব্যথা দেখা দেয়। ব্যথা হলেই জায়গাটা ফুলে ওঠে। জয়েন্টগুলি শক্ত হযে যায়। যে কোনও বয়সের নারী-পুরুষই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যথাও বাড়ে।
বাত বা আর্থারাইটিস (arthritis) অনেক ধরনের হয়। অতিরিক্ত হাঁটা, দাঁড়িয়ে থাকা বা কাজ করার জন্য জয়েন্টে ব্যথা হলে তার ডাক্তারি নাম অস্টিওআর্থারাইটিস (arthritis)। আরেকটি হল রিউমাটয়েড আর্থারাইটিস (arthritis)। এটি শরীরে নিজে থেকেই উৎপন্ন হয়। জয়েন্টের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে আক্রমণ করে। এই রিউমাটরেড আর্থারাইটিই মূলত বংশগত।
সত্যি কথা বলতে আর্থারাইটিসের নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই। অতিরিক্ত ব্যথা হলে পেইন কিলার বা অপারেশনই উপায়। এছাড়া যোগাভ্যাস, জীবনযাত্রার ধরনে বদল এবং সঠিক খাবার খেলেই এই রোগ সারাতে হয়। মালিশ কিংবা ফিজিও থেরাপি সাময়িক আরাম অবশ্য দেয়।
সমীক্ষা বলছে সঠিক খাবার খেতে ২৪ শতাংশ পর্যন্ত রোগ সেরে যেতে পারে। আর্থারাইটিসে কষ্ট পাওয়া মানুষগুলির কাছে এইটুকু ব্যথা কম হওয়া মানেও কিন্তু অনেকটাই। বাতের ব্যথা কমাতে খাবার-দাবার…
তৈলাক্ত মাছ
ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত মাছ খান। সামুদ্রিক মাছ, রুই, পমফ্রেট, ইলিশ খান। চিংড়ি, কাঁকড়াও পাতে রাখবেন। চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন যে সপ্তাহে অন্তত চারদিন এগুলি খাওয়া উচিত। তবে বাঙালির অবশ্য তাতে অসুবিধা নেই। মাছ বাঙালি বাড়িতে রোজই হয়। যদিও তৈলাক্ত মাছ খাওয়ার চল আজকাল একটু কমেছে। কিন্তু গবেষণা বলছে টানা আট সপ্তাহ নিয়ম করে তৈলাক্ত মাছ খেলে ক্ষতিকারক ইনফ্লেমেশন অনেকটাই কমে। এর প্রভাব পড়ে বাতের ব্যথাতে। তাছাড়া মাছে ভিটামিন ডি থাকে। বাতের ব্যথার কষ্ট কমাতে ভিটামিন ডি-ও বেশ কার্যকর।
রসুন
আগেকার দিনে বাতের ব্যথা থেকে বাঁচতে রসুন তেল গরম করে মালিশ করার চল ছিল। সেই ঘরোয়া টোটকাকেই সমর্থন জানায় আজকের আধুনিক চিকিৎসা। বাতের ব্যথায় আরাম পেতে রসুন তেলের মালিশ করতেই পারে। পাশাপাশি রসুন খান। শুধু বাতের ব্যথাই নয় শরীরের অনেক রোগ এই রসুন সেবনে সেরে যায়।
আদা
রসুনের মতো আদার ভেষজ গুণও অসাধারণ। সর্দি, কাশি তো বটেই, চা, স্যুপ কিংবা সরবতে আদা মিশিয়ে খেলে বাতের ব্যথাতেও আরাম মেলে।বিশেষ করে হাঁটুর ব্যথায় যাঁরা কষ্ট পাচ্ছেন তাঁরা আদা খান নিয়মিত। কাঁচা হোক বা রান্না করা আদা সবসময়ই উপকারি।
ব্রোকোলি
নিয়মিত ব্রোকোলি খেলে আর্থারাইটিসের ব্যথায় আরাম মেলে। শরীরের টক্সিন বেরিয়ে যায়। শরীরকে সুস্থ রাখে। তাছাড়া ব্রোকোলি খেতেও বেশ সুস্বাদু।
আখরোট
স্ন্যাক্সে আখরোট রাখুন। জয়েন্টের ব্যথা আসতে আসতে চলে যাবে।
বেরি
জয়েন্টের ব্যথা সারবে তো বটেই সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন কিংবা খনিজ পদার্থ্যের ভারসাম্য রক্ষা করবে বেরি। স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, র্যাসপারবেরি খান। নিয়ম করে।
পালং শাক
শরীরের ইনফ্লেমেশন কমিয়ে আর্থারাটিসে আরাম দিতে সিদ্ধহস্ত পালংশাক। আজকাল সারাবছরই এটি পাওয়া যায়। খেতেও সুস্বাদু।
আঙুর
অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর আঙুর ফল খেতেও সুস্বাদু। শরীরে ইনফ্লেমেটারি কমিয়ে বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এই ফল। তবে ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে আঙুর না খাওয়াই ভালো।
অলিভ অয়েল
বাঙালি রান্নায় তেল থাকবেই থাকে। সেক্ষেত্রে সর্ষের তেলই জনপ্রিয়। কিন্তু তার বদলে যদি অলিভ অয়েল খাওয়ার অভ্যাস করেন দেখবেন বাতের ব্যথা থেকে কষ্ট ধীরে ধীরে কমছে। দামে বেশি হলেও অল্প অলিভ তেলেই অনেকটা রান্না করা যায়। এমনকি ভাজাভুজিও এই তেলে করা সম্ভব। খেতেও সুস্বাদু।
চেরি
চেরির রস খেতে পারেন। তবে সেটি মিষ্টি হলে চলবে না। টক চেরির দর নিয়মিত খেলেও বাতের ব্যথায় আরাম পাবেন।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-05-30 11:56:59
Source link
Leave a Reply