হাইলাইটস
- প্রাণায়াম-সহ বেশ কিছু ব্রিদিং এক্সারাসাইজ বা শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম আছে
- কোভিডে ফুসফুসের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠগুলিতে (অ্যালভিওলাই) রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয়, কফ জমে গিয়ে কর্মক্ষমতা কমে যায় ফুসফুসের।
- শুয়ে করলে, পেটের উপর ভর দিয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে হাত দুটো ক্রস করে রাখতে হবে। তার পরে হাতের উপর কপাল ঠেকিয়ে ডিপ ব্রিদিং করতে হবে।
* ব্রিদিং এক্সারসাইজে লাভ কী?
এতে শুধু ফুসফুস ও শ্বাসনালীই নয়, বুক-পিঠ-পেটের মাংসপেশিরও কর্মক্ষমতা সতেজ থাকে, স্বাভাবিক থাকে রক্ত সঞ্চালনও। এতে ফুসফুসের কাহিল হয়ে পড়া যেমন আটকানো যায়, তেমন অসুস্থ ফুসফুসও তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। সারা শরীর অনেক বেশি অক্সিজেনযুক্ত রক্ত পায়
* করোনায় ফুসফুস কাহিল হয়ে পড়লে কী করণীয়?
কোভিডে ফুসফুসের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠগুলিতে (অ্যালভিওলাই) রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হয়, কফ জমে গিয়ে কর্মক্ষমতা কমে যায় ফুসফুসের। তাই শরীর স্বাভাবিক নিয়মেই কেশে সেই কফ বের করে দিতে চায়। কিন্তু যখন সেই কাজটিও শরীর পারে না, তখন শ্বাসকষ্ট বাড়ে। এমন সময়ে প্রথমে হাঁটু মুড়ে বসতে হবে নীল-ডাউনের মতো। তার পর বিছানা বা মেঝের উপর কনুইয়ে ভর দিয়ে সামনে ঝুঁকে পড়তে হবে। হাতের উপর কপাল ঠেকিয়ে এমন ভঙ্গিতে থাকতে হবে যেন মুখ বিছানা বা মেঝের সঙ্গে প্রায় লেগে থাকে। এই অবস্থায় জোরে কাশার চেষ্টা করতে হবে। না-পারলে যতটা জোরে সম্ভব, দমক দিয়ে শ্বাস ঝাড়তে হবে মুখ দিয়ে। এমনটা কিছুক্ষণ করার পর আরও কাহিল লাগবে বটে। কিন্তু তার পরই অনেকটা আরাম মিলবে।
* শ্বাসকষ্ট হলে কি ব্রিদিং এক্সারসাইজ কাজে দেয়?
অবশ্যই দেয়। মনে রাখতে হবে, শ্বাসকষ্ট শুরু হলে কিংবা অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমছে দেখলে যদি কেউ প্যানিক করেন, তা হলে কিন্তু স্যাচুরেশন আরও কমতে এবং শ্বাসকষ্ট আরও বাড়তে বাধ্য। নিজেকে শান্ত রাখার জন্য ডিপ ব্রিদিং জরুরি। শ্বাসকষ্ট না-থাকলেও করা যায় এগুলো। তাতে ফুসফুস সুস্থ ও সবল থাকে
* কী ভাবে করতে হবে?
শুয়ে করলে, পেটের উপর ভর দিয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে হাত দুটো ক্রস করে রাখতে হবে। তার পরে হাতের উপর কপাল ঠেকিয়ে ডিপ ব্রিদিং করতে হবে।
চিৎ হয়ে শুয়েও করা যায়। সে ক্ষেত্রে পা দুটো মুড়ে থাকতে হবে। হাত দুটো এমন ভাবে পেটের উপর রাখতে হবে যাতে কনুই থাকে মেঝে বা বিছানায়।
বসে বা দাঁড়িয়ে করলে কোমরে হাত রেখে করতে হবে। তবে শ্বাসকষ্ট বেশি থাকলে শুয়ে করাই ভালো
নাক দিয়ে বুক ভরে যতটা সম্ভব শ্বাস নিয়ে বাতাস ফুসফুসেই রেখে দিতে (হোল্ড) যতক্ষণ পারেন। তার পর নাক দিয়ে বা মুখ দিয়ে (ফুঁ দেওয়ার মতো করে) খুব ধীরে পুরো শ্বাস ছেড়ে দিতে হবে। শ্বাস ছাড়ার সময়ে মুখ দিয়ে হুমমমমম আওয়াজ করলে আরও ভালো ফল মেলে।
* ভেপার নিলে কোনও উপকার হয়?
অনেকে ভাবেন, স্টিম বা ভেপারের উত্তাপে ফুসফুস কিংবা প্যারানেজাল সাইনাসে বাসা বাঁধা ভাইরাস বোধ হয় মরে যায়। তা কিন্তু হয় না। নাকের পিছনে ও উপরে যে সাইনাস থাকে, তার কাজই হল গরম হাওয়াকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে শ্বাসনালী মারফত ফুসফুসে চালান করে দেওয়া। সুতরাং ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার স্টিম ইনহেল করলেও তা পরে আর ভাইরাস মারার মতো গরম থাকে না। তবে হ্যাঁ, যে সামান্য গরম থাকে, তা শ্বাসনালী কিংবা সাইনাসের প্রদাহ কিছুটা লাঘব করে সন্দেহ নেই। তাই স্টিম ইনহেল করলে ক্ষতি নেই, বরং সামান্য হলেও লাভই আছে। যদিও সে লাভ কতটা, তা নিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানে এখনও তেমন কোনও প্রামাণ্য তথ্য-পরিসংখ্যান নেই।
লাইফস্টাইলের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-05-07 20:07:23
Source link
Leave a Reply