এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে ২০২১১ সালে মহামারী আবার ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে এবং সেইসঙ্গে তা প্রতিটি নাগরিকের শারীরিক এবং মানসিক পরিস্থিতির ওপর এর প্রভাব ফেলেছে।
আমেরিকার এক বিশেষ মানসিক রোগ সংক্রান্ত সংগঠন জানাচ্ছে যে এই সময়ে তারা নতুন একটি রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করেছে মানুষের মধ্যে।
এই রোগটির নাম হলো ফোগো (fogo)। এর পুরো অর্থ হল ফিয়ার অফ গোয়িং আউট (fear of going out)।
অর্থাৎ চারিদিকে যে পরিস্থিতি সেই ভয়াবহ কঠিন অবস্থায় মানুষ বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছে।
এই রোগটি (fear of going out) সম্পূর্ণ মানসিক এর অর্থ দেখে বুঝতে পেরেছেন।
তবে এর থেকে মানুষ মানসিক অবসাদের (depression) শিকারও হচ্ছে। আসলে এই রোগটি হলো (fear of going out) এমনই যে এক্ষেত্রে মানুষ আবার স্বাভাবিক জীবনযাপনের কথা ভেবে ভয় পাচ্ছে।
অর্থাৎ দীর্ঘ লকডাউনের পরে যখন আবার সব কিছু স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে সেই সময় পরিস্থিতি কেমন হবে সেটা ভেবেই মানুষের মনে একটা দুশ্চিন্তা জাগছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এক বছর বা তার থেকে বেশি সময় লকডাউন থাকলে মানুষে এই রোগে আক্রান্ত হওয়াটা নাকি স্বাভাবিক।
এমনকি এখন মানুষ কোন বর্ত জায়গায় দ্বিতীয় ব্যক্তির সাথে কথা বলতেও ভয় পাচ্ছে। তবে থেকে মুক্তির উপায় রয়েছে।
১. আপনার মনে প্রথমেই হয়তো ভয় জাগতে পারে যে সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার পরেও কোন জমায়েতে (gathering) গেলে সেখানে আপনি আক্রান্ত হতে পারেন।
তাই কোন বড় অনুষ্ঠান এ না গিয়ে ছোট ছোট অনুষ্ঠান বা ছোট ছোট জমায়েতে (gathering) আপনি অংশগ্রহণ করতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে আপনি হয়তো কারো সাথে রেস্টুরেন্টে গেলেন অথবা কোন পার্কে গিয়ে একটু বসলেন।
এতে আপনার মন এবং মস্তিষ্ক দুটোই ঠান্ডা হবে। এমন কোন ব্যক্তির সঙ্গে কিছুটা সময়ে কাটালেন যিনি ভ্যাকসিন (vaccine) নিয়েছেন।
এরপর আপনার গ্রুপের জনসংখ্যা আস্তে আস্তে বাড়লে (gathering) আপনি সেখানে যোগ দেবেন।
২. মানুষ যখন ভয় পায় তখন তার মনে এটাই চলতে থাকে যে সে যাতে সেই কাজটা আবার না করে যাতে তার মনে সেই ভয়টা আরো বেড়ে যায়।
তবে এখানেই আপনাকে ভাঙতে হবে বেড়াজাল। আপনার যা যা ভয় এই মুহূর্তে সেগুলি এক জায়গায় লিখুন।
এবার আস্তে আস্তে সেগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করুন নিজের সাথে অথবা অন্য কোনো বিশেষ বন্ধুর সঙ্গে। এর পরে সেই ভয়গুলি কতটা গভীর এবং কিভাবে সেগুলি কাটানো যায় সেগুলি ভাবতে হবে।
ধরুন আপনি কোন জমায়াতে যাচ্ছেন। সেখানে যাওয়ার আগে আপনার মনে হতে পারে যে সেখানে গেলে লোকে আপনাকে নিয়ে কী বলবে।
তবে সেখানে গেলে আপনার কি উপকার হবে বা আপনি খুশি হবেন কিনা এটাই আপনার কাছে মুখ্য ভাবার বিষয় হওয়া উচিত।
লাল-নীল-গেরুয়া…! ‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’!
‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.
শরীর স্বাস্থ্য – Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper
2021-05-21 15:07:06
Source link
Leave a Reply