হাইলাইটস
- করোনার জেরে ঘরে বসে কাজ করার ব্যবস্থা কার্যকরী হয়েছে।
- বাড়িতেই তুলে আনতে হয়েছে গোটা অফিস, ফলে, বাড়ির পরিবেশে আরামে কাজ করা যাচ্ছে, যাতায়াতের সমস্যা নেই বা ফরম্যাল ড্রেসে সারাক্ষণ নিজেকে প্রেজেন্টেবল রাখার ঝামেলাও সহ্য করতে হচ্ছে না।
তবে, বাড়িতে থেকে কাজ শুরু করার পর বেশিরভাগের ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যায় পড়েছেন। তার মধ্যে সব চেয়ে বড় সমস্যা ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্স (Work Life Balance) করা। বাড়িতে সব কাজ সামলে, সবার মাঝে অফিস করা বা অফিসের কাজে মনোনিবেশ করাটা সমস্যার বলেই মনে করছেন অনেকেই। একদিকে বসের হুকুম, অন্যদিকে সংসারের কাজ, নিজের শখ, সব কিছুই সুন্দর করে সেরে ফেলা যতে পারে যদি মেনে চলেন কয়েকটা কৌশল।
বাড়ি থেকে কাজে ঘর-অফিস ভারসাম্য বজায় রাখা মুশকিল
ভালোই কাটছিল দিনগুলো। টুক করে বেরিয়ে দোকানটা-বাজারটাও হয়ে যাচ্ছিল। গৃহস্থালির কাজে আরও অ্যাক্টিভ পার্টিসিপেশন দিতে পারায় গিন্নিও খুশি, সংসারেও অপার শান্তি। কিন্তু সেই সুখের দিন অনেকের কাছেই এখন ‘কাঁটার মুকুট’ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। কর্মীদের উপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, অনলাইনে কাজ করতে হওয়ায় দৈনিক ‘অফিসটাইম’ একটু-একটু করে বেড়েই চলেছে। বাড়ি বসে কাজ করা কর্মীদের পক্ষে অনেক বেশি শক্ত হয়ে পড়ছে। কাজ সম্পাদনে প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকলেও পাশে ‘কলিগদের’ অনুপস্থিতি, ঘরে কাজ করার পৃথক জায়গা না থাকা এবং বিশেষ করে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কজনিত সমস্যায় নাজেহাল হতে হচ্ছে তাঁদের। এর জন্য কী কী করতে হবে জেনে নিন-
চাপ কমানো
সব কাজ একদম সঠিক ভাবে হবে এবং কোনও কাজে ভুল থাকবে না, এমন অনেকেই চান। কিন্তু এটা খুবই সত্যি যে ভুল হতেই পারে। তাই সেই নিয়ে খুব বেশি চাপ না নেওয়া ভালো। পাশাপাশি বাড়িতে বসে কাজ করলে প্রিন্টার বা অন্য়ান্য দরকারি জিনিস না-ও থাকতে পারে, সেই নিয়েও চাপ নেওয়া উচিৎ হবে না। মনে রাখতে হবে, যা আছে তা দিয়েই মানিয়ে নিতে হবে।
বাড়ি ও কাজের মধ্যে দূরত্ব
বাড়ি থেকে অফিস যাওয়া ও অফিস থেকে বাড়ি ফেরা, এই দুইয়ের মাঝে বাসে-ট্রামে যাওয়া বা গাড়িতে-মেট্রোয় যাতায়াত হয়। তাতে রিফ্রেশ হওয়ার জায়গা থাকে। অনেকের সঙ্গে কথা হতে পারে, গান শোনা বা নিজেকে সময় দেওয়ার জায়গা থাকে। কিন্তু সবটাই যখন বাড়িতে হয়, এই সময়টা নিজের জন্য পাওয়া যায় না। ফলে বিরক্ত বা একঘেয়েমি লাগতে পারে। ফলে কাজ শেষ হওয়ার পর একটু হেঁটে আসা বা কারও সঙ্গে গল্প করা এই একঘেয়েমি কাটাতে পারে।
অফলাইন হয়ে যাওয়া
অফিসে থাকলে সমস্ত কাজ সামনাসামনি হয়, ফলে অনলাইন থাকার তেমন একটা দরকার পড়ে না। কিন্তু বাড়িতে থেকে কাজ করলে অনলাইন থাকতে হয় প্রায় সব সময়ে। যার ফলে পরিবারের বাকিরা বিরক্তবোধ করতে পারেন। তাই অফিসের কাজ ও পরিবারের সময় আলাদা করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে কাজ শেষ হওয়ার পরেই অফলাইন হয়ে গেলে এই সমস্যা কম হতে পারে।
কাজের জায়গা আলাদা করুন
বাড়িতে যদি পরিস্থিতি থাকে তাহলে কাজের জন্য আলাদা জায়গা তৈরি করলে ভালো। কাজের সময় সেখানেই বসে কাজ করলে অফিসের মতো অনুভূতি হতে পারে। পাশাপাশি বাকি জিনিসে মন চলে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-05-04 17:30:35
Source link
Leave a Reply