হাইলাইটস
- জীবন থেকে তিনি চলে গিয়েছেন।
- সুতরাং যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তাঁকে ব্লক করে দিন।
- ফোন থেকে নম্বর মুছে ফেলুন
তিয়াসার প্রথমে তা বিশ্বাস না হওয়ার সে সরাসরি কিংশুককে জিগ্গেস করে। এবং কিংশুক কিন্তু তার বক্তব্যের সত্যতা স্বীকার করে নেয়। সেই সঙ্গে বলে তিয়াসা তার থেকে ছোট বলে জানাতে কুন্ঠাবোধ করছিল। তিয়াসা আর কিংশুকের সম্পর্কের কথা ওর বাড়ির সকলেই জানত। সব ভুলে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এল তিয়াসা। কিন্তু ওর মনে হতে লাগল শুধুমাত্র কিংশুকের জন্য তার এতগুলো বছর নষ্ট হল। কলেজ জীবনও ঠিক করে উপভোগ করা হল না। নিজের উপরই খুব রাগ হতো ওর। একবার ভাবল কিংশুকের বাড়িতে ফোন করে ওর বাবা-মাকে কথা শোনাবে। আবার ভাব কিংশুককে ফোন করে যা তা বলবে। সবার সামনে কিংশুককে কষিয়ে চড় মারবে। প্রতিশোধ স্পৃহায় তখন সে উন্মাদ। কিছুতেই মন শান্ত করতে পারছে না। তখন তিয়াসার এক দিদি ওকে পরামর্শ দিল অতীত ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই ভালো। বরং এই সম্পর্ক থেকে জীবনের অনেক শিক্ষা সে পেল। কোনও কিছুই ফেলা যায় না। বরং এরপর তার জীবন অনেক সুন্দর হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
প্রাক্তনের অস্তিত্ব মুছে ফেলুন- জীবন থেকে তিনি চলে গিয়েছেন। সুতরাং যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তাঁকে ব্লক করে দিন। ফোন থেকে নম্বর মুছে ফেলুন। পুরনো ছবি মুছে ফেলুন। কারণ এগুলো হাতের সামনে থাকলেই কোনও এক দুর্বল সময়ে ফোন করার ইচ্ছে হবে। মন খারাপ হবে। মনের জোর নিজেকেই আনতে হবে। নিজেই নিজেকে উৎসাহ দিন অতীত ভুলে যাওয়ার জন্য।
ঝুপ করে প্রেমে পড়া নয়- একটা প্রেম কেটে গিয়েছে বলেই যে সঙ্গে সঙ্গে নতুন একটি প্রেমে পড়তে হবে তা নয়। বরং নিজেকে সময় দিন। নিজেকে ভালোবাসুন। চলার পথে আপনি একাই একশো এটা আপনাকে প্রমাণ করতেই হবে। নিজেকেই সাহস দিতে হবে, নিজের মনোবল নিজেই বাড়ান। আরও বেশি করে কাজ করুন।
কেরিয়ারে মন দিন- নিজের কেরিয়ার নিজের হাতে। কেরিয়ার সুন্দর করে গড়ে নিতে পারলে নিজের জীবনও সুন্দর হবে। আর এই কেরিয়ার আপনাকেই তৈরি করতে হবে। বন্ধুদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখুন। পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে পেশা উপযোগী বিভিন্ন কোর্সও করে রাখতে পারেন। প্রতিহিংসা নয়। ভালো কেরিয়ার গড়েই তাক লাগিয়ে দিন।
নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিন- কী করলে ভালো হবে তা আপনার থেকে ভালো আর কেউ বোজে না। আর তাই নিজের জীবনের সিদ্ধান্তের জন্য ভরসা রাখুন নিজের উপর। আপনি কী চাইছেন, মন কী চাইছে এটা সবচেয়ে ভালো বোঝেন আপনি নিজেই। আর তাই নিজের সিদ্ধান্তের জন্য কারোর উপর ভরসা নয়। যদি মনে হয় তখন কারোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। নইলে নয়।
নেগেটিভিটি থেকে দূরে থাকুন- আমাদের চারপাশে থাকা সব মানুষই যে আমাদের ভালো চায় এমনটা কিন্তু নয়। কাকে কতটা পাত্তা দেবেন তা নিজেকেই ঠিক করতে হবে। সবাই যে আপনাকে বোঝাবে সুপরামর্শ দেবে এমন কিন্তু নয়। তাই এই সব নেগেটিভ মানুষদের থেকে দূরে থাকুন। যাঁরা সব সময় আপনাকে পজিটিভ ভাবতে সাহায্য করবে এমন মানুষের সঙ্গেই বেশি করে মিশুন।
নানারকম কাজে যুক্ত থাকুন- নিজের ভালোবাসার কাজে নিজেকে যুক্ত করুন। নিজেই নিজের ইচ্ছেপূরণ করুন। এতে মন ভালো থাকবে। সেই সঙ্গে সম মানসিকতার বেশ কিছু বন্ধুও তৈরি হবে। পুরনো বন্ধুদের যদি অপ্রয়োজনীয় মনে হয় তাহলে তাঁদের থেকে অবশ্যই দূরে থাকুন। কাজ আমাদের অনেক কিছু ভুলিয়ে রাখে। অনেক কিছু থেকে দূরে রাখে। সেই সঙ্গে মনও সুন্দর হয়।
বাকিটা ব্যক্তিগত- নিজের পছন্দ, অপছন্দ নিজের কাছেই রাখুন। প্রত্যেক মানুষের জীবনেই একটি ব্যক্তিগত স্পেস রয়েছে। সেখানে জোর করে কাউকে ঢুকে পড়তে দেবেন না। কিছু বিষয় নিজের কাছেই রাখুন। সেই বিষয় নিয়ে কারোর সঙ্গে আলোচনা নয়। নিজের মুহূর্ত নিজের সঙ্গে উদযাপন করুন। নিজেকে প্যাম্পার করুন। ভালো কাজের জন্য ট্রিট দিন। নিজের জন্য উপহার কিনুন। জীবনে কিছু নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলুন। দেখবেন ভালো থাকবেন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-19 12:55:29
Source link
Leave a Reply