হাইলাইটস
- করোনাভাইরাসের ত্রাসে কাঁপছে গোটা বিশ্ব।
- যতদিন অত্যন্ত ছোঁয়াচে এই অসুখের ওষুধ না বের হয়, ততদিন পর্যন্ত এই ভাবেই করোনাভাইরাসকে ঠেকিয়ে রাখা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
- আমরা কেউ চাই না আক্রান্ত হতে, তার জন্য সব রকম সতর্কতা অবলম্বন করা সত্ত্বেও কখন কী ঘটে যাবে, কেউ বলতে পারে না।
প্রায় সব রাজ্যেই এখন একটা বড় সংখ্যায় ঘরে ঘরে রয়েছেন মৃদু উপসর্গযুক্ত বা উপসর্গহীন করোনা রোগী। সামাজিক মেলামেশা ও বাইরে ঘোরাঘুরি এই সময় যত কম হবে, ততই করোনাভাইরাসের ঝুঁকি কমবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এক্ষেত্রে কী করলে নিজে সুরক্ষিত থাকা যায়, সুরক্ষিত রাখা যায় পরিবারের অন্যদেরও, জেনে নেওয়া যাক।
কী করা উচিত
১. যদি চিকিৎসার সংক্রাম্ত কারণ থাকে তবেই বাড়ি থেকে বেরোবেন না হলে বাইরে বেরোবেন না, সারা দিন নিজের ঘরেই থাকুন।
২. কোভিড পজিটিভ হলে আলাদা একটা ঘরে দরজা বন্ধ করে থাকুন, আলাদা টয়লেট ব্যবহার করুন।
৩. অন্তত ৪০ সেকেন্ড ধরে ভালো করে মাঝে মাঝেই হাত ধুতে হবে। ৬০ শতাংশের বেশি অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজারও ব্যবহার করা যায়।
৪. হাঁচি-কাশির সময়ে মুখ ঢেকে রাখুন, ভালো হয় কনুই দিয়ে মুখ চাপা দিলে।
৫. যেখানে হাত দিচ্ছেন, যেমন দরজার হাতল, সিঁড়ির রেলিং, সুইচ এগুলো ডিজইনফেক্ট করতে হবে মাঝে মাঝে।
৬. ৭০ শতাংশের বেশি অ্যালকোহল আছে এমন ডিজইনফেকশনার দিয়ে ফোনটাকেও মাঝে মাঝে মুছে নিতে হবে।
৭. ঘরের বাইরে গেলেই বা কেউ ঘরে এলে সঙ্গে সঙ্গে ফেস মাস্ক পরে নিতে হবে।
৮. মাস্ক পরার আগেও হাত ধুয়ে নিতে হবে। পুরো মাস্ক স্পর্শ না করে কেবল ইয়ার লুপ ধরলে ভালো হয়।
৯. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভালো করে খেতে এবং ঘুমোতে হবে, নেশা এই সময়ে না করলেই ভালো!
১০. অক্সিজেন স্যাচুরেশন, বডি টেম্পারেচার, দিনে কতটা কাশি হচ্ছে এই সব নিয়ম করে মাপতে হবে।
কী করবেন না
১. ভয় পাবেন না। তাহলে লড়াই অর্ধেক হেরে যাবেন।
২. খাবার জলের বোতল, থালা-বাসন, তোয়ালে এগুলো বাড়ির লোকের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন না।
৩. বাড়িতে কেউ দেখা করতে আসতে চাইলে বারণ করে দিন।
৪. যতক্ষণ ডাক্তার না বলছেন, হোম কোয়ারান্টিনেই থাকুন, নিয়ম ভাঙবেন না।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-05-03 16:12:36
Source link
Leave a Reply