হলুদের কথাই ধরুন৷ ঝালে ঝোলে অম্বলে, হেন কোনও রান্না নেই, দেওয়া হয় না৷ খুঁজলে কোন পুষ্টিগুণটাই না পাবেন৷ প্রোটিন, ডায়েটারি ফাইবার, নিয়াসিন, ভিটামিন সি ও কে, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রনের মতো খনিজ সবই আছে৷ হলুদ খুব ভালো ইমিউনিটি বুস্টার৷ ক্যান্সার প্রতিরোধক৷ এমনকি আরথ্রাইটিসের ব্যথার প্রশমন ঘটাতেও হলুদ খুব উপকারী৷ ঠিক এই রকমই একটি চেনা মশলা হল জিরে৷ হলুদ আর জিরে বাটা দিয়ে হালকা মাছের ঝোল একই সঙ্গে উপাদেয় ও স্বাস্থ্যকর৷ জিরেতে প্রচুর আয়রন আছে৷ আয়রন এনার্জি বাড়াতে সাহায্যও করে৷ এছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার ইত্যাদির মতো খনিজও রয়েছে৷ ধনে আমাদের শরীরে ক্ষতিকর কলেস্টরল কমিয়ে, ভালো কোলেস্টরল বাড়িয়ে দেয়৷ ধনেতে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্টও রয়েছে৷ এখন দেখে নিন রান্না ঘরের কোন কোন মশলা আমাদের শরীরের জন্য ভালো-
ধনে
ধনে সমস্ত মরসুমে ব্যবহৃত হয়। অমিষ হোক বা নিরামিষ খাবারের উপর একটু ধনেপাতা ছড়িয়ে দিলে তরিতরকারির স্বাদ বেড়ে যায়। স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। ধনে, লেবু ও পুদিনা দিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। ধনে আমাদের শরীরে ক্ষতিকর কলেস্টরল কমিয়ে, ভালো কোলেস্টরল বাড়িয়ে দেয়৷ ধনেতে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্টও রয়েছে৷ এছাড়াও ঘামের গন্ধও এর পাতা থেকে দূর হয়। ধনে মিশ্রিত চিনি পান করা গরমের ফলে মাথাব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। ধনে পাতা কম বেশী দেশে বিদেশেও ব্যবহার হয়। কেউ স্বাদের জন্যে কেউ সাজানোর জন্যে ব্যবহার করে এই পাতা কিন্তু ব্যবহারের আগে অবশ্যই ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে হবে না হলে পাতায় লেগে থাকা মাটি যে কোন পেটের রোগের কারণ হতে পারে।
মৌরি
মৌরি এমন একটি উপাদান যা আপনি শুধু চিবিয়েও খেতে পারেন, ভিজিয়ে জল খেতে পারেন, চায়ের সঙ্গেও খেতে পারেন। এতে রয়েছে নানা উপকারিতা। মৌরিতে যেহেতু প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম রয়েছে, কাজেই যাঁদের হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্ছ রক্ত চাপের সমস্যা রয়েছে তাঁরা নিয়মিত মৌরি ভেজানো জল পান করলে এই সমস্যা ধীরে ধীরে কমে যাবে। মৌরি ভেজানো জল কিন্তু ব্লাড পিউরিফায়ারের কাজও করে। মৌরি আমাদের শরীরে তৈরি হওয়া টক্সিন ফ্লাশ আউট করতেও সাহায্য করে। যাঁদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা যদি নিয়মিত মৌরি ভেজানো জল অথবা মৌরির চা পান করেন, তাহলে উপকার পাবেন। মৌরি ভেজানো জল গ্যাস্ট্রো এনজাইম তৈরি করতে ও নিঃসৃত করতে সাহায্য করে, ফলে গ্যাস, অম্বল এবং অন্যান্য পৈটিক সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
পুদিনা
যাদের হজমশক্তি কম তাঁদের জন্য পুদিনা পাতার রস এককথায় অব্যর্থ ওষুধ। গ্যাসের সমস্যা রয়েছে এমন বা তাছাড়াও পেটের গোলমালে ভোগেন এমন মানুষ নিয়মিত পুদিনা পাতার রস খেলে উপকার পাবেন। অনেক সময়ই বর্ষায় ঘুম ঘুম পায়। শরীরে অলসভাবও থাকে। এই আলস্য দূর করে দেয় পুদিনা পাতার রস। একই সঙ্গে ডিহাইড্রেশনের জন্য মস্তিকে যে চাপ তৈরি হয় তা নিরাময় করে পুদিনা পাতার রস। অনেক সময়ই ঘুম ঘুম পায়। শরীরে অলসভাবও থাকে। এই আলস্য দূর করে দেয় পুদিনা পাতার রস। একই সঙ্গে ডিহাইড্রেশনের জন্য মস্তিকে যে চাপ তৈরি হয় তা নিরাময় করে পুদিনা পাতার রস।
হলুদ
হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন নামে এক উপাদান, যা একাই একশোর বেশি রোগ সারাতে পারে। হাজারেরও বেশি বছর ধরে এশিয়ায় হলুদের ব্যবহার শুধু মশলা হিসাবে নয়, ওষধি হিসাবেও। ভিটামিন ই বা ভিটামিন সি-র তুলনায় পাঁচ থেকে আট গুণ বেশি কার্যকরী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কারকিউমিন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। আর্থ্রাইটিস,অ্যাজমা, হার্টের রোগ, অ্যালঝাইমার, ডায়াবেটিস এমনকী ক্যানসার প্রতিরোধেও কারকিউমিনের উপকারী গুণ কাজে আসে বলে দাবি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের। কাঁচা হলুদের রস সামান্য নুন মিশিয়ে সকালবেলা খালি পেটে খেলে কৃমি রোগ সারে। কফ জমে থাকলে, গলা ফোলা বা গলা জ্বালায় গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেয়ে দেখুন। উপকার পাবেনই। কারকিউমিনের অ্যাস্পিরিনের গুণের জন্য মানসিক অবসাদ দূর করতে কাজে আসে। এর প্রয়োগে ভাস্কুলার থ্রম্বোসিস আক্রান্ত রোগীর রক্তের ঘনত্বের মাপ নিয়ন্ত্রণে আসে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-07 12:05:06
Source link
Leave a Reply