হাইলাইটস
- করোনাভাইরাস বিভিন্ন পথে শরীরে প্রবেশ করে। হার্ট, কিডনি, লাংস… যে কারণে কারও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, কারও ডায়রিয়া।
- যদি আগে থেকে কারও হার্টের সমস্যা বা হাইপার টেনশন, ব্লাড সুগার থাকে, তা হলে রোগের লক্ষণ আরও জোরালো হচ্ছে।
এখানে কিছু যে সাধারণ ব্যায়ামের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলি অক্সিজেনের অভাবজনিত সমস্যা এড়াতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন পাঁচটি অনুশীলন যা আপনার দেহে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলবে এবং আপনার ফুসফুসকে স্বাস্থ্যকর করে তুলবে।
নাড়িশোধন প্রাণায়াম
মুখের সামনে ডান হাতের আঙুলগুলিকে আনুন, এর পর তর্জনী ও মধ্যমাকে হালকা ভাবে দুই ভুরুর মাঝে রাখুন। বুড়ো আঙুলকে ডান নাকের ছিদ্রে ও অনামিকাকে বাঁ নাকের ছিদ্রে রাখুন। এ বার বুড়ো আঙুলের চাপে নাকের ডান দিকের ছিদ্র বন্ধ করে বাঁ দিকের নাকের ছিদ্র দিয়ে যতটা পারেন শ্বাস নিন। এ বার অনামিকা দিয়ে চেপে ডান দিকের নাকের ছিদ্র বন্ধ করে শ্বাস ছাড়ুন বাঁ নাক দিয়ে। আবার একই ভাবে এক বার বাঁ দিকের নাকের ছিদ্র চেপে ডান দিকের ছিদ্র দিয়ে শ্বাস নিন ও ডান দিক চেপে বাঁ দিক দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি নাসারন্ধ্রে ১০-১৫ বার করে অভ্যাস করা হয় এই প্রাণায়াম।
উত্তনাসন
অ্যাজমার সমস্যা সমাধানে উত্তনাসন খুবই প্রয়োজনীয় একটি আসন। এ ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য সহ পেটের নানা সমস্যা দূর করে উত্তনাসন। এছাড়াও ইনসমনিয়া ও মেনোপজের পর মহিলাদের নানা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে উত্তনাসন। নিয়মিত উত্তনাসন অভ্যাস করলে তা মানসিক চাপ কমিয়ে হতাশা দূর করতে সাহায্য করে। নার্ভের সমস্যা, কিডনি, লিভারও ভালো রাখে উত্তনাসন। যোগা ম্যাটে সোজা হয়ে দাঁড়ান। দুটি পায়ের মধ্যে এক ইঞ্চির মতো ফাঁক রাখুন। হাঁটু না ভেঙে কোমর থেকে গোটা শরীরকে নিচে ঝুঁকিয়ে দিন। দুটো হাঁটুকে হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরতে পারবেন, এরকম ভাবে শরীরটাকে নিচে ঝুঁকিয়ে দিন। হ্যামস্ট্রিং-য়ে টান না লাগা পর্যন্ত এ ভাবেই থাকুন।
ভুজঙ্গাসন
ভুজঙ্গাসন করা যেতে পারে তবে এই আসনটি করার সময় শ্বাস ছাড়া ও নেওয়ার প্রক্রিয়াটি ঠিক মতো মানলে তবেই তা ফুসফুসের জন্য উপকারী। এছাড়াও কিছু পরিচিত প্রাণায়াম যেমন কপালভাতি, অনুলোম-বিলোম, ভ্রমরী, ভ্রস্ত্রিকা এবং ওং চ্যান্টিং নিয়মিত করলে অবশ্যই উপকার পাওয়া যাবে।
কপালভাতি প্রাণায়াম
জোরে শ্বাস নিয়ে জোরে জোরে শ্বাস ফেলুন। জোরে শ্বাস নেওয়ার দিকেই নজর দিন। শ্বাস ফেলার সময় পেট যেন ভিতরের দিকে ঢুকে যায়। যারা লিভারের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত এই প্রাণায়াম করতে পারেন। লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে কপালভাতি প্রাণায়াম। প্রতিদিন ৫ মিনিট কপালভাতি করুন। নিয়মিত কপালভাতি প্রাণায়াম করলে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এর ফলে মস্তিষ্কের ব্যায়াম হয়। প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নিয়ম করে কমপক্ষে ৫ মিনিট কপালভাতি প্রাণায়াম করুন।
ঠোঁট দিয়ে শ্বাস
ধীরে ধীরে ঠোঁট বন্ধ রেখে নাক দিয়ে নিশ্বাস নিতে হবে। ১-৫ গুনে তার পর নাক বন্ধ করে ঠোঁট দিয়ে ফুঁ দেওয়ার মতো করে নিশ্বাস ছাড়ুন। একইভাবে নাক বন্ধ রেখে ফুঁ দেওয়ার মতো করে মুখ দিয়ে নিশ্বাস নিয়ে আবার ১-৫ গুনে শ্বাস আটকে রেখে নাক দিয়ে ছাড়তে হবে। এইভাবে দিনে দু’বার, ১০ বার করে অভ্যাস করলে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকে।
টাটকা ভিডিয়ো খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন এই সময় ডিজিটালের YouTube পেজে। সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-04-30 13:48:52
Source link
Leave a Reply