পুরুষের এই ইগোকে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সমর্থন করেন। আর এভাবে চলতে চলতে পুরুষের মধ্যেকার অহঙ্কার তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। ফলাফল গোটা বিশ্ব জানে।
কিন্তু পুরুষের মধ্যেও একটা অবুঝ বালকের মন লুকিয়ে থাকে। বুদ্ধিমতিরা সেই অবুঝ মনটাকেই নিজের আয়ত্তে আনার চেষ্টা করেন। আর তা করতে পারলেই পুরুষ সঙ্গীকে নিজের বশে আনা যায়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মহিলারা তা বুঝতে পারেন না বা বোঝার চেষ্টা করেন না।
হয় প্রথম থেকে পুরুষের কাছে মাথা নত করে তাঁর ফাইফরমাশ খাটেন। আর না হলে অশান্তি শুরু করে দেন।
কিন্তু পুরুষের মন জয় করাও যে বেশ সহজ তা জানেন কি?
না, শুধুমাত্র যৌন তৃপ্তিতেই পুরুষের মন আটকে থাকে না। সংসারের নানা ঘটনার প্রভাবও তার মনে পড়ে।
– যেমন ধরুন সঙ্গিনীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে কথা বলতে দেখলে বা সময় কাটাতে দেখলে পুরুষ রেগে যান। কেউ প্রকাশ করেন। কেউ আবার করেন না। কিন্তু আজকের দিনে এভাবে লিঙ্গ বৈষম্য মেনে চলা অসম্ভব। কর্মক্ষেত্র হোক কিংবা অন্য কোনও কাজ স্বামী ছাড়াও অন্য পুরুষের সঙ্গে মহিলাদের যোগাযোগ রাখতেই হয়। এক্ষেত্রে যদি দেখেন পুরুষ সঙ্গীটি সন্দেহপ্রবণ তাহলে তাঁর সন্দেহ কাটানোর চেষ্টা করে দেখুন। যাঁকে বা যাঁদের নিয়ে তিনি সন্দেহ করেন তাঁদের সঙ্গে সঙ্গীর আলাপ করিয়ে দিন। বুঝিয়ে দিন প্রফেশনাল সম্পর্ক ছাড়া আর কোনও যোগাযোগ তাঁদের সহ্গে আপনার নেই। প্রথম প্রথম সম্পর্কে সন্দেহ দেখা দিতেই পারে। তবে বিষয়টি পরিষ্কার হযে গেলে আশা করা যায় সন্দেহর অবকাশ হবে। যদিও আজকালকার পুরুষ যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। তুচ্ছ ব্যাপারে মাথা ঘামান না। তা সত্ত্বেও সমস্যা হলে তা নিজের বুদ্ধিতে মেটান। আর যদি দেখেন সঙ্গীর সন্দেহবাতিক কিছুতেই যাচ্ছে না তাহলে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবেতে পারেন।
– পুরুষের জীবনে তাঁর মায়ের স্থান সবার উপরে। তাই অযথা তাঁর মায়ের নামে কুকথা বলবেন না। ছোটোখাটো সমস্যা হলে সঙ্গীর আড়ালে কথা বলুন। আর বড় সমস্যার ক্ষেত্রে সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন। প্রথমেই চেঁচামিচি করবেন না। আগে নিজের সমস্যার কতা বলে সঙ্গীর কাছ থেকে পরামর্শ চান। তাঁর আচরণ বুঝে কথা এগোন।
– পুরুষরা প্রায়ই অভিযোগ করেন যে মহিলারা খুবই গসিপ করেন। নিজের সঙ্গিনীকে অন্য কারও সঙ্গে গসিপ করতে দেখলে পুরুষরা বিরক্তই হন। কিন্তু মনোবিদদের গবেষণা বলে যে গসিপ করতে পুরুষরাই বেশি ভালোবাসেন। সঙ্গিনী যদি তাঁর সঙ্গে কোনও বিষয় নিয়ে গসিপ করেন পুরুষ খুব খুশি হন।
– প্রত্যেক পুরুষই চান যে সঙ্গিনী তাঁর সম্মান করুন। মেয়েরা সবসময়ই তা করে থাকে। কিন্তু অনেক সময় স্বামী বা প্রেমিকের কোনও আচরণ নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করাটাও মহিলাদের স্বভাব। হয়তো সরল মনেই মজা করে ফেলেন। কিন্তু তাতে অনেক সময় দেখা যায় পুরুষসঙ্গী বিব্রত বোধ করছেন। সেটা বোঝা সঙ্গিনীর কর্তব্য। যদি প্রেমিক বা স্বামী জনসমক্ষে কোনও জিনিসে বিব্রত বোধ করেন তাহলে তা নিয়ে বেশিদূর এগোনো ঠিক নয়।
– পুরুষের প্রতি কথায় সমর্থন জানালে তাঁরা খুব খুশি হন। অনিচ্ছা সত্ত্বেও সম্পর্কের শুরুতে এই কাজটা করুন। ধীরে ধীরে তাঁকে নিজের পছন্দের পরিচয় দিন। কীভাবে করবেন তার কোনও পরামর্শ হয় না। এক্ষেত্রে নিজের বুদ্ধি খাটানো প্রয়োজন।
– অনেক পুরুষই আছেন যাঁরা প্রেম বা রোম্যান্সে আগ্রহী হওয়া সত্ত্বেও নিজের মনের ভাব ব্যক্ত করতে পারেন না। তিনি মনের মতো সঙ্গী হলে আপনিই বরং তাঁকে একটু সাহায্য করে দিন। তাঁর জড়তা কেটে গেলেই দেখবেন সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে আপনাকে উজাড় করে দিচ্ছেন আপনার মনের মানুষটি।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-13 19:28:45
Source link
Leave a Reply