মুন অবশ্য সেসব নিয়ে ততটাও চিন্তিত নয়। যদি কেউ তাকে পাত্তা না দেয় তাহলে মুনের থোড়াই কেয়ার! কিন্তু রৌণকের সঙ্গে ব্যাপারটা আলাদা। হতেই পারে সে হয়তো কোনও কাজে ব্যস্ত।
এর কিছুদিন পর মুনের কাছে আসল ব্যাপারটা খোলসা হল। খোঁজ নিয়ে জানতে পারল সোশ্যাল মিডিয়ায় রৌণকের নতুন এক গার্লফ্রেন্ড হয়েছে। আপাতত তাকে নিয়েই ব্যস্ত। এই খবর শোনার পর একটুও সময় নষ্ট না করে মুন রৌণকের নম্বর সোজা ব্লক লিস্টে পাঠিয়ে দিল। তারপর দারুণ একটা স্পা নিয়ে এক সপ্তাহের জন্য ঘুরতে গেল পাহাড়ে। ফিরে এসে নিজের জীবন নতুন করে সাজিয়ে নিল। নিজের পড়াশোনা, কেরিয়ার, বন্ধুদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। রৌণক একবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল বটে কিন্তু মুন কোনও পাত্তাই দেয়নি। প্রথম কয়েকদিন কষ্ট হয়েছিল বটে কিন্তু মুন নিজেকে সামলে নিয়েছে। নিজের মতো করে সবটা গুছিয়ে নিয়েছে।
মুন তো নিজেকে সামলে নিয়েছে। কিন্তু প্রেমিক বা প্রেমিকার পাত্তা না পেলে আপনি নিজেকে সামলাতে পারবেন তো? তবে তার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার সঙ্গী আদৌ আপনাকে পাত্তা দেয় কিনা!
সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সঙ্গী বিশেষ মনোযোগী নন
খাতায় কলমে হয়তো প্রেম করছেন। শরীরিক সম্পর্কও তৈরি হযেছে। কিন্তু প্রেমিক বা প্রেমিকা যেন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে বিশেষ আগ্রহী নন। প্রতিবার ঝগড়া হলে আপনাকেই মিটমাট করতে হয়। আপনাকেই তাঁর মন জুগিয়ে চলতে হয়। আপনার মান, অভিমান, রাগ, কষ্টকে তিনি গুরুত্বই দেন না। একসঙ্গে বেড়াতে গেলে তিনি একা একা এগিয়ে যান। পিছন ফিরে দেখেনও না যে আপনি কোনও সমস্যায় পড়েছেন কিনা। ফোন, মেসেজের শুধু উত্তর দেন। নিজের প্রয়োজন ছাড়া ফোন বা মেসেজ করেন না। তাহলে সম্পর্কের ব্যাপারে আপনার ভাবার সময় এসেছে।
গুরুত্বহীনতা
জন্মদিন বা কোনও বিশেষ দিনে আপনার জন্য স্পেশাল কিছু করেন না। রোম্যান্টিক কথাবার্তা দূর নিদেন পক্ষে আপনার প্রিয় খাবারও কোনোদিন তিনি খাওয়াননি। উপহার দিতেও তাঁর বড্ড অনীহা। নিজের কোনও কাজে আপনার সিদ্ধান্তকে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দেন না। তাহলে বুঝবেন আপনার সঙ্গীর জীবনে আপনার বিশেষ গুরুত্ব নেই। আপনি তাঁকে সঙ্গী ভাবলেও তিনি আপনাকে পাত্তা দেন না।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় অনীহা
ভবিষ্যতে সম্পর্ক কোন দিকে এগোবে সেসব নিয়ে সঙ্গী একেবারেই আলোচনা করতে চান না। আপনি বিয়ের কথা তুললে তিনি যে কোনও অজুহাতে তা এড়িয়ে যান। কিংবা বিরক্ত হন। বাড়ির লোকের সঙ্গে দেখা করাতে বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে পরিচয় করাতে চান না। তাহলে নিজের বিবেক বুদ্ধিতি একটু চাপ দিন। একতরফা সম্পর্ক নিয়ে নাচানাচি করার কোনও মানেই হয় না।
প্রশংসায় অনীহা
যত ভালো কাজই করুন না কেন সঙ্গী কিছুতেই আপনার প্রশংসা করেন না। বরং আপনার সামনেই আপনার সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন। তা সে আপনার পছন্দ, কাজ, বিশ্বাস যাই হোক না কেন। মনে মনে দুঃখ পেলেও আপনি মুখ বুঝে সহ্য করেন। কী দরকার সহ্য করার? তার চেয়ে নিজের ক্যারিয়ারে মন দিন। আর এমন নিন্দুক লোককে জীবন থেকে দূর করুন।
এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা
সম্প্রতি তিনি কি আপনার সঙ্গে কথা বলতে বা দেখা করতে চাইছেন না? কিংবা আপনি সামনে থাকলেও ফোনে ব্যস্ত থাকছেন? আপনার জন্মদিনে উইশ করতেও ভুলে যাচ্ছেন? আপনার সঙ্গে গল্প করতে বিরক্ত হচ্ছেন বা কথায় কথায় ঝগড়া করছেন? আগে খোঁজ নিন তিনি কোনও মানসিক সমস্যায় পড়েছেন কিনা। যদি তা না হয়, তাহলে বুঝবেন তিনি আপনার সঙ্গে আর থাকতে চাইছেন না।
অন্য সম্পর্কে আসক্তি
কথায় কথায সঙ্গী কি অন্যের সঙ্গে আপনার তুলনা করছেন? কিংবা পরিচিত বন্ধুবান্ধবের মুখে তাঁর অন্য সম্পর্কের কথা কানে এসেছে? তাহলে একবার খোঁজ নিন। সত্যিই অন্য সম্পর্কে জড়ালে তাঁর জবাবের জন্য অপেক্ষা না করে জাস্ট ব্রেক-আপ করে দিন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-23 11:51:40
Source link
Leave a Reply