কাচের তৈরি শৌখিন জিনিস বা তৈজসপত্র ঘরে আনে আভিজাত্য। তবে ব্যবহারের পাশাপাশি এর প্রয়োজন নিয়মিত যত্ন। ভালোভাবে পরিষ্কার করে রাখলে জিনিসটি দেখতে যেমন ঝকঝকে তকতকে লাগে, আবার অনেক দিন টিকেও থাকে। কাচের সামগ্রী স্বল্পসময়ে পরিষ্কার করে ঝকঝকে রাখার জন্য কী করতে হবে, তা দেখুন এ প্রতিবেদনে।
‘কাচের জিনিসপত্র পরিস্কার রাখতে সেগুলো প্রতিদিন শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ধুলা সরিয়ে ফেলতে হবে। কিন্তু এখনকার ব্যস্ত সময়ে সবার হাতে হয়তো সময় থাকে না প্রতিদিন পরিষ্কার করার। তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন লিকুইড ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করা যেতে পারে। লিকুইড ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করে মোছার পর আবার শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। যেকোনো ধরনের কাচ পরিষ্কার করার জন্য অবশ্যই নরম পাতলা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছতে হবে।’ বলছিলেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফিরোজা সুলতানা।
রাস্তার পাশে যাদের বাসা, তাদের প্রতিদিনই কাচের সামগ্রী, আসবাবে ধুলো পড়ে। তাই নিয়মিত তা মুছতে হবে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে। এ ছাড়া রেস্তোরাঁ, হোটেল, শোরুমেও যেসব কাচ ব্যবহার করা হয়, সেগুলো প্রতিদিন পরিষ্কার করে রাখলে স্বচ্ছ দেখাবে।
কাচের তৈজসপত্র পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে ডিটারজেন্ট মেশানো পানি কিংবা লিকুইড ক্লিনার ব্যবহার করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ব্যবহার্য জিনিস ধোয়ার পর পরিষ্কার করে মুছে রাখতে হবে কিংবা বাতাসে শুকাতে হবে, তা না হলে দাগ পড়ে যেতে পারে।
যা করতে হবে
কাচের আসবাব পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে প্রথমে অবশ্যই শুকনো কাপড় দিয়ে ধুলো মুছে নিতে হবে। নাহলে পরিষ্কার হওয়ার পরিবর্তে কাচের ওপর কাদা কাদা ভাব দেখা যেতে পারে।
তৈজসপত্র ব্যবহারের আগে একবার পাতলা কাপড় বা টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিতে হবে।
যেকোনো ধরনের কাচ নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে মুছতে হবে, তা না হলে কাচের ওপর আঁচড় পড়ে যেতে পারে।
কাচের ফটোফ্রেমগুলোয় সব সময় লিকুইড দিয়ে পরিষ্কার না করলেও পাতলা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছতে হবে।
সাবধানতা
লিকুইড ক্লিনার দিয়ে প্রথমবার পরিষ্কার করার পর পাতলা কাপড় দিয়ে মুছে প্রয়োজনে কাপড়টা নিংড়ে নিয়ে দ্বিতীয়বার মুছতে হবে, যাতে কাচে আঠা আঠা ভাব লেগে না থাকে। কাচের তৈজসপত্র পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে, যাতে হাত থেকে পড়ে ভেঙে না যায়।
নাঈমা আমিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, অক্টোবর ২০, ২০০৯
Leave a Reply