নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনায় গোদের উপর বিষফোঁড়া ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস (Mucormycosis)। শনিবার ভারতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা প্রায় ৯ হাজারের কাছাকাছি। মারাও গিয়েছেন ২১২ জন। সাধারণত ভিজে স্যাঁতস্যাঁতে বা পচনশীল জৈব পদার্থের উপরেই এই ফাঙ্গাসের বিচরণ। মনে করা হচ্ছে ডায়াবেটিস রোগীদের , দুর্বল অনাক্রমতাধাীদের এবং উচ্চমাত্রায় স্টেরয়েড প্রয়োগের ফলেই প্রভাব ফেলছে এই ফাঙ্গাস। কিন্তু উদ্বেগ বাড়িয়ে বর্তমানে করোনা আক্রান্ত কমবয়সীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে (Black Fungus)।
ফাঙ্গাসের সংক্রমণের জন্য স্টেরয়েডের প্রয়োগকেই দায়ী করছে সরকার। কিন্তু অন্যান্য দিকগুলিও খতিয়ে দেখতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, করোনা রোগীদের চিকিৎসায় জিঙ্কের প্রয়োগ অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। আইএমএর (IMA) প্রাক্তন সভাপতি রাজীব জয়াদেবনের মতে, শরীরে জিঙ্ক বা আয়রনের মতো ধাতুর উপস্থিতি ফাঙ্গাস সংক্রমণের অনুকুল পরিবেশ। মিউকরমাইকোসিস ও জিঙ্কের মধ্যে আদৌ কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ভারতে Black fungus-এ আক্রান্তের ৬০ শতাংশই ৩টি রাজ্যের
বিশেষজ্ঞদের একাংশ আবার মনে করছেন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কারণ হতে পারে মেডিকেল অক্সিজেনের বদলে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেনের ব্যবহার। অনেকে আবার কো-মরবিডিটিকেও দায়ী করছেন। তবে তাঁদের মতে, এও সত্যি, কেবল অ্যান্টি-ফাঙ্গাল চিকিৎসা পদ্ধতিতে জোর দিলেই চলবে না। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বাড়বাড়ন্ত রুখতে দক্ষ মাইকোলজিস্ট (ফাঙ্গাস সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ) এবং একদল বায়োমেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: Black Fungus-এর লক্ষণগুলি কী? কীভাবে প্রতিরোধ সম্ভব? জানাল রাজ্য
Zee24Ghanta: Health News
2021-05-23 08:17:57
Source link
Leave a Reply