হাইলাইটস
- বাচ্চারা টেস্টের সময় ভয় এবং উত্তেজনায় হাত-পা ছুড়ে কাঁদতে শুরু করে দিতে পারে।
- এর ফলে যাঁরা তাদের সোয়াব সংগ্রহ করছেন, তাঁদের পক্ষেও মনযোগ সহকারে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
- তাই ব্যথা ও ভয় কম করার জন্য বাচ্চাদের ডিসট্র্যাক্ট করে রাখুন।
- পছন্দের খেলনা, ভিডিও দেখিয়ে তাদের মন ভোলানোর চেষ্টা করুন।
এই আরটি-পিসিআর টেস্ট বা নাসাল সোয়াব টেস্ট করা খুব একটি সহজ পদ্ধতি নয়। টেস্ট নেওয়ার আগে নানা সতর্কতামূলক পদক্ষেপও গ্রহণ করা উচিত। টেস্টের প্রক্রিয়া অনেক বাচ্চার মনেই ভীতি সঞ্চার করে দিতে পারে। এই পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের মন থেকে ভয় দূর করা অত্যন্ত জরুরি।
নিজের বাচ্চাকে প্রস্তুত রাখুন
শিশু মনোবিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা এই অতিমারী শুরুর সময় থেকেই বলে আসছেন যে, করোনা সংক্রান্ত কোনও খবর থেকে বাচ্চাদের দূরে সরিয়ে রাখবেন না, বরং তাঁদেরও এ ব্যাপারে সচেতন করে তুলুন। এমনকি টেস্টের পদ্ধতির ক্ষেত্রেও বাচ্চাদের সচেতন করে তুলুন। বাচ্চারা এই পদ্ধতি সম্পর্কে যতটা জানবে, ততটাই নিজের ভীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে।
নিজেকে শান্ত রাখুন
কোনও ভাবেই নিজের উত্তেজনাকে বাচ্চাদের মনের মধ্যে সঞ্চারিত করবেন না। বাচ্চারা অভিভাবকদের মনের ভাব বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গে বহুগুণ বেশি উত্তেজিত এবং ভীত হয়ে পড়বে। তাই আপনি নিজে যতই চিন্তিত থাকুন না-কেন, নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও বাচ্চার অভিভাবকদের মধ্যে লক্ষণ ধরা পড়লে, তাঁরা স্বাভাবিক ভাবেই ভয় পাবেন। তাই নিজের সন্তানের টেস্টের আগে সমস্ত তথ্য একত্রিত করুন এবং নিজেকে স্থির রাখুন।
টেস্টের সময় কোনও কার্টুন বা খেলনা দেখিয়ে বাচ্চাদের মন ভুলিয়ে রাখুন
বাচ্চারা টেস্টের সময় ভয় এবং উত্তেজনায় হাত-পা ছুড়ে কাঁদতে শুরু করে দিতে পারে। এর ফলে যাঁরা তাদের সোয়াব সংগ্রহ করছেন, তাঁদের পক্ষেও মনযোগ সহকারে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই ব্যথা ও ভয় কম করার জন্য বাচ্চাদের ডিসট্র্যাক্ট করে রাখুন। পছন্দের খেলনা, ভিডিও দেখিয়ে তাদের মন ভোলানোর চেষ্টা করুন। এমনকি সাহস ও ভরসা জোগানোর জন্য আলতো ভাবে তাদের হাত ধরে রাখুন।
লক্ষ্য রাখুন যাতে তারা ভালোভাবে বসতে পারে
টেস্টের সময় তাঁদের ওপর কোনও কিছু জোর করে চাপিয়ে দেবেন না। বোঝানোর চেষ্টা করুন। তাদের ভয় ও উত্তেজনা কম করার জন্য তাঁদের পাশে বসুন বা তাঁদের নিজের বাহুবন্ধনে আবদ্ধ করে রাখুন। টেস্ট সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর আলিঙ্গন করে তাদের মন শান্ত করার চেষ্টা করুন।
বাহবা দিন
প্রশংসা এবং পুরস্কার প্রদানের কৌশল এ সময় কাজে লাগতে পারে। বাচ্চাদের পক্ষে শান্ত হয়ে বসে থাকা ততটা সহজ নয়। নিজের সন্তানের এক ডাকে সাড়া দিন, তাদের আবেগ অনুভূতিকে গুরুত্ব দিন। টেস্ট সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর নিজের সন্তানকে বাহবা জানাতে ভুলবেন না। সম্ভব হলে ছোটখাটো পুরস্কারও দিতে পারেন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-19 17:00:20
Source link
Leave a Reply