এই মুহূর্তে মহামারী যেভাবে ধীরে ধীরে বিশাল রূপ ধারণ করছে তাতে আমরা সকলেই মানসিকভাবে অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়ছি এবং উত্তেজিত হয়ে পড়ছি। এতে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে যদি এভাবেই আমরা নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্যকে অবহেলা করতে থাকি তাহলে এই ফল মারাত্মক হতে পারে। এতে আমাদের নিজের প্রতি বিশ্বাস, কর্মক্ষমতা কমে যাবে।
পাশাপাশি শারীরিক অসুবিধা যেমন হজমের সমস্যা, মাথা ব্যথা বাড়তে থাকবে। তাই স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি সময়ানুবর্তিতা, নিজেকে সময় দেওয়া, শরীরচর্চা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে ধ্যান দেওয়াও জরুরী।
আরো পোস্ট- হনুমান জয়ন্তী কবে…জেনে নিন পুজোর বিধি
এর সবথেকে ভালো উপায় হলো যোগাভ্যাস করা। যে যে বিষয় গুলো আমাদের মানসিক অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় সেগুলি থেকে সহজে মুক্তি দেয় যোগা। এছাড়াও নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে কাজের চাপ, সংসার সামলানোর চাপ সবকিছুই আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব। যোগার কিছু বিশেষ ভাগ রয়েছে এগুলো নিয়মিত করতে পারলে আমরা মানুষ এবং শারীরিক দিক থেকে একেবারে সুস্থ থাকব।
১. যোগ নিদ্রা: মেডিটেশনের এই পদ্ধতিতে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি না। কিন্তু আমরা ঘুমানো এবং জেগে থাকার মধ্যবর্তী যে অবস্থা সেই অবস্থায় থাকি চোখ বন্ধ করে। অর্থাৎ যোগ নিদ্রা হল সচেতনতার সাথে ও সতর্কতার সাথে শুয়ে থাকার একটি উপায়।
আপনি পুরোপুরি ঘুমান না এবং পুরোপুরি জেগেও থাকেন না। যদিও এটি সকালবেলায় বা অন্য যে কোন সময় করলে ভালো হয় তবে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তারা এটি বিছানায় শুয়ে অভ্যাস করতে পারেন।
২. প্রাণায়াম: আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে সরাসরি আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের যোগ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আমরা যখন শ্বাস ত্যাগ করি সেই সময় এই যোগা আমাদের দেহ ও মন থেকে যাবতীয় দুশ্চিন্তা মুক্ত করে দেয়। এটি একটি সুইচ হিসেবে কাজ করে যেটি আমাদেরকে শান্ত এবং নিশ্চিন্ত করে।
এটি খুবই ভালো কৌশল কারণ বেশিরভাগ সময়ই আমাদের মাথা এবং আমাদের শরীর খুব চিন্তাগ্রস্থ থাকে এবং উত্তেজিত অবস্থায় থাকে। তার ফলে নিয়মিত তা অভ্যাস করতে পারলে আমাদের মাথা খুবই ঠান্ডা থাকবে যে কোন পরিস্থিতিতে। নিঃশ্বাস ও প্রশ্বাস এই দুটি ছন্দবদ্ধভাবে অভ্যাস করতে হবে।
৩. মনকে স্থির করা: এই অভ্যাস বৌদ্ধরা করে থাকে। এতে বর্তমান সময়ের প্রতি চোখ বন্ধ করে সমস্ত ভাবনাকে নিয়ন্ত্রিত করা হয়। অতীত বা ভবিষ্যৎকে নিয়ে কোনো ভাবনাই এতে স্থান পায় না। নিজের শ্বাস গ্রহণ এর উপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে এটি অভ্যাস করতে হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া…! ‘রঙ’ ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা ‘খাচ্ছে’? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম ‘সংবাদ’!
‘ব্রেকিং’ আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘রঙ’ লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে ‘ফেক’ তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই ‘ফ্রি’ নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.
শরীর স্বাস্থ্য – Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper
2021-04-26 15:59:05
Source link
Leave a Reply