শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : করোনা সংক্রমণের ফলে প্রায় সব ক্ষেত্রেই দুর্বল হচ্ছে ফুসফুস। সবার যে করোনা হলে শ্বাস কষ্ট হচ্ছে সেটা নয়। তবে করোনার অন্যতম উপসর্গ হচ্ছে শ্বাস কষ্ট। তাই দেখা গেছে প্রায় সবারই করোনা থেকে সেরে ওঠার পর আক্রান্তদের ফুসফুসের অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে তাই করোনা থেকে সেরে ওঠার পর সবারই সিটি স্ক্যান করে চিকিৎসকরা ফুসফুসের সর্বশেষ অবস্থ্যা দেখে নিচ্ছেন। কেননা শ্বাস কষ্টের সমস্যা করোনা সারার পর অনেকেরই থেকে যাচ্ছে। তাই চিকিৎসকরা মিলিয়ে নিচ্ছেন করোনা সংক্রমণের আগে ও পরে রোগীর ফুসফুসের অবস্থা কেমন ছিল এবং আছে। তাই সবাই করোনা থেকে সেরে উঠেই ফুসফুসের অবস্থা দেখতে সিটি স্ক্যান করাচ্ছেন।
তবে এইমসের অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া করোনা রোগীদের সম্প্রতি পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, “করোনা হলে, মৃদু উপসর্গ থাকলে আগেই সিটি স্ক্যান করার প্রয়য়োজন নেই। এক্সরে করিয়ে ফুসফুসের অবস্থা দেখুন। সিটি স্ক্যান করবেন না। খুব প্রয়োজন হলে এক্সরে করা যেতে পারে। যদি বাধ্য হয়ে সিটি স্ক্যান করতেই হয় তাহলে একের বেশি বার সিটি স্ক্যান করবেন না।” এইমসের অধিকর্তা সিটি স্ক্যান করতে নিষেধ করার কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, “এক বার সিটি স্ক্যান করলে যে ক্ষতি হয় সেটা ৩০০টি এক্সরে করলে যে ক্ষতি হয় তার সমান। আর এই সিটি স্ক্যান করার ফলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। কারণ সিটি স্ক্যান করার জন্য যে রশ্মি ব্যবহার করা হয় সেটা কার্সিনোজেনিক।”
এইমসের অধিকর্তার এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন চিকিৎসক শতদল দাস। তিনি বলেছেন, “সিটি স্ক্যান করলে ওই যন্ত্র থেকে যে রেডিয়েশন বার হয়ে বুক থেকে শরীরের ভেতর প্রবেশ করে তাতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই কারো করোনার মৃদু উপসর্গ থাকলে তাঁর কোটি স্ক্যান না করে বুদ্ধিমানের ককাজ হবে। তাছাড়া করোনার মৃদু উপসর্গ থাকলে সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। তবে কিছু কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে সিটি স্ক্যান করার দরকার হয়ে পরে ইমেজ স্পষ্ট পাওয়ার জন্য। তবে এটা স্পষ্ট করে বলতে পারি সিটি স্ক্যান করার সময় মানুষের শরীরে যে রশ্মি প্রবেশ করে, সেটা ক্যান্সারের কারণ কেননা ওই রশ্মি কার্সিনোজেনিক।”
চিকিৎসকরা বলছেন, “করোনা মানুষের শরীরকে এমনিতেই খুব দুর্বল করে দেয়। তার ওপর যদি করোনা সরিয়ে ফুসফুস পরীক্ষা করতে গিয়ে সিটি স্ক্যান করে মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে যায়, তাহলে কোটি স্ক্যান করার প্রয়োজমন কি ?
লাল-নীল-গেরুয়া…! ‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’!
‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.
শরীর স্বাস্থ্য – Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper
2021-05-16 15:12:15
Source link
Leave a Reply