হাইলাইটস
- দুজন দুজনকে সময় দিন।
- চেষ্টা করুন ঝগড়া না করার।
- একে অপরের পছন্দকে সম্মান করুন।
তাহলে কাব্যি না করে সম্পর্কের চক্রব্যূহ থেকে সরে আসবেন কিনা তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করুন। তবে তারও আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আদৌ সম্পর্কটি বিষাক্ত হয়ে উঠেছে কিনা।
নীল আর শুভ্রা প্রায় ২ বছর ধরে সম্পর্কে রয়েছে। প্রথম প্রথম চার্মিং লাভে হাবুডুবু খেলেও ধীরে ধীরে সেই সম্পর্ক আলগা হতে থাকে। কারণ খুঁজতে গিয়ে উভয়েই দিশেহারা হযে পড়ে। আসলে সম্পর্ক খারাপের কোনও পোক্ত কারণই ছিল না। অথচ মনে মনে দুজনেই দুজনকে ছেড়ে যে থাকতে পারবে না তা ওরা জানতো। ওরা ভাগ্যবান যে সেই সময় এক বন্ধু ওদের সাহায্য করে। দুজনের মধ্যে দূরত্ব দূর করার চেষ্টা শুরু করে।
প্রায় ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক জোড়া তো লেগেই যায়। তার উপর অতীতের তিক্ততাকে ওরা জীবন থেকে একেবারে মিটিয়ে ফেলে। ওদের সেই বন্ধুটি আর কেউ নন, তিনি নীলের ঠাকুমা।
আসলে আগেরদিনের মানুষদের অনেক টোটকা আজও সমানভাবে কাজ দেয়। তা সে সম্পর্কই হোক না কেন। ঠাকুমার পুরোনো টোটকাগুলির সমর্থন করেন মনোবিদরাও। কি সেই টোটকা যা দিয়ে বিষাক্ত হযে ওঠা সম্পর্ক নির্বিষ হয়ে যায়?
প্রথমের দেখে নিন সম্পর্ক আদৌ বিষাক্ত হযেছে কিনা।
যে কোনও তুচ্ছ ব্যাপারেই দুজনের মতের অমিল হয় কি? এবং তার ফলাফল পরিণত হয় তুমুল ঝগড়ায়? তাহলে আপনাদের সম্পর্কে বিষ প্রবেশ করেছে।
একে অপরের সমালোচনা, টিটকিরি দিয়ে কথা বলা কিংবা দুজন দুজনের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে ভালোবাসতে শুরু করেছেন কি?
সঙ্গীর উন্নতিতে হিংসে হয়?
একজন যোগাযের চেষ্টা করলে অন্যজন বিরক্ত হন?
সঙ্গীর সব কাজেই বিরক্ত লাগে?
সঙ্গীকে ছেড়ে নতুন কারও প্রতি আকর্ষণ বেড়েছে?
কথায় কথায় একে অপরকে সকলের সামনে অপমান করেন?
অর্থনৈতিকভাবে একে অপরকে সাহায্য করেন না?
সঙ্গীর সঙ্গে দেখা হবে বা সময় কাটাতে হবে ভেবে চিন্তিত বা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন?
একে অপরের প্রয়োজনীয়তাকে পাত্তা দেন না?
সম্পর্কের কারণে বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্যের সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি হয়েছে?
নিজের প্রতি যত্ন নিতেও অনীহা লাগে?
তাহলে হলফ করে বলা যায় যে আপনাদের সম্পর্কে বিষ ঢুকেছে। এবার সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসবেন নাকি বিষ নিয়েই জীবন কাটাবেন সেটা আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ।
তবে মনোবিদদের মতে বিষাক্ত সম্পর্ক জোর করে টিকিয়ে রাখা বোকামি। এতে অশান্তি বাড়ে। কিন্তু এরকম যদি হয় যে সমস্যার সমাধান করে দুজনেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চাইছে। তাহলে দুজনকেই বুঝদার হতে হবে। চেষ্টা দুজনকেই করতে হবে।
*দুজন দুজনকে সময় দিন। চেষ্টা করুন ঝগড়া না করার। একে অপরের পছন্দকে সম্মান করুন।
* সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা হোক বা কোনও কাজ, দায়িত্ব ভাগ করে নিন।
* পুরোনো ঝগড়া, মান অভিমান, অবহেলা নিয়ে আলোচনা বন্ধ করুন। বরং পুরোনো ভুল সংশোধনের চেষ্টা করুন।
* একে অপরকে দোষারোপ করা বন্ধ করুন।
*একা বা দুজনে একসঙ্গে মনোবিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
*ভালো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। যে সব বন্ধু বা আত্মীয়দের মধ্যস্থতার কারণে আপনাদের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয় তাদের সংসর্গ একেবারে ত্যাগ করুন।
*একদিনে সম্পর্ক ভালো হয়ে যাবে না। তাই সময় দিন। ধৈর্য ধরুন।
*সঙ্গীর বিপদে বা মানসিক কষ্টে তাকে সমর্থন করুন।
*ফোন বা মেসেজে ভালো, রোম্যান্টিক কথা আদান প্রদান করুন।
একে অপরকে স্পেস দিন।
উপরের সুরাহাগুলি তখনই সমস্যার সমাধান করবে যখন দুজনের মধ্যেই সম্পর্ক জোড়া দেওয়ার প্রবণতা থাকবে। কিন্তু সম্পর্ক জোড়া দেওয়ার অর্থ এই নয় যে একজন অনৈতিক অধিকার ফলাবেন আর একজন তা সহ্য করে যাবেন।
মনোবিদদের মতে বিষাক্ত সম্পর্ক তাও নির্বিষ করা যায়। কিন্তু সম্পর্কে যদি হিংসা বা হেনস্থা চলে আসে তখন তা ঠিক করা কঠিন।
যদি সম্পর্ক থাকাকালীন মারপিট, হিংসা, অত্যাচার, অপমান চলে আসে তাহলে সেই সম্পর্ক ভেঙে দেওয়াই প্রয়োজন। শুধু শারীরিক নয় নির্যাতন হতে পারে মানসিকও।
যে কোনও কারণে সঙ্গীকে একতরফা দোষারোপ করা, আত্মহত্যা বা নিজেকে আহত করার হুমকি, সঙ্গীর মানসিক দুর্বলতাকে হাতিয়ার করে তাঁকে ভয় দেখানো, সঙ্গীর পরিবারের সদস্যদের অত্যাচারের ভয় দেখানো, সঙ্গীকে অনৈতিক কাজ করার জন্য জোর করা, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় স্বজন থেকে সঙ্গীকে আদালা করে দেওয়া কিন্তু হিংসা এবং হেনস্থার মধ্যে পড়ে।
এগুলিই হয় প্রকৃত বিষাক্ত সম্পর্ক। এর থেকে মুক্তি মেলার একটাই উপায়। সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসা। কারণ নিজের ভালো নিজেকেই বুঝতে হয়।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-05-06 17:03:35
Source link
Leave a Reply