হাইলাইটস
- কথায় বলে কয়লাকে হাজার বার ধুলেও তার কালো রং যায় না।
- অতএব আগের বছরের লকডাউনের অভিজ্ঞতাকে এবছরও কাজে লাগান
কিন্তু ৭-১০টা গুঁতোগুঁতি করে বাজার করাতেই তাঁদের আনন্দ। আর একদল আছেন। যাঁরা স্রেফ পায়ের উপর পা তুলে বাড়িতে বসে সেলফি তুলছেন। গৃহ সহায়িকার হাতে বারবার আদা, গোলমরিচ, হলুদ দেওয়া চায়ে চুমুক রাখছেন, দুপুরে চিকেন স্ট্যু খাচ্ছেন আর AC-এর হাওয়া খেতে খেতে সকাল থেকে একে তাকে ফোন করে ভয় ধরাচ্ছেন। সকাল ১০ টায় এঁনারা যদি শোনেন যে আপনার ব্রেকফাস্ট হয়নি তাহলে খুব আতঙ্কিত গলা করে বলবেন- ‘তাঁর পাশের ফ্ল্যাটে থাকা মেয়েটি সময়ে ব্রেকফাস্ট করত না বলেই করোনায় আক্রান্ত হল’। কিংবা যদি শোনেন যে আপনি বাজার করতে যাচ্ছেন, নিজের কাজ নিজেই সারছেন তখন বলবেন, ‘তাঁর চেনা এক বন্ধুর দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় এই বাজার করতে গিয়েই করোনার বলি হলেন’। এসব লোকজনের ধারণা এমন সাবধানবাণীতে আপনার হৃদয় দুর্বল হবেই।
এবার যদি আপনার গ্রে ম্যাটার (Grey matter) শুকিয়ে আসে তাহলে আপনার শরীরে কাঁপুনি ধরবে। বার বার ভেপার নিয়ে আর গার্গল করে ঘরের এক কোণায় বসে থাকবেন। কিন্তু যদি এই অবাঞ্ছিত আপদদের জীবন থেকে তাড়াতে চান তাহলে এই কয়েকটি পরামর্শ নিশ্চয় মেনে চলবেন-
পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে সতর্ক থাকুন- কথায় বলে কয়লাকে হাজার বার ধুলেও তার কালো রং যায় না। অতএব আগের বছরের লকডাউনের অভিজ্ঞতাকে এবছরও কাজে লাগান। প্রথম থেকেই মাথায় রাখুন কেমন উত্তর দেবেন। সেই মতো ব্যাপারট সামলে নিন। রাগ হলেও এমন মিষ্টি করে কথা বলুন যাতে তিনি ফোন রেখে দিতে বাধ্য হন।
মনের জোর রাখুন- যে কোনও রোগ, যে কোন বিপদ জয় করার একমাত্র অস্ত্র মনের জোর। মনের জোর যদি খুব বেশি হয় সেখানে কেউ আপনাকে টলাতে পারবে না। কাজেই ভরসা রাখুন নিজের উপর। কোনও অবস্থাতেই মনের জোর হারাবেন না। মাথা ঠান্ডা রেখে সব পরিস্থিতির সমাধান সম্ভব।
তাঁদের দয়া করে থামতে বলুন- বিরক্তিকর আত্মীয়দের এই যুক্তিহীন কথাবার্তা যদি সীমা ছাড়িয়ে যায় তাহলে তাঁদের সরাসরি থামতে বলুন। আপনি যে বিরক্ত এই ব্যবহারে তা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিন। ভবিষ্যতে যাতে এমন ভাবে কথা বলার আগে ২ বার অন্তত ভাবেন সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট দিয়ে রাখুন।
এঁদের যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন- যতটা সম্ভব এঁদের ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করুন। খুব প্রয়োজন ছাড়া ফোন করবেন না। এমনকী বাড়িতেও যাবেন না। যত নেগেটিভিটি থেকে দূরে থাকবেন ততই ভালো। এতে নিজের মন, শরীর সব ভালো থাকবে।
তাঁরা যেমন সেভাবেই তাঁদেরকে দেখুন- কাকে কতটা গুরুত্ব দেবেন সেটা অবশ্যই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু এই সব মানুষকে অতিরিক্ত গুরুত্ব না দেওয়াই ভালো। প্রয়োজন বুঝে মানুষের সঙ্গে মিশুন। প্রয়োজন বুঝে বন্ধুবৃত্তে মানুষকে ঢুকতে দিন। দেখবেন জীবনে শান্তি বজায় থাকবে।
এঁদের সঙ্গে তর্কে যাবেন না- এই ধরণের মানুষরা বড়ই বেয়াদপি তর্ক করেন। অযথা ভুল যুক্তি দেন। এঁদেরকে বোঝানো বৃথা। কোনও ভাবেই এঁদের বাস্তব, সত্যি বোঝানো যায় না। এঁরাই কিন্তু সেই অর্থে সুবিধাবাদী শ্রেণীর (privileged class) প্রতিনিধি।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-24 18:49:40
Source link
Leave a Reply