ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত
ছোটোবেলায় ভূগোল বইতে প্রথম এই অপূর্ব সুন্দর জলপ্রপাত সম্পর্কে জানতে পারে মানুষ। তারপর থেকেই সেই জলপ্রপাতের সামনে গিয়ে একবার দাঁড়ানোর। মানুষের তৈরি তাজমহলের পূর্ণিমা রাতের সৌন্দর্য যেমন ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের সৌন্দর্যকেও ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। জিম্বাবোয়ে এবং জম্বিয়ার সীমানায় অবস্থিত এই জলপ্রপাতের শব্দে নিজের কথা নিজেই শুনতে পাবেন না। আর এর মাথার উপরে রামধনু ওঠার দৃশ্য যাঁরা দেখেছেন তাঁরা হয়তো বিশ্বের সবচেয়ে ভাগ্যবান পর্যটক। আগে জলপ্রপাতের বেশি কাছে যাওয়া যেত না। এখন পর্যটকদের সুবিধা এবং নিরাপত্তার কথা ভেবে জলপ্রপাতের যতটা সম্ভব কাছে রেলিং দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এখানে কাটিয়ে দেওয়া যায়।
অরোরা বা মেরুজ্যোতি
বিশ্বের এই আশ্বর্যের পরিচয়ও প্রথম ভূগোল বই থেকেই হয়। উত্তরমেরুর আকাশে রহস্যময় আলো এই মেরুজ্যোতি। বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে কৃত্রিম আলো দিয়ে যেমন লাইট শো-এর আয়োজন করা হয় এও অনেকটা তেমন। তবে এটি প্রকৃতির আলোর খেলা। আর কৃত্রিম শো-এর থেকে কয়েক হাজার গুণ সুন্দর এবং আশ্চর্যময়। যে কোনও পর্যটকের স্বপ্নের বাকেট লিস্টে এই মেরুজ্যোতি দেখার প্ল্যান থাকবেই থাকবে। নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, আইসল্যান্ড, উত্তর ক্যানাডা থেকে নির্দিষ্ট মাসে এই মেরুজ্যোতি বা অরোরা দেখা যায়। প্রাচীন উপজাতিদের বিশ্বের এই মেরুজ্যোতি নাকি পৃথিবাতে আসার জন্য ঈশ্বরের তৈরি সেতু। কেউ আবার এগুলিকে মনে করেন পূর্বপুরুষদের আনন্দোৎসব। যদিও পুরোটাই সূর্য, বায়ুমণ্ডল এবং মহাকাশকণার বৈজ্ঞানিক সংযোগ।
গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ
অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ বিশ্বের দীর্ঘতম প্রবাল প্রাচীর। অতল জলের গভীরে যে জীবনযাত্রা রয়েছে তা দেখতে গেলে এই প্রবাল প্রাচীর সংলগ্ন জলের নীচ সাঁতরে দেখতে হবে। প্রায় সাড়ে চৌত্রিশ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকার এই প্রাচীরে বসবাস করে অন্তত পক্ষে ২৯ হাজার প্রকৃতির প্রবাল। জীবনে অন্তত একবার এর দর্শন না করলে পর্যটকজীবন বৃথা।
গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন
ছয় হাজার ফিটেরও বেশি গভীর এবং ২৭৭ মাইল দীর্ঘ অ্যারিজোনার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন বিশ্বের গভীরতম গিরিখাত। এর মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে কোলোরাডো নদী। এই গিরিখাতের সৃষ্টি রহস্য আরও বিজ্ঞানীরা ভেদ করতে পারেননি। তবে পর্যটকদের কাছে এই গিরিখাতের আকর্ষণ যুগ যুগ ধরেই পুরোনো হয়নি। গিরিখাত সংলগ্ন গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন জাতীয় উদ্যানটিও ভ্রমণবিলাসীদের কাছে আকর্ষণীয়।
মাউন্ট এভারেস্ট
শরীর এবং মনের প্রবল জোর থাকলে মাউন্ট এভারেস্টে পারি দিতে পারেন অনেকেই। যদিও সেই সংখ্যাটা হাতে গোনা। তবে ৮,৮৪৮ মিটার দীর্ঘ বিশ্বের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গটি বিশ্বের প্রাকৃতিক আশ্চর্যের মধ্যে অন্যতম। প্রতিবছর বহু পর্বতারোহী এভারেস্ট জয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কেউ সফল হন, কেউ আবার হন না। তবে বরফের মাটিতে নিজের হাতে নিজের যাওয়ার রাস্তা তৈরি করে ক্রমশ আকাশের দিকে এগিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতার সঙ্গে নাকি কোনও কিছুরই তুলনা হয় না। একথা অভিজ্ঞদের মুখেই শোনা। তবে আজকাল এভারেস্ট ওঠার এমন ধুম পড়েছে যে ২০১৯ সালে নাকি সেখানে মানুষের ট্র্যাফিক জ্যাম হয়ে গিয়েছিল। ভাবুন একবার। মহামারি শেষ হলে এভারেস্ট তো পুজোর আগের গড়িয়াহাট বা নিউমার্কেট হয়ে যাবে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-18 16:52:59
Source link
Leave a Reply