হাইলাইটস
- করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে (covid second wave) রোগীদের একের পর এক নতুন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।
- প্রবীণদের তুলনায় তরুণদের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে দেখা গিয়েছে।
- যেটা করোনার (Coronavirus) প্রথম ঢেউয়ে লক্ষ্য করা যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বেশির ভাগ উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে এই হ্যাপি হাইপোক্সিয়া (Happy Hypoxia)। কী এই হ্যাপি হাইপোক্সিয়া (Happy Hypoxia), কী ভাবে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে এটি? এর লক্ষণগুলি কী এবং কেন তাকে সাইলেন্ট কিলার বলা হয়?
কী এই হ্যাপি হাইপোক্সিয়া (Happy Hypoxia)?
হাইপোক্সিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা অস্বাভাবিক হারে কমতে থাকে। সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয় হল, শরীরে, রক্তে অক্সিজেনের অস্বাভাবিক ঘাটতি হওয়া সত্ত্বেও আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে প্রবল শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরানোর মতো কোনও সমস্যাই দেখা যায় না। সময় মতো চিকিৎসাও শুরু করা যায় না। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই হ্যাপি হাইপোক্সিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি হঠাৎ করেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন।
কোনও ব্যক্তি হ্যাপি হাইপোক্সিয়ায় (Happy Hypoxia) আক্রান্ত তা কীভাবে বোঝা যায়?
শরীরে বা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়া সত্ত্বেও আক্রান্ত ব্যক্তির কোনও সমস্যা না হওয়াই হ্যাপি হাইপোক্সিয়ার প্রধান লক্ষণ। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৭-এর নিচে নেমে গেলেই শ্বাসকষ্ট হওয়াটা একটা স্বাভাবিক লক্ষণ। কিন্তু হ্যাপি হাইপোক্সিয়ার ক্ষেত্রে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৭০, ৬০ বা ৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেলেও কোনও সমস্যাই টের পান না আক্রান্ত ব্যক্তি। এই অদ্ভুত পরিস্থিতিকেই হ্যাপি হাইপোক্সিয়া (Happy Hypoxia) বলা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে তরুণদের প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব শক্তিশালী, তাই তাদের অক্সিজেন স্যাচুরেশন স্তরটি নীচে নেমে গেলেও তাঁরা বুঝতে পারে না। কারণ, করোনার রোগী হয়েও তারা প্রাথমিক পর্যায়ে কোনও লক্ষণ বা হালকা লক্ষণ দেখায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ অল্প বয়সের রোগীরা বুঝতে পারেন না যে তাঁদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমছে এবং তাঁরা কোনও কিছু না বুঝেই তাঁদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এর পর হঠাৎ অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস পেতেই বিপত্তি বেড়ে যাচ্ছে। এই রোগে আক্রান্তদের ঠোঁটের রঙ বদলে নীল রঙের হয়ে যাচ্ছে। ত্বকের রঙ বদলে লাল বা পার্পল রঙের হয়ে যাচ্ছে। কঠোর পরিশ্রম না করেও ঘাম হওয়া হ্যাপি হাইপোক্সিয়ার অন্যতম লক্ষণ বলে জানিয়েছেন তিনি।
হ্যাপি হাইপোক্সিয়ার (Happy Hypoxia) কারণ কি?
বিশেষজ্ঞদের মতে সুখী হাইপোক্সিয়ার প্রধান কারণ ফুসফুসে রক্তের শিরা জমাট বাঁধা। এ কারণে ফুসফুস পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পায় না, যার কারণে রক্তে অক্সিজেনের স্যাচুরেশনের পরিমাণ হ্রাস পায়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে হাইপোক্সিয়ার কারণে শরীরের বড় অঙ্গগুলি যেমন হার্ট, মস্তিষ্ক, কিডনি কাজ বন্ধ করতে পারে।
হ্যাপি হাইপোক্সিয়ার (Happy Hypoxia) লক্ষণ কী?
হ্যাপি হাইপোক্সিয়ায় (Happy Hypoxia) আক্রান্ত ব্যক্তির ঠোঁটের রঙ লাল থেকে নীল হতে শুরু করে। এ ছাড়া ত্বকের রঙও লাল বা বেগুনি দেখা শুরু করে। শুধু তাই নয়, ঘামে আক্রান্তের রঙও বদলে যায়। অক্সিজেনের মাত্রা পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে শ্বাসকষ্ট হয়। মস্তিস্কে অক্সিজেনের অভাবে কোষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অতএব, লক্ষণগুলি দেখা গেলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। কারণ আপনি যদি এই পদ্ধতিগুলিকে উপেক্ষা করেন তবে আপনাকে জীবনের ঝুঁকি নিতে হতে পারে।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-05-14 16:49:56
Source link
Leave a Reply