করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে ছাড় পাচ্ছে না সদ্যজাত থেকে শুরু করে ৫ বছরের ঊর্ধ্বের শিশুরা। ভয়ে আতঙ্কিত অভিভাবকরা। যেমন তেমনভাবে নিজেরা সামলে উঠলেও বাচ্চাদের পক্ষে তো কখনই সম্ভব নয়! এই চিন্তাতেই রাতের ঘুম উড়েছে অনেকের। এই প্রতিবেদন থেকে আপনি কিছুটা ধারণা করতে পারবেন- কীভাবে বুঝবেন আপনার সন্তান করোনা আক্রান্ত? হাসপাতালে ভর্তি না করে নিজেই কীভাবে যত্ন নিতে পারবেন? জেনে নিন সেই সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
করোনায় আক্রান্ত আপনার সন্তান, কিন্তু সেটি কোন পর্যায়ে, মৃদু, মাঝারি সহনীয় অবস্থা, গুরুতর নাকি সংকটপূর্ণ?
মৃদু
১. কফ, গলা ধরে থাকা, সর্দি
২. ডায়েরিয়া, বমি (তবে ডিহাইড্রেশন নয়, খাওয়া এবং প্রস্রাব একই রয়েছে)
৩. জ্বর জ্বর ভাব
৫. স্বাদের একটু গোলমাল
মাঝারি সহনীয় অবস্থা
১. ৪ দিনের বেশি সময় ধরে জ্বর
২. শ্বাস-প্রশ্বাস বেড়ে যাওয়া
৩. অক্সিজেন লেভেল ৯৪
৪. ডায়েরিয়া, বমি সঙ্গে ডিহাইড্রেশন।
৫. খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে, খেতে ইচ্ছে করছে না।
গুরুতর
১. অক্সিজেন লেভেল ৯০, শ্বাস কষ্ট শুরু হয়ে যাওয়া
২. একেবারেই খেতে না চাওয়া, ক্লান্তিভাব চূড়ান্ত
৩. প্রচণ্ড জ্বর
৪. বুক ধরফর করা
সংকটপূর্ণ
এই অবস্থায় কোমায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিডনি বিকল হতে থাকে। হৃদযন্ত্র বিকল হতে থাকে। তবে এই অবস্থায় পৌঁছানোর আগেই দ্রুত চিকিৎসা শুরু করে দিতে হবে, লাইফ সাপোর্ট দেওয়ার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
কোন স্তরে কীভাবে চিকিৎসা দিবেন আপনার সন্তানকে
যদি উপসর্গ দেখে বুঝতে পারেন করোনায় আপনার সন্তান আক্রান্ত হলেও তা মৃদু, তবে প্রথমেই তাকে ১৭ দিনের জন্য হোম আইসোলেশনে রাখুন। এরপর…
১. তরল জাতীয় খাবারের সঙ্গে অন্যান্য খারার সময় করে নিয়মিত খাওয়াতে থাকুন।
২. দিনে বেশ কিছুবার ওআরএস স্যালাইন খাওয়ান।
৩. লক্ষ্য রাখুন তার কাজকর্মে।
৪. ভিটামিন সি, ডি এবং জিঙ্ক দিতে পারেন, ওষুধ বা খাবার মারফত। (ওষুধের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত)
৫. ১০-১৫ এমজি প্যারাসিটামল দিতে থাকুন ৪ ঘণ্টা অন্তর।
৬. ডায়েরিয়ার জন্য Zinc+/- Probiotics খাওয়াতে পারেন।
যদি মাঝারি সহনীয় অবস্থা স্তরে থাকে তাহলে হাসপাতালেও দিতে পারেন, অথবা বাড়িতেও রাখতে পারেন তবে অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শে।
হাসপাতালে ভর্তির আগে বা কোনও কারণে অপেক্ষা করার মুহূর্তে যে সাপোর্টিভ কেয়ার দেবেন আপনার সন্তানকে-
১. পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার। আইভি ফ্লুয়িড এবং ন্যাসোগ্যাসট্রিক খাওয়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।
২. iv fluids হিসেবে ওআরএস স্যালাইন খাওয়াতে পারেন।
৩. Zinc+/- Probiotics খাওয়ানো যেতে পারে ডায়েরিয়ার জন্য।
৪. ১০-১৫ এমজি/কেজি/ডোজ প্যারাসিটামল দিতে থাকুন ৪ ঘণ্টা অন্তর।
৫. শরীরে অক্সিজেন বাড়ানোর জন্য যা যা থেরাপি হয়ে থাকে শরীর চর্চার মাধ্যমে তা করাতে থাকুন।
যদি আপনার সন্তান গুরুতর ও সংকটপূর্ণ স্তরে করোনা আক্রান্ত হয়, তবে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করা ও ডাক্তারি পরামর্শে এগিয়ে যাওয়া উচিত।
সূত্র: জিনিউজ
এন এ/ ১৪ মে
স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-05-14 13:23:20
Source link
Leave a Reply