বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে (media) প্রকাশিত খবর অনুযায়ী প্রায় প্রত্যেক দিন ব্ল্যাক ফাংগাস (Black Fungus) রোগে আক্রান্তের (infected) সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা করোনা (Corona) প্যানডেমিকের মধ্যে একেও একটি প্যানডেমিক (Pandemic) হিসেবে মনে করছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য অনুযায়ী যে সমস্ত ব্যক্তিরা করোনা থেকে সেরে উঠছেন বা উঠেছেন তাদের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে এই সংক্রমন। যে সব রোগীদের আইসিইউতে (ICU) অক্সিজেন (Oxygen) থেরাপি হয়েছে সেখানের আদ্রতার জন্যই দেখা দিচ্ছে এই সংক্রমন। অক্সিজেনের ফ্লো মিটারে (Flow meter) ব্যবহৃত জল এই সংক্রমণের জন্য দায়ী বলে মনে করেছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity), করোনা চিকিৎসায় অতিরিক্ত মাত্রায় স্টেরয়েড (Steroid) ব্যবহার এই রোগের অন্যতম প্রধান কর্ম। ইতিমধ্যেই কর্ণাটক, উত্তরাখণ্ড, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, ও হরিয়ানাতে এই রোগে সংক্রমিত রোগীর খোঁজ মিলেছে। ইতিমধ্যেই রাজস্থান (Rajasthan) এই ব্ল্যাক ফাংগাস রোগকে এপিডেমিক (Epidemic) হিসেবে ঘোষণা করেছে। এবার অনেক চিকিৎসকের মতে করোনা রোগীদের বাড়িতে চিকিৎসা চলাকালীন ব্লাড সুগার (Blood sugar) নিয়ন্ত্রণ না করার ফলেই জন্ম নিয়েছে এই রোগ।
ব্ল্যাক ফাংগাস রোগের উপসর্গ: এই রোগে নাক ও জিহ্বার রং বিবর্ণ হতে পারে। ঝাপসা দৃষ্টি শক্তি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা, বুকে ব্যাথা, কাশির সঙ্গে রক্তপাত, চোখে লালচে ভাবা, জ্বর, সর্দি, মাথা যন্ত্রণা, বমি ভাব এই রোগের উপসর্গ গুলির মধ্যে অন্যতম।
এই রোগের চিকিৎসা: অ্যামফটেরিসিন বি (Amphotericin B) ইনজেকশন এই রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা গুলির মধ্যে অন্যতম। এই রোগে রোগী আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীদের, ENT ডাক্তার, নিউরো সার্জেন (NEURO SURGEON) চক্ষু বিশেষজ্ঞদের (Eye specialist) তত্ত্বাবধানে থাকা প্রয়োজন। জীবনদায়ী চিকিৎসা হিসেবে প্রত্যেকটি সংক্রমক টিসু অপারেশন করে নিস্ক্রমন করতে হবে , নইলে রোগী দৃষ্টি শক্তি হারাতে পারে। ছয় সপ্তাহের চিকিৎসা অবশ্যই প্রয়োজন। এই রোগ থেকে সেরে ওঠার পর ব্লাড সুগারের নিয়মিত নজরদারি প্রয়োজন। অক্সিজেন থেরাপির জন্য পরিষ্কার স্টেরিল জল প্রয়োজন। স্টেরয়েড ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিসকের অনুমোদন প্রয়োজন। এই রোগে আক্রান্ত হলে নাক বন্ধ হলে সেটা গুরুত্বের সঙ্গে বিচার করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া…! ‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’!
‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.
শরীর স্বাস্থ্য – Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper
2021-05-25 18:36:43
Source link
Leave a Reply